প্রতীকি ছবি।
ন’দিন পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফিরলেন আলিপুরের ওমিক্রন-জয়ী তরুণ। লন্ডন থেকে কলকাতায় ফিরে বিমানবন্দরে তাঁর করোনা ধরা পড়ে। জিন পরীক্ষায় দেখা যায় করোনার ওমিক্রন রূপে আক্রান্ত তিনি। কিন্তু কাশি ছাড়া আর কোনও উপসর্গ ছিল না তাঁর। শেষ পর্যন্ত গত ৪৮ ঘণ্টায় দু’বার করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট পাওয়ার পর তাঁকে বুধবার হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
লন্ডনে কম্পিউটার সায়েন্সের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া ওই তরুণ কলকাতা বিমানবন্দরে নামেন গত ১৯ তারিখ রাতে। বিমানবন্দরে তাঁর করোনা পরীক্ষা হয়। দেখা যায়, তিনি করোনা পজিটিভ। বাড়িতে আছেন মা, বাবা, বোন ও দাদু। আর কেউ যাতে সংক্রমিত না হয়ে পড়েন, সে জন্য ২০ তারিখ তরুণকে ঢাকুরিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। একই সঙ্গে করা হয় জিন পরীক্ষাও। ২২ ডিসেম্বর জিন পরীক্ষার রিপোর্ট আসে, দেখা যায় তরুণ ওমিক্রনে আক্রান্ত। এই গোটা সময় ধরে একমাত্র কাশি ছাড়া তরুণের শরীরে বিশেষ কোনও উপসর্গ দেখা যায়নি। ২৬ ডিসেম্বর তরুণের আবার করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। রিপোর্ট আসে নেগেটিভ। নিয়ম হল, ৪৮ ঘণ্টা অন্তর ওমিক্রন আক্রান্তের দু’বার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট যদি নেগেটিভ আসে, তাহলে তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া যেতে পারে। ২৬ তারিখ প্রথমবার নেগেটিভ আসার পর, ২৮ ডিসেম্বর আবার তাঁর করোনা পরীক্ষা হয়। তার ফলও নেগেটিভ। এর পর ২৯ ডিসেম্বর, বুধবার তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
একমাত্র কাশি ছাড়া আর কোনও উপসর্গ না থাকায়, হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে তরুণ বেশ একঘেয়েমির শিকার হচ্ছিলেন। সময় কাটত মোবাইলে ওয়েব সিরিজ দেখে। বাড়ি ফেরার পথে তরুণ বলেন, ‘‘আমি তিন মাস আগে লন্ডন যাই। ওখানে আমার অনেক বন্ধুই ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন। তাই আমারও যখন করোনা ধরা পড়ল, মনে হয়েছিল ওমিক্রন হতে পারে। তবে ভয় পাইনি।’’
ওমিক্রন তোলপাড় ফেলে দিয়েছে বিশ্ব জুড়ে, তা থেকে ভয় না পাওয়ার কারণ কী? সদ্য ওমিক্রন জয় করে ঘরে ফেরা কলকাতার তরুণ বললেন, ‘‘লন্ডনে তো অনেকেরই হচ্ছে, আবার সেরেও উঠছে। তাই ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। বরং বলব, সতর্কতা অবলম্বন করতে।’’
ওই বেসরকারি হাসপাতালের কোভিড টাস্ক ফোর্সের সদস্য চিকিৎসক শাশ্বতী সিন্হা বলেন, ‘‘ওই তরুণ মৃদু উপসর্গ যুক্ত ছিলেন। ওমিক্রন একেবারেই নতুন একটি রূপ। তাই এর জন্য পৃথক কোনও চিকিৎসা বিধি এখনও নেই। তরুণের যেমন উপসর্গ ছিল, তেমন চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাতেই সুস্থ হয়ে গিয়েছেন তিনি। সাধারণ কেবিনে রেখেই তাঁর চিকিৎসা করা হয়েছে।’’
ওমিক্রন জয়ী তরুণের দুটি টিকাই নেওয়া ছিল। তবুও করোনা আক্রান্ত হন তিনি। বছর শেষের ছুটি কাটাতে বাড়ি ফিরেছিলেন। কিন্তু তার মধ্যে অনেকগুলো দিন চলে গেল হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে। আপাতত ছুটির বাকি দিনগুলো উপভোগ করতে চান ওমিক্রন-জয়ী লন্ডন ফেরত কলকাতার তরুণ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy