নিজের তৈরি যন্ত্র হাতে অভিজ্ঞান। নিজস্ব চিত্র।
করোনা আবহে চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতি দিন বহু মানুষের সংস্পর্শে আসতে হয়। প্রতি বারই স্যানিটাইজার দিয়ে হাত জীবাণুমুক্ত করতে হয়। কিন্তু স্যানিটাইজার রাখা থাকে যে পাত্রে, তার উপরের অংশ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই জীবাণুমুক্ত করা হয় না। মুহূর্তের অসাবধানতায় সেখান থেকে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ বার সেই সমস্যার সমাধান করল চুঁচুড়ার নবম শ্রেণির এক ছাত্র অভিজ্ঞানকিশোর দাস।
‘টাচ ফ্রি পোর্টেবল হ্যান্ড স্যানিটাইজার মেশিন’ তৈরি করে কেন্দ্রীয় সরকারের স্বত্ব (পেটেন্ট) পেল অভিজ্ঞানকিশোর। করোনা রুখতে স্যানিটাইজার ব্যবহার ইদানীং আবশ্যক হয়ে উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে অত্যাধুনিক স্যানিটাইজার নিষ্কাশন যন্ত্র তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে হুগলি কলেজিয়েট স্কুলের ওই ছাত্র। তার দাবি, ওই যন্ত্রে হাত ছোঁয়াতে হবে না। সে জানিয়েছে, ছোট থেকেই মানুষের ব্যবহারের বিভিন্ন রকম জিনিস তৈরি করতে ভালবাসে। এ বার ‘টাচ ফ্রি অটোমেটেড হ্যান্ড স্যানিটাইজার পোর্টেবল অ্যান্ড ম্যাগনেটিক মেশিন’ বানিয়ে তার স্বত্বও আদায় করে নিল সে।
অভিজ্ঞানের কথায়, ‘‘ডাক্তারবাবু বা স্বাস্থ্যকর্মীরা বার বার হাত স্যানিটাইজ করেন। কিন্তু অনেক সময় অসাবধানবশত স্যানিটাইজারের বোতলের বাইরে অংশ থেকে সংক্রমণ ছড়ায়। এই সমস্যা দূর করবে আমার যন্ত্র। শুধু চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মীরাই নন, সাধারণ মানুষও এই যন্ত্র ব্যবহার করে সংক্রমণকে দূরে রাখতে পারবেন।’’ তাঁর দাবি, স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে গিয়ে নতুন করে যাতে কেউ করোনা সংক্রমিত না হন, তা নিশ্চিত করবে এই যন্ত্র। ওজনে হালকা, ফলে সহজেই যন্ত্রটি ব্যবহার করা সম্ভব। সেই সঙ্গে যন্ত্রের দাম ও সকলের সাধ্যের মধ্যেই হবে। ২০২০ সালে ‘ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্স ফেস্টিভ্যাল’-এ এই যন্ত্র প্রদর্শন করে পুরস্কার পেয়েছে অভিজ্ঞান।
আগামী দিনে এই যন্ত্রকে ব্যবসায়িক ভাবে বাজারজাত করার ভাবনা রয়েছে অভিজ্ঞানের। ছেলের কৃতিত্বে খুশি তাঁর মা প্রিয়ঙ্কা। তিনি বলেন, ‘‘ছেলের উদ্ভাবন যে এত দ্রুত স্বত্ব পাবে তা আমরা আশা করিনি। আমাদের ইচ্ছা, ছেলের উদ্ধাবনের সঠিক বাস্তবায়নে যেন উদ্যোগ নেয় সরকার বা কোনও সংস্থা। আমাদের সীমিত সামর্থের যতটুকু করা যায়, করেছি। এই যন্ত্র সমাজের প্রয়োজনে লাগলে আরও খুশি হব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy