Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
Death

কোভিড সন্দেহে আইসোলেশনে, বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগ

মধ্যমগ্রামের পূর্ব বঙ্কিমপল্লির বাসিন্দা, ৮২ বছরের শেফালি আচার্য এ মাসের গোড়ায় অসুস্থ হন।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২০ ০৩:২৬
Share: Save:

কোভিড আক্রান্ত সন্দেহে আলাদা রাখা হয়েছিল তাঁকে। অভিযোগ, তার পরে কার্যত বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হল সেই বৃদ্ধার। যদিও মৃত্যুর পরে স্বাস্থ্য দফতর বৃদ্ধার পরিজনের মোবাইলে এসএমএস করে জানায়, কোভিডে আক্রান্ত হননি তিনি। মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা ওই বৃদ্ধার পরিজনেরা বারাসত জেলা হাসপাতালের বিরুদ্ধে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। করোনা-বিধি মেনে সৎকার হওয়ায় বৃদ্ধার দেহ হাতে পাননি তাঁর বাড়ির লোকেরা।

মধ্যমগ্রামের পূর্ব বঙ্কিমপল্লির বাসিন্দা, ৮২ বছরের শেফালি আচার্য এ মাসের গোড়ায় অসুস্থ হন। সর্দি, কাশির সঙ্গে শ্বাসকষ্ট শুরু হয় তাঁর। ৪ নভেম্বর শেফালিদেবীকে বারাসত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অভিযোগ, শ্বাসকষ্ট থাকায় শেফালিদেবীকে করোনা আক্রান্ত ধরে নিয়ে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছিল। পরিবারের দাবি, হাসপাতাল থেকে তাঁদের জানানো হয়, শেফালিদেবী কোভিডে আক্রান্ত। তাই ভেন্টিলেশন পাওয়া যাবে, এমন কোভিড হাসপাতালে তাঁকে পাঠানোর চেষ্টা চলছে। অভিযোগ, পরের দিন দুপুর পর্যন্ত তাঁকে সেই আইসোলেশন ওয়ার্ডেই কার্যত বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখা হয়। প্রবল শ্বাসকষ্ট নিয়ে ৫ নভেম্বর বিকেলে মৃত্যু হয় শেফালিদেবীর।

পরিবারের লোকেদের দাবি, বৃদ্ধা যে হেতু করোনায় আক্রান্ত বলে ভাবা হয়েছিল, তাই মৃতদেহ তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়নি। দিন কয়েক পরে স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে বৃদ্ধার এক আত্মীয়ের মোবাইলে এসএমএস পাঠিয়ে জানানো হয়, তাঁর করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ। হতভম্ব হয়ে পড়েন পরিবারের লোকেরা। বুধবার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে এই ঘটনার প্রতিকার চেয়ে অভিযোগ জানান শেফালিদেবীর পরিজনেরা।

বৃদ্ধার বড় ছেলে প্রদীপ আচার্য বলেন, “মা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। সন্দেহের বশে তাঁকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখা হয়। তিনি করোনায় আক্রান্ত বলে হাসপাতাল ধরে নেওয়ায় দাহকাজের সময়ে ডোমেদের পিপিই কিনে দিতে হয়েছিল আমাদের। মুখাগ্নি পর্যন্ত করতে পারিনি।” হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির জন্যই এই ঘটনা ঘটেছে বলেই অভিযোগ প্রদীপের।

বারাসত জেলা হাসপাতালের সুপার সুব্রত মণ্ডলের দাবি, “আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভেন্টিলেশন-সহ সমস্ত আধুনিক চিকিৎসা পরিষেবা দিয়েই তাঁকে রাখা হয়েছিল। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সবই করা হয়েছে। মৃতদেহও নিয়ম মেনে পরিবারের হাতে দেওয়া হয়েছে। কী কারণে এমন অভিযোগ করা হচ্ছে, জানি না।” জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তাপসকুমার রায় জানান, অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অন্য বিষয়গুলি:

Death Coronavirus in Kolkata COVID-19 Coronavirus
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy