ছবি: সংগৃহীত
৮৭ বছরের এক বৃদ্ধের পাসপোর্ট নবীকরণের জন্য পুলিশের রিপোর্ট প্রয়োজন ছিল। সেই সংক্রান্ত নথি যাচাই করতে গড়িয়াহাট থানার এক আধিকারিক তাঁকে শনিবার রাত ৯টায় হাজিরা দিতে বলেছিলেন! শুধু তাই নয়, এ-ও অভিযোগ, এক ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রাখার পরে আরও নথি প্রয়োজন বলে তাঁকে ওই আধিকারিক ফেরত পাঠিয়ে দেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, রবিবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ বৃদ্ধের মেয়ে টুইট করে কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মাকে বিষয়টি জানান। এর ঘণ্টা দেড়েকের মধ্যেই সমাধান হয়। সেটিও বেলা ১২টা নাগাদ মহিলা টুইট করে জানান। তিনি অভিযোগে জানিয়েছিলেন, বয়স্কদের জন্য তৈরি কলকাতা পুলিশের ‘প্রণাম’ প্রকল্পের সদস্য তাঁর বাবা। তা সত্ত্বেও কি বাড়ি গিয়ে নথি যাচাই করা যেত না?
লালবাজারের খবর, টুইট দেখে মহিলার ফোন নম্বর জোগাড় করে বৃদ্ধের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। গড়িয়াহাট থানার ওসি বৃদ্ধের বাড়ি গিয়ে প্রয়োজনীয় নথি যাচাই করে রিপোর্ট তৈরি করেন। এ দিকে, বাহিনীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পেয়ে পুলিশ কমিশনারও ‘ক্ষুব্ধ’। তিনি সংশ্লিষ্ট সাউথ-ইস্ট ডিভিশনের ডিসির কাছ থেকে এর রিপোর্ট তলব করেছেন। তার ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
লালবাজারের সক্রিয়তার প্রশংসা করেও অনেকে বলছেন, পাসপোর্ট সংক্রান্ত পুলিশি রিপোর্ট পেতে এমন অভিজ্ঞতা নতুন নয়। ওই বৃদ্ধের মেয়ে বিষয়টি টুইট মারফত লালবাজারের শীর্ষস্তরে পৌঁছে দিয়েছেন বলেই দ্রুত নিষ্পত্তি হয়েছে। এ ধরনের হেনস্থার পিছনে সংশ্লিষ্ট পুলিশের বিশেষ উদ্দেশ্য’ ছিল কি না, তা নিয়েও সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চা চলেছে। পুলিশের একটি সূত্র বলছে, ‘‘প্রণামের সদস্যকে থানার আধিকারিকেরা চিনবেন। অশীতিপর সদস্যকে রাতে ডেকে পাঠানো কি অনিচ্ছাকৃত ভুল?’’
পুলিশের খবর, এ ধরনের ‘গাফিলতি’ নিয়ে বাহিনীকে সতর্ক করেছেন কমিশনার। তাঁর বক্তব্য, দু’-এক জনের দুর্ব্যবহারের জন্য কলকাতা পুলিশের বদনাম হতে দেওয়া যাবে না। বাহিনীর সব সদস্যকে নিজেদের দায়িত্ব পালনে পদস্থ আধিকারিকদের সচেতন করতে বলেছেন সিপি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy