—প্রতীকী চিত্র।
বুকে অস্বস্তি নিয়ে শহরের চারটি হাসপাতালে ঘুরেছেন টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। কোনও হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি নেওয়া হয়নি। পরে অবশ্য পঞ্চম হাসপাতালে ভর্তি হতে পেরেছেন তিনি। এই মুহূর্তে ওই পুলিশকর্তা কোন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, তা স্পষ্ট নয়। তবে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালেই ভর্তি করানো হয়েছে তাঁকে।
পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার রাতে বুকে অস্বস্তি অনুভব করছিলেন অভিজিৎ। দক্ষিণ কলকাতার চারটি বেসরকারি হাসপাতালে গিয়েছিলেন তিনি। প্রতিটি হাসপাতাল থেকেই জানানো হয়, তাঁর শারীরিক সমস্যা তেমন গুরুতর নয়। অর্থাৎ, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। চার হাসপাতাল থেকেই এই কথা বলে তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু টালা থানার ওসি হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছিলেন। সেই কারণে আরও একটি হাসপাতালে যান। সেখানে তাঁকে ভর্তি করানো হয়েছে বলে খবর। তিনি কোন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, পুলিশের তরফে তা স্পষ্ট করা হয়নি।
যে চার হাসপাতালে ওই পুলিশকর্তা ভর্তি হতে চেয়েছিলেন, তারা জানিয়েছে, ওই পুলিশকর্তার বুকে কিছুটা অস্বস্তি ছিল। শরীরে জলের অভাব হয়েছিল। রক্তচাপও সেই কারণে কিছুটা বেড়ে গিয়েছিল। তবে হাসপাতালে ভর্তি করানোর মতো পরিস্থিতি ছিল না। তাই তাঁকে ভর্তি নেওয়া হয়নি।
উল্লেখ্য, আরজি করে গত ৯ অগস্ট মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। তাঁকে ধর্ষণ এবং খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এখন সেই ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। তবে আরজি কর হাসপাতাল টালা থানার অধীন। অভিজিতের থানাতেই সেই ঘটনার অভিযোগ দায়ের হয়। মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় প্রথম থেকেই পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে। কেন টালা থানায় রাতে এফআইআর হয়েছিল, সেই প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন রয়েছে ওসির ভূমিকা নিয়েও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy