Advertisement
২৬ নভেম্বর ২০২৪
Hoarding

ফের হোর্ডিংয়ের জঙ্গল বাড়ছে বিধাননগরে

বাসিন্দাদের অভিযোগ, গোটা সল্টলেক জুড়েই এই অবস্থা।

মুখ ঢেকেছে..: হোর্ডিংয়ে ছেয়ে গিয়েছে পথ। আড়াল হচ্ছে ট্র্যাফিক সিগন্যাল। করুণাময়ীতে। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য

মুখ ঢেকেছে..: হোর্ডিংয়ে ছেয়ে গিয়েছে পথ। আড়াল হচ্ছে ট্র্যাফিক সিগন্যাল। করুণাময়ীতে। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২০ ০১:৫০
Share: Save:

কোথাও সুউচ্চ, কোথাও বা অনেকটা জায়গা জুড়ে, কোথাও আবার এক জায়গাতেই একাধিক হোর্ডিং। এমন ছবি সল্টলেকের কোনও একটি কিংবা দু`টি জায়গায় নয়, বিভিন্ন ওয়ার্ড এলাকায় দেখা যাচ্ছে।

বাসিন্দাদের অভিযোগ, গোটা সল্টলেক জুড়েই এই অবস্থা। দৃশ্য দূষণ হচ্ছে দেখেও নিয়ন্ত্রণের কোনও ব্যবস্থাই করছে না পুরসভা। আবার পুরসভা সূত্রের খবর, হোর্ডিং থেকে নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রায় আয় হচ্ছে না। কারণ একাধিক হোর্ডিং সম্পর্কে পর্যাপ্ত তথ্য নেই পুরসভার কাছেই। করোনা পরিস্থিতির আগেই পুরসভায় প্রস্তাব উঠেছিল হোর্ডিং না কেটে কলকাতা পুরসভার ধাঁচে ওয়েভার স্কিমে হোর্ডিংগুলিকে সম্মতি দেওয়া হোক। তাতে পুরসভার আয় বাড়বে। যদিও সেই প্রস্তাব বিবেচিত হয়নি।

বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, বিধাননগরের প্রাক্তন মেয়র সব্যসাচী দত্তের সময়ে হোর্ডিং নিয়ন্ত্রণে কিছু চেষ্টা দেখা গিয়েছিল। কিন্তু তার পরে নিয়ন্ত্রণের তৎপরতা চোখে পড়ছে না। উল্টে বেড়েই চলেছে। যদিও পুরসভা সূত্রের খবর, নিয়ন্ত্রণ এবং আয় বাড়াতে পুর কর্তৃপক্ষ চিন্তাভাবনা করছিলেন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে সেটা সম্ভব হয়নি। দ্রুত এ বিষয়ে নির্দিষ্ট পদক্ষেপ করা হতে পারে বলে পুরসভার আশ্বাস। যদিও কতগুলি হোর্ডিং রয়েছে, তার নির্দিষ্ট তথ্য নিয়েও সদুত্তর মেলেনি পুরসভার তরফে। তবে স্থানীয় সূত্র এবং কাউন্সিলরদের একাংশের মতে, পাঁচশোর বেশি হোর্ডিং রয়েছে। সে নিরিখে কয়েক কোটি টাকা আয় হতে পারে। কিন্তু তেমনটা হয়নি বলেই পুরসভার দাবি।

সম্প্রতি দত্তাবাদ অঞ্চলে হোর্ডিং লাগানোর জন্য বিশাল উঁচু লোহার খাঁচা তৈরি করা হয়েছিল। বাসিন্দাদের প্রশ্ন, আমপানে কয়েক হাজার গাছ এবং বাতিস্তম্ভ ভেঙে পড়ার পরেও কী ভাবে পুর প্রশাসন ওই দৈত্যাকৃতির খাঁচা বসানোর অনুমতি দিয়েছিল? তাঁদের বক্তব্য, শক্তিশালী কোনও ঝড়ে ওই খাঁচা থেকে হোর্ডিং বাইপাসের উপরে কিংবা কারও বাড়িতে ভেঙে পড়লে বড় বিপদের আশঙ্কা রয়েছে।

করুণাময়ী, ১ নম্বর সেক্টরে শপিং মল এলাকা থেকে শুরু করে একাধিক ওয়ার্ডে প্রচুর হোর্ডিং গজিয়ে উঠেছে গত কয়েক বছরে। এমনটাই অভিযোগ। বাসিন্দাদের একাংশের মতে, পুরসভার আয় বাড়াতে হোর্ডিং একটি বড় মাধ্যম। কিন্তু দৃশ্য দূষণ না করে কী ভাবে তা নিয়ন্ত্রণ করা যায়, সে ব্যাপারে পুরসভা পরিকল্পনা করুক।

পুরসভার একাংশের মতে, করোনা পরিস্থিতিতে হোর্ডিং সরানোর মতো পদক্ষেপ করতে গেলে মানুষের রুজি রোজগারে হাত পড়বে। সেই বিষয়টিও পুরসভাকে বিবেচনা করতে হচ্ছে।

মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী জানান, হোর্ডিং নিয়ে পর্যালোচনা করছে পুরসভা। অনেক হোর্ডিং আছে, যেগুলি সম্পর্কে পর্যাপ্ত তথ্য পুরসভার কাছে নেই। সে সমস্ত খতিয়ে দেখে কী ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, সে ব্যাপারে পরবর্তী পরিকল্পনা করা হবে।

অন্য বিষয়গুলি:

Hoarding Bidhannagar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy