প্রতীকী ছবি।
অনুগামীদের সঙ্গে মোটরবাইকে করে বাড়ি ফিরছিল এক দুষ্কৃতী। কিন্তু মাঝপথে মোটরবাইক দাঁড় করিয়ে ওই দুষ্কৃতীকে লক্ষ্য করে খুব কাছ থেকে গুলি চালায় তার সঙ্গীরা। এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। বৃহস্পতিবার রাতে, নরেন্দ্রপুর থানার মালিপাড়া এলাকার ঘটনা। মৃতের নাম বিশ্বজিৎ সর্দার (৪৩) ওরফে বাবুসোনা। এলাকায় সাট্টারাজের দখল নেওয়াকে কেন্দ্র করেই এই ঘটনা বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনায় শুক্রবার রাজা দাস, ইসমাইল ফকির ও বিজয় মণ্ডল নামে তিন জনকে প্রথমে আটক ও পরে গ্রেফতার করা হয়। তবে দু’জন মূলচক্রী পলাতক।
পুলিশ সূত্রের খবর, মৃত দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে কলকাতা ও রাজ্য পুলিশের বিভিন্ন থানায় মাদক পাচার, খুন, খুনের চেষ্টা ও তোলাবাজি-সহ প্রায় ৩০টি অভিযোগ রয়েছে। ওই সব মামলায় সে জামিনে ছিল। পুলিশ আরও জানিয়েছে, ওই এলাকায় সাট্টা ব্যবসা চালিয়ে মাসে পাঁচ-ছয় লক্ষ টাকা আয় করে শ্যাম ও বাপ্পা নামে দু’জন ‘পেডলার’। মাস ছয়েক ধরে বাবুসোনা সেই ব্যবসা দখল করার চেষ্টা করছিল। সে কারণে বাবুসোনার দুই অনুগামী রাজা ও বিজয়ের সঙ্গে গোপনে আঁতাত করে তাকে খুনের ছক কষে শ্যাম ও বাপ্পা।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, রাজাকে একটি মোবাইল সারাতে দিয়েছিল বাবুসোনা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সেই ফোন নিয়ে যাওয়ার জন্য বাবুসোনাকে আসতে বলে রাজা। তার পরে গণেশ পুজো উপলক্ষে এলাকা থেকে কিছুটা দূরে এক অনুষ্ঠানে যায় দু’জনে। পরে সেখানে আসে বিজয় ও ইসমাইল। রাত পৌনে ১১টা নাগাদ মোটরবাইক চালিয়ে বাঁশদ্রোণী থানার সর্দারপাড়ার বাড়িতে ফিরছিল বাবুসোনা। বাইকের পিছনে বসেছিল রাজা। আর একটি মোটরবাইকে ছিল বিজয় ও ইসমাইল। মালিপাড়ার কাছে এসে ফোন আসার নাম করে বাইক দাঁড় করাতে বলে রাজা। পুলিশকে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, বাবুসোনা মোটরবাইক থেকে নামলে বাকি তিন জন তাকে ঘিরে ধরে গলা লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গুলি তার গলার নলি ফুঁড়ে বেরিয়ে যায়।
ঘটনার পরে রাতে ওই এলাকায় যান বারুইপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ বসু। বাবুসোনার স্ত্রী মুক্তার অভিযোগের ভিত্তিতে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। তবে শ্যাম ও বাপ্পা পলাতক। ধৃত রাজার বাড়িতে ভাঙচুরও চালায় স্থানীয় বাসিন্দারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy