বিপত্তি: বাগজোলা খালের কালভার্টের উপরে এই গর্ত দেখা দেওয়ায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে ওই অংশে। বুধবার। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দমদম স্টেশন এবং নাগেরবাজার মোড়ের মধ্যে বাস-সহ সব রকম ভারী গাড়ির যাতায়াত অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হচ্ছে। তবে নাগেরবাজার থেকে দমদম স্টেশন পর্যন্ত অটো এবং চার চাকার গাড়ি নিয়ে যাতায়াত করা যাবে। বাগজোলা খালের কালভার্টের উপরে নাগেরবাজারমুখী রাস্তা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে একটি লেন দিয়েই দু’দিকে অটো যাতায়াত করবে বলে জানিয়েছে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট। বুধবার বাগজোলা খালের কালভার্টের রাস্তায় বড় গর্ত দেখা গিয়েছে খবর পেয়েই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়ারেরা। তার পরেই ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আজ সকাল থেকে যাতে ভারী গাড়ি ওই কালভার্টের উপর দিয়ে যেতে না পারে, তাই তার দু’প্রান্তে হাইট বার বসানো হচ্ছে। বুধবার বিকেলে এ কথা জানান দক্ষিণ দমদম পুরসভার মুখ্য প্রশাসক। পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়ারেরা পরিদর্শন করার পরে তাঁদের সঙ্গে আলোচনার শেষে তিনি জানান, ইঞ্জিনিয়ারেরা জানিয়েছেন, ওই কালভার্টটি বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। তাই যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রের খবর, এর আগেও ঠিক হয়েছিল, কালভার্টটি ভেঙে নতুন করে তৈরি করা হবে। কারণ, নীচে বাগজোলা খালে পলি জমে জলের প্রবাহ রুদ্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে ওই অংশের খাল সংস্কার করে মোট পাঁচটি নালার মাধ্যমে জলের প্রবাহ স্বাভাবিক রাখা হবে। জানা গিয়েছে, কালভার্টের দমদম স্টেশন থেকে নাগেরবাজারমুখী অংশটি বন্ধ করা হচ্ছে। তবে ওই কালভার্ট ধরে একটি লেন দিয়ে দমদম স্টেশন পর্যন্ত অটো যেতে পারবে। খাল পারাপারের জন্য কালভার্টের পাশে হাঁটার পথ খোলা থাকছে। পুর কর্তৃপক্ষ জানান, দ্রুত ওই কালভার্টের কাছে একটি ফুট ওভারব্রিজ তৈরি হবে। যেখান দিয়ে মানুষ হেঁটে বা দু’চাকা নিয়ে পারাপার করতে পারবেন।
এমনিতেই টানা বৃষ্টি এবং বিভিন্ন কাজে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি করায় ওই পথের বেহাল দশা। তার মধ্যে গাড়ির প্রবল চাপ নিতে না পেরে বুধবার ওই কালভার্টের উপরের রাস্তায় ধস নামে। যদিও পুর প্রশাসন একে ধস বলতে নারাজ। তাদের কথায়, রাস্তায় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। এবং সেটিকে বালির বস্তা দিয়ে ঘিরে দেওয়াও হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই এর জেরে যান চলাচলের গতি মন্থর হয়ে যানজট তৈরি হতে শুরু করে বিকেল থেকেই। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের ট্র্যাফিক কর্মীরা যান নিয়ন্ত্রণে নেমে পড়েন। জানা গিয়েছে, চিড়িয়ামোড় থেকে নাগেরবাজারমুখী বাসকে সেভেন ট্যাঙ্কস হয়ে নর্দার্ন অ্যাভিনিউ ধরতে হবে। বিমানবন্দর থেকে আসা বাস দমদম রোডে না ঢুকে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে অথবা যশোর রোড হয়ে আর জি কর রোড ধরবে। লেক টাউন থেকে আসা বাস, বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে বা মিল্ক কলোনি হয়ে কলকাতার রাস্তা ধরবে।
কমিশনারেট সূত্রের খবর, এ সবই প্রাথমিক পরিকল্পনা। পরিস্থিতি বিচার করে এর পরিবর্তন হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy