কচুরিপানায় ঢেকে গিয়েছে সাঁতরাগাছি ঝিল। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার
যার তরল নিকাশির পরিমাণ যত, নিকাশি পরিশোধন প্লান্ট তৈরিতে তাকে সেই অনুপাতে অর্থ দিতে হবে। সাঁতরাগাছি ঝিলের দূষণ কমাতে প্রস্তাবিত তরল নিকাশি পরিশোধন প্লান্ট তৈরিতে রাজ্য সরকার এবং রেলকে কত টাকা দিতে হবে, সেই প্রসঙ্গে শ্লিষ্ট মামলার শুনানিতে এমনটাই উল্লেখ করেছে জাতীয় পরিবেশ আদালত।
পয়লা ডিসেম্বরের ওই নির্দেশে অতীতের প্রসঙ্গ টেনে আদালত বলেছে, প্রস্তাবিত প্রকল্প এলাকায় দৈনিক তরল বর্জ্যের পরিমাণ প্রায় ১০ লক্ষ লিটার। তার মধ্যে হাওড়া পুরসভা এবং রেলের এলাকায় উৎপন্ন তরল বর্জ্যের শতকরা হার যথাক্রমে ৮১.৯৩ এবং ১৮.০৭। ফলে, প্রস্তাবিত প্লান্ট তৈরির প্রকল্প-রিপোর্টেও দুই পক্ষের বরাদ্দকৃত অর্থের ক্ষেত্রে ওই অনুপাত বজায় রাখতে হবে। যদিও প্লান্ট তৈরিতে মোট খরচ কত, তা নিয়ে এখনও নির্দিষ্ট কিছু জানা যায়নি।
তার মধ্যেই প্লান্ট তৈরি নিয়ে সংশয়ী পরিবেশকর্মীদের একাংশ। কারণ, ২০১৬ থেকে চলা এই মামলার এখনও নিষ্পত্তি হয়নি। এক পরিবেশকর্মীর কথায়,
‘‘শুধু হলফনামার পরে হলফনামা জমা দেওয়ার পর্ব চলছে। দিন কেটে যাচ্ছে, কিন্তু ঝিলের দূষণ কমাতে কার্যকর পদক্ষেপ করা হচ্ছে না।’’
যেমন, এই মামলার আগের শুনানিতেই রাজ্যের মুখ্যসচিবের জমা দেওয়া হলফনামার পরিপ্রেক্ষিতে রেল মন্ত্রককে একটি হলফনামা জমা দিতে বলেছে পরিবেশ আদালত। কারণ গত সেপ্টেম্বরে মুখ্যসচিবের দেওয়া ওই হলফনামায় বলা হয়েছিল, ঝিলের দূষণ কমানোর জন্য রাজ্য সরকার ওই এলাকায় বায়ো টয়লেট এবং
জঞ্জাল ফেলার বিন বসানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। কোথায় সেগুলি বসানো যায়, তা সরেজমিনে পরীক্ষার জন্য মুখ্যসচিবের নির্দেশে রেলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এলাকা পরিদর্শন করেন হাওড়ার জেলাশাসক। কিন্তু পরিবেশ আদালতের নির্দেশ ছাড়া রেল নিজেদের জায়গায় সেই জমি দিতে অস্বীকার করেছে বলে মুখ্যসচিবের হলফনামায় জানানো হয়েছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে রেলকে আদালতের ওই নির্দেশ। সংশ্লিষ্ট মামলার আবেদনকারী সুভাষ দত্তের কথায়, ‘‘যে ভাবে এই মামলা চলছে এবং কেন্দ্র-রাজ্যের মধ্যে দাবি-প্রতি দাবির পর্ব চলছে, তাতে ঝিলের দূষণ কবে কমবে, তা কারও জানা নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy