অনিন্দিতা পাল দে। —ফাইল চিত্র।
আইনজীবী রজত দে-কে খুনের মামলায় তাঁর আইনজীবী স্ত্রী অনিন্দিতা পাল দে-কে দোষী সাব্যস্ত করে গত ১৪ সেপ্টেম্বর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল বারাসত আদালত। এ বার সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আগামী সপ্তাহেই উচ্চ আদালতে আবেদন করতে চলেছে অনিন্দিতার পরিবার। ওই পরিবারের তরফে আইনজীবী চন্দ্রশেখর বাগ শনিবার এক সাংবাদিক সম্মেলন করে এ কথা জানান। বারাসত আদালতে অনিন্দিতার হয়ে সওয়াল করেছিলেন আইনজীবী সোহিনী অধিকারী। রায় ঘোষণার পরে তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, তাঁরা উচ্চ আদালতে যাবেন।
এ দিন ফোনে অনিন্দিতার বাবা অলোক পাল বলেন, “আমার মেয়ের সঙ্গে অবিচার হচ্ছে। বিচার চাই। আমরা মানসিক ও শারীরিক ভাবে ঠিক নেই। অনিন্দিতার সম্পর্কে ঠিক বার্তা মানুষের কাছে যাক।”
২০১৮ সালের ২৪ নভেম্বর গভীর রাতে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় রজতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয়। পরে খুনের মামলা রুজু করে পুলিশ। এ দিন অনিন্দিতার আইনজীবী জানান, ২৭ নভেম্বর ময়না-তদন্ত হয়। রজতের বাবা সমীরকুমার দে ২৮ নভেম্বর অভিযোগ জানান। পুলিশ ২৯ নভেম্বর এফআইআর করে। তাঁর কথায়, “রজতের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে এই মামলা হয়নি। পুলিশ নিজে থেকে খুনের মামলা রুজু করেছে। ময়না-তদন্তে মৃত্যুর কারণ হিসেবে খুন, আত্মহত্যা কিংবা দুর্ঘটনা, কোনটিরই উল্লেখ ছিল না। এ ক্ষেত্রে অনিন্দিতার ‘বেনিফিট অব ডাউট’ পাওয়া উচিত ছিল। এ ছাড়াও আরও কিছু বিষয় নিয়ে আদালতে বলাও হয়েছিল।” চন্দ্রশেখরবাবু জানান, অনিন্দিতা ফাঁসি দেওয়ার উপকরণ এবং ওই সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গুগলে সার্চ করেছিলেন বলে সরকার পক্ষ বৈদ্যুতিন তথ্যপ্রমাণ আদালতে পেশ করেছিল। এর মানেই কি তিনি অপরাধী? সে কথা আদালতে জানানো হয়েছিলও।
আরও পড়ুন: ‘সেফ করিডোর’ বাংলায় কোন পথে শাখা মেলছে জিহাদি নেটওয়ার্ক
আরও পড়ুন: বাবুলকে মানহানির নোটিস অভিষেকের
এই মামলায় সরকার পক্ষের কৌঁসুলি তথা সাইবার আইন বিশেষজ্ঞ বিভাস চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, আদালতের রায়ে স্পষ্টই সব বলা আছে। ঘটনার রাতে ঘরে স্বামী-স্ত্রী ছাড়া কেউ ছিলেন না, এটা বৈদ্যুতিন ও
অন্যান্য তথ্যপ্রমাণে স্পষ্ট হয়েছে। কী ঘটেছিল সে রাতে, আদালত অনিন্দিতাকে তা বলার সুযোগও দিয়েছিল। শুরু থেকে বার বার বয়ান বদল করেছেন অনিন্দিতা। ময়না-তদন্তের রিপোর্ট ও মেডিকো লিগ্যাল সাক্ষ্য প্রমাণও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তাঁর কথায়, সব দিক বিবেচনা করেই রায় দিয়েছে আদালত।
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রাথমিক ভাবে আত্মহত্যা মনে হলেও তদন্তে উঠে আসা কিছু তথ্য, বার বার অনিন্দিতার বয়ান বদল এবং তাতে অসঙ্গতি মেলায় খুনের মামলা রুজু করা হয়। জেরায় তখন দোষ স্বীকার করেছিলেন অনিন্দিতা। সূত্রের খবর, ২০১৬ সালে রজত ও অনিন্দিতার বিয়ে হয়। দম্পতির একটি ছেলে রয়েছে। বর্তমানে যার বয়স সাড়ে তিন বছর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy