ফাইল চিত্র।
বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়েছিল বছর দুয়েক আগে। তার পরে অতিমারি-পর্বে কোভিডের মোকাবিলা করতে গিয়ে পুর পরিষেবা অনেকাংশেই ব্যাহত হয়েছিল। ফলে বিধাননগর পুরসভার বিস্তীর্ণ এলাকায় কোথাও নিকাশি, কোথাও ভাঙা রাস্তা, আাবার কোথাও জীর্ণ বাজারের সমস্যা ক্রমশ বড় আকার নিয়েছে। তাই প্রথম বার জনপ্রতিনিধি হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার পরে নিজের নিজের এলাকার পুর পরিষেবার কাজ যত দ্রুত সম্ভব শুরু করতে চাইছেন ‘নতুন মুখেরা’।
ভারী বৃষ্টি হলেই নিকাশির সমস্যায় বার বার ভুগেছে রাজারহাটের বিস্তীর্ণ এলাকা। তাই এ বার তৃণমূলের ভোটের ইস্তাহারেও গুরুত্ব পেয়েছিল নিকাশি ও পানীয় জলের সমস্যা। গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে রাস্তাঘাটের উন্নয়নেও। নতুন জনপ্রতিনিধিরাও তাই এ বার সেই সব কাজকে অগ্রাধিকার দিতে চান। সল্টলেকের ৩৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে সদ্য নির্বাচিত রঞ্জন পোদ্দার জানালেন, তাঁর ওয়ার্ডের জিডি মার্কেটের সংস্কারের কাজে দ্রুত হাত দিতে চান। তাঁর কথায়, ‘‘প্রথম বার জিতলেও কোঅর্ডিনেটর হিসাবে এই ওয়ার্ডে কাজ করেছি। জানি, এখানে কী সমস্যা রয়েছে। নিকাশির সমস্যার ডিপিআর জমা হয়ে গিয়েছে। বাজারটি সংস্কারের কাজ শুরু করতে চাই।’’
দত্তাবাদের ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রথম বার জিতে আসা আলো দত্ত জানালেন, দত্তাবাদে জমির পাট্টা দেওয়া নিয়ে দলীয় নেতৃত্বের কাছে আবেদন জানাবেন তিনি। পাশাপাশি এলাকার জলাশয়গুলির সংস্কার ও সৌন্দর্যায়নের কাজেও মনোনিবেশ করতে চান। দীর্ঘদিন স্থানীয় স্তরে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকলেও এ বারই প্রথম ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন রত্না ভৌমিক। সল্টলেকের ৪১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে টে জিতে রত্না জানাচ্ছেন, দলনেত্রীর নির্দেশিত পথেই এলাকার উন্নয়নের কাজ করতে চান তিনি।
রাজারহাটের এক নম্বর ওয়ার্ড থেকে ভোটে জিতে পিনাকী নন্দী জানাচ্ছেন, এলাকার পানীয় জলের সমস্যা ও রাস্তার উন্নয়নের দিকে জোর দেওয়ার আপাতত তাঁর ‘পাখির চোখ’। প্রচারে বেরিয়ে দিনকয়েক আগেই পা ভেঙেছে তাঁর। তবু বলছেন, ‘‘দ্রুত কাজে নামতে চাই।’’ ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তরুণ বিজয়ী প্রার্থী সম্রাট বড়ুয়া পরিষেবা দিতে দলীয় নেতৃত্বের নির্দেশিত পথের উপরেই ভরসা রাখছেন। এক সময়ে সিভিক ভলান্টিয়ার হিসাবে কাজ করতেন সম্রাট। পরে তৃণমূলের যুব সংগঠনে যোগ দেন।
পেশায় আইনজীবী প্রসেনজিৎ নাগ এ বারই প্রথম ভোটে জিতলেন ২০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে। ওই এলাকায় মূলত নিম্নবিত্ত বাসিন্দাদের বাস। জলাজমির উপরে বাঁশের মাচা তৈরি করে থাকেন অনেকে। ভারী বৃষ্টিতে এলাকা জলমগ্ন হয় সহজেই। প্রসেনজিৎ বলছেন, ‘‘এলাকার নিকাশি ব্যবস্থার দ্রুত উন্নয়ন প্রয়োজন। বাগজোলা খাল বুজে গিয়েছে, তা-ও সংস্কারের প্রয়োজন। আমার সামনে এখন কঠিন পরীক্ষা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy