ফাইল ছবি
অস্থি সংক্রান্ত শল্য চিকিৎসার জন্য পৃথক অপারেশন থিয়েটার করল একটি পুর হাসপাতাল। যদিও দক্ষিণ দমদম পুরসভার তৈরি সেই পরিকাঠামো কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে সন্দিহান অনেকেই। কারণ, এ রাজ্যে বিশেষজ্ঞ অস্থি চিকিৎসকের অভাব রয়েছে বলে প্রায়ই অভিযোগ ওঠে।
৩০ শয্যার দক্ষিণ দমদম পুর হাসপাতালে বহির্বিভাগের পরিষেবায় আগেই জোর দেওয়া হয়েছিল বলে খবর। বর্তমানে নিয়োনেটাল ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটের (নিকু) ধাঁচে চার থেকে পাঁচটি শয্যার ব্যবস্থা থাকছে। এ ছাড়াও বড়দের অস্থি-শল্য চিকিৎসার জন্য পৃথক অপারেশন থিয়েটার তৈরি হয়েছে। কর্তৃপক্ষের দাবি, জরুরি চিকিৎসা পরিষেবাকেও শক্তিশালী করা হয়েছে। চিকিৎসায় ১০ শয্যার মেডিসিন ওয়ার্ড, সিটি স্ক্যান, ইউএসজি, ইসিজি রক্ত পরীক্ষা-সহ রোগ নির্ণয়ের একাধিক ব্যবস্থা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা খোলা সুলভ দামের ওষুধের দোকান চালু হয়েছে। এ ছাড়াও আগেই চালু হয়েছে এই হাসপাতালের পৃথক অক্সিজেন প্লান্ট।
দক্ষিণ দমদম পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, শুধু পরিকাঠামো গঠনই নয়, নতুন পরিষেবা সচল রাখতেপর্যাপ্ত চিকিৎসক ও নার্সদের নিয়োগ করা হয়েছে। দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ (স্বাস্থ্য) সঞ্জয় দাস জানান, পুর এলাকায় আধুনিক মানের একটি পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল তৈরির কাজ চলছে। বর্তমান চাহিদার কথা ভেবে এই পুর হাসপাতালেও উন্নত পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও প্রশিক্ষিত নার্সের অভাব নিয়ে যেখানে প্রায়ই অভিযোগ ওঠে, সেখানে এইউদ্যোগ কতটা সফল হবে? মুখ্য পুর স্বাস্থ্য আধিকারিক, শিশুরোগ চিকিৎসক তাপস চন্দ্র জানান, শিশুদের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং নার্সের বন্দোবস্ত হয়ে গিয়েছে। বাকি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসার ক্ষেত্রে পরিষেবার ঘাটতি হবে না বলেই দাবি তাঁর। তবে এই ব্যবস্থায় কতটা সাড়া মেলে, তা দেখে পৃথক শিশুরোগ বিভাগ করার ভাবনা রয়েছে বলে পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy