টিএস এজেন্সি নামে একটি দোকানের গুদামে অভিযান চালায় এনসিবি। ওই দোকানের মালিক মিনাজুর রহমান। তাঁকে জেরা করে এনসিবি ওই গুদামের হদিশ পায়। সেখানে পৌঁছতেই এনসিবি আধিকারিকরা দেখেন প্রচুর কাশির সিরাপ, ইঞ্জেকশন মজুত করা রয়েছে।
বাজেয়াপ্ত হওয়া সেই ওষুধ এবং ইঞ্জেকশন। নিজস্ব চিত্র।
অনেক দিন ধরেই তাদের কাছে খবর আসছিল, বড়বাজারে নেশা করার ওষুধ বিক্রি হচ্ছে। স্থানীয় ক্রেতাদের কাছে তা রমরমিয়ে বিকোচ্ছে। গোপন সূত্রে সেই খবর পেয়েই বড়বাজারে হানা দেন কলকাতার নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)-র আধিকারিকরা। তিন দিন ধরে তল্লাশি চালানোর পর অবশেষে চার জনকে গ্রেফতার করল এনসিবি। ধৃতেরা হলেন, মিনাজুর রহমান, পিন্টু, তাপস রায় এবং মহেশ পারিখ।
এনসিবি জানিয়েছে, বিশ্বস্ত সূত্রে তারা খবর পায় যে, বড়বাজারের একটি গুদামে অবৈধ ভাবে প্রচুর ওষুধ মজুত করা হয়েছে। সেই খবর পেয়েই টিএস এজেন্সি নামে একটি দোকানের গুদামে অভিযান চালায় এনসিবি। ওই দোকানের মালিক মিনাজুর রহমান। তাঁকে জেরা করে এনসিবি ওই গুদামের হদিশ পায়। সেখানে পৌঁছতেই এনসিবি আধিকারিকরা দেখেন প্রচুর কাশির সিরাপ, ইঞ্জেকশন মজুত করা রয়েছে। এনসিবি জানতে পেরেছে, এই ওষুধ, ইঞ্জেকশন কোনও রকম প্রেসক্রিপশন ছাড়াই মাদকাসক্তদের কাছে বিক্রি করতেন মিনাজুর। তাঁর কাছে ওষুধ কেনা এবং বিক্রির সমস্ত নথি চাওয়া হলেও তিনি দেখাতে পারেননি বলে দাবি এনসিবি-র।
তা হলে কোথা থেকে এই ওষুধ পেতেন মিনাজুর? তখনই কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে আসে। এনসিবি আধিকারিকরা জানতে পারেন, একটি বড় চক্র এর পিছনে কাজ করছে। মিনাজুরকে জেরা করে এর পর পিন্টু নামে এক ব্যক্তির খোঁজ পায় এনসিবি। পিন্টুর কাছ থেকেই অবৈধ ভাবে ওষুধ এবং ইঞ্জেকশন কিনতেন মিনাজুর। পিন্টু ধরা পড়ার পরই আরও দু’জনের নাম সামনে আসে।
তাঁদের মধ্যে এক জন হলেন রায়। অন্য জন মহেশ পারিখ। বড়বাজারে ওষুধের কারবার করেন মহেশ। জেকে ফার্মা-র মালিক। এখানেই কাজ করেন তাপস। এনসিবি-র কাছে পিন্টু দাবি করেছেন, জেকে ফার্মা থেকে ওষুধ কিনে পিন্টুকে দিতেন তাপস। পিন্টু মূলত দালালের কাজ করতেন এই গোটা চক্রে। পিন্টু আবার সেই ওষুধ পৌঁছে দিতেন মিনাজুরের দোকানে। সেখান থেকে ওষুধ বিক্রি হত স্থানীয় মাদকাসক্তদের কাছে।
এনসিবি জানিয়েছে, মহেশের কাছে থেকেও ওষুধ কেনা এবং বিক্রির কোনও বৈধ কাগজপত্র মেলেনি। এই চার জনকে গ্রেফতার করেছে এনসিবি। তবে এই চক্রের শিকড় কতটা গভীরে, তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন এনসিবি আধিকারিকরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy