ফাইল চিত্র।
বাগজোলা এবং কেষ্টপুর খাল থেকে নিষ্কাশন করা পলি কোথায় ফেলা হয়, সেই সংক্রান্ত তথ্য সম্বলিত ‘অ্যাকশন প্ল্যান’ জমা দেওয়ার জন্য রাজ্য সেচ ও জলপথ দফতরকে নির্দেশ দিল জাতীয় পরিবেশ আদালত।
এর আগে সেচ দফতর হলফনামা দিয়ে জানিয়েছিল, প্রতি পাঁচ-সাত বছর অন্তর খালের পলি নিষ্কাশন করা হয়। যেমন, ‘লোয়ার’ ও ‘আপার’ বাগজোলা খাল থেকে পলি তোলার কাজ হয়েছিল যথাক্রমে ২০১৫-’১৬ এবং ২০১৯-’২০ সালে। আবার, কেষ্টপুর খালের একাংশে সেই কাজ করা হয়েছিল ২০১৪-’১৫ সালে।
যদিও পরিবেশকর্মীদের একাংশের বক্তব্য, পলি তুলে অনেক সময়েই তা রাখা হয় খালের দু’ধারে। যা আবার বর্ষার জলে ধুয়ে বা অন্য কোনও ভাবে সেই খালে গিয়েই পড়ে। এক পরিবেশকর্মীর বক্তব্য, ‘‘পলি তোলা এবং সেই পলি কী করা হয়, তা নিয়ে একটা সার্বিক অস্বচ্ছতা রয়েছে।’’ সংশ্লিষ্ট মামলায় আদালতবান্ধব হিসাবে নিযুক্ত পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত জানাচ্ছেন, খালের ধারে জনসংখ্যা বৃদ্ধির তুলনায় পলি তোলার কাজ ৫-৭ বছর অন্তর করলে আদৌ কোনও লাভ হয় কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘তা ছাড়া পলি নিষ্কাশন নিয়ে এর আগে একাধিক ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সে দিক থেকে পলি নিষ্কাশন সংক্রান্ত ‘অ্যাকশন প্ল্যান’ জমা দেওয়ার এই নির্দেশ উল্লেখযোগ্য।’’ আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে এসেছে এই মামলায়। কেষ্টপুর ও বাগজোলা খাল কোথায় গিয়ে মেশে, সে সম্পর্কে হলফনামা দিয়ে ‘ন্যাশনাল মিশন ফর ক্লিন গঙ্গা’ (এনএমজিসি) কর্তৃপক্ষ জানান, ওই দু’টি খাল গঙ্গা বা তার কোনও শাখানদীতে পড়েনি। তাই সেগুলি এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত নয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে পরিবেশ আদালতের মন্তব্য, এই দুই খালের নিকাশি সংক্রান্ত সম্পূর্ণ তথ্য কোর্টে পেশ করা হয়নি। যদি এনএমজিসি-র দাবি মতো ওই দু’টি খাল গঙ্গায় না-ই পড়ে, তা হলে তারা কোথায় গিয়ে মিশেছে— সেটা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। কিসের ভিত্তিতে দু’টি খালকে এনএমজিসি প্রকল্প থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে, তা পরবর্তী শুনানি, আগামী ১৪ ডিসেম্বরের আগে আদালতকে জানাতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy