দৃষ্টিহীন পড়ুয়াদের হাতের কাজের প্রতিযোগিতা। সোমবার। নিজস্ব চিত্র
কেউ হাতের স্পর্শে বুঝে নিয়ে তৈরি করছে অবিকল একই রকমের মডেল। কেউ বা গন্ধ শুঁকে ফুলের গন্ধের থেকে আলাদা করতে পারছে কর্পূরের গন্ধ। নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন ব্লাইন্ড বয়েজ় অ্যাকাডেমি প্রাঙ্গণ এ ভাবেই প্রাণচঞ্চল হয়ে উঠেছিল সোমবার।
এ দিন ছিল হেলেন কেলারের জন্মদিন। সেই উপলক্ষে ‘বধির ও দৃষ্টিহীন দিবস’ পালন করা হল নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন ব্লাইন্ড বয়েজ় অ্যাকাডেমিতে। ওই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অনুষ্ঠানের যৌথ উদ্যোক্তা ছিল রাজ্যের নারী,শিশু উন্নয়ন ও সমাজকল্যাণ দফতর। অনুষ্ঠানের কোঅর্ডিনেটর বিশ্বজিৎ ঘোষ জানালেন, এই দিনটি তাঁরা আগেও পালন করেছেন। কিন্তু কোনও জিনিস ছুঁয়ে বুঝে সেটির মডেল তৈরি এবং ঘ্রাণশক্তি ব্যবহার করে বিভিন্ন গন্ধ চেনার প্রতিযোগিতার আয়োজন এই প্রথম। দৃষ্টিহীন পড়ুয়াদের উৎসাহ ছিল দেখার মতো।
নরেন্দ্রপুর ব্লাইন্ড বয়েজ় অ্যাকাডেমির পড়ুয়াদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল লাইটহাউস ফর দ্য ব্লাইন্ড, ভয়েস অব ওয়ার্ল্ড, ক্যালকাটা ডিফারেন্টলি এবল্ড স্কুল এবং ক্যালকাটা ব্লাইন্ড স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা। আকাশ দাস, গোপাল রাজবংশী, সঞ্চিতা মুখোপাধ্যায়েরা হাতের ছোঁয়ায় বিভিন্ন ফল, আনাজ বুঝে নিয়ে গড়ল অবিকল তেমন মডেল। ঘ্রাণশক্তি দিয়ে প্রমোদ সিংহ, অহনা চক্রবর্তী, সায়ন্তন বন্দ্যোপাধ্যায়েরা চটপট বলে দিল বিভিন্ন জিনিসের গন্ধ। ভারতীয় জাদুঘর থেকে বিচারক এসে শিল্পকর্মের বিচার করলেন। দেওয়া হল পুরস্কারও।
বিশ্বজিৎবাবু জানান, বাড়ি, ট্রেন, কম্পিউটার, টেলিফোন, বিভিন্ন মনীষীর মূর্তি-সহ নানা ধরনেরমডেল স্পর্শের মাধ্যমে এই পড়ুয়াদের চিনতে শেখানো হয়। এ দিন সেগুলি স্পর্শ করে বুঝে তার মডেল তৈরি করল তারা। ঘ্রাণে বুঝে নিল এই পৃথিবীর নানা গন্ধ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy