ছবি: সংগৃহীত
রাতের ফাঁকা ইএম বাইপাস। একটি মোটরবাইকে তিন জন। হেলমেটের বালাই নেই। ছুটছে বেপরোয়া গতিতে। দেখতে পেয়েই দাঁড় করালেন পুলিশকর্মীরা। পুজোর সময়ে কেন তাঁদের আটকানো হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বাইকে থাকা তিন জনই। পুলিশের জটলার মাঝ থেকে এগিয়ে এলেন এক অফিসার। বাইকের
চাবি খুলে নিয়ে নথি দেখতে চাইলেন তিনি। কিন্তু কিছুই দেখাতে পারলেন না ওই যুবকেরা।
পুলিশের দাবি, ষষ্ঠীর রাতে সায়েন্স সিটির কাছে এই ঘটনায় বাইকটিকে বাজেয়াপ্ত করেছেন ট্র্যাফিক পুলিশের অফিসারেরা। লালবাজার জানিয়েছে, শুধু ইএম বাইপাস নয়, পুজো হয় না এমন বহু জায়গায় শুক্রবার রাতে নাকা তল্লাশির নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সাতটি ট্র্যাফিক গার্ডকে। আর তাতেই এক রাতে বেপরোয়া ভাবে বাইক চালানো এবং হেলমেট না পরার অভিযোগে ৩২০ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নথি দেখাতে না পারায় বাজেয়াপ্ত হয়েছে একটি মোটরবাইক। মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালানোর জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তিন জনের বিরুদ্ধে। শুধু হাওড়া সেতুতেই ট্র্যাফিক আইন অমান্য করার অভিযোগে প্রায় ৯০ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
গত জুন মাস থেকে কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মার নির্দেশে রাতের শহরে নাকা তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। তাতে সাফল্যও মিলেছে। কিন্তু পুজোর সময়ে পুলিশ ভিড় এবং ট্র্যাফিক সামলাতে ব্যস্ত থাকায় ওই সাতটি ট্র্যাফিক গার্ডকে নাকা তল্লাশি চালাতে নির্দেশ দেন লালবাজারের কর্তারা। সেই মতো ওই রাতে শহরের সাতটি জায়গা বেছে নিয়ে সেখানে চলে বেপরোয়া মোটরবাইক ধরপাকড়। এক পুলিশকর্তা জানান, এই ক’দিন যেখানে পুজোর চাপ কম, সেই সমস্ত জায়গায় আচমকা নাকা তল্লাশি চালানো হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy