শুক্রবার দুপুরে ঘটনাস্থলে কলকাতা পুলিশ। নিজস্ব চিত্র।
স্কুলেরই শৌচাগারে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল এক ছাত্রী। হাতের শিরা কাটা। মুখটাও প্লাস্টিকে মোড়া। মেধাবী ওই ছাত্রীকে ও ভাবে শৌচাগারে পড়ে থাকতে দেখে সহপাঠীরা শিক্ষকদের খবর দেয়। তার পরেই ওই ছাত্রীকে যোধপুর পার্কের একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানান। শুক্রবার দুপুরের ওই ঘটনার তদন্তে নেমেছে রিজেন্ট পার্ক থানার পাশাপাশি কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখাও।
পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন দুপুরে রানিকুঠির ওই স্কুলের দোতলার শৌচাগারে কৃত্তিকা পাল নামে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তার সহপাঠীরা। দুপুর দেড়টা নাগাদ ওই ছাত্রী শৌচালয়ে গিয়েছিল। আধ ঘণ্টা কেটে গেলেও শৌচালয় থেকে বেরোয়নি সে। খবর পেয়ে স্কুলের কর্মীরা গিয়ে দেখেন মেঝেতে পড়ে রয়েছে কৃত্তিকা। ঘটনার পরেই তার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়। যদিও ওই ছাত্রীর বাবা কর্মসূত্রে এখন ভিন্ রাজ্যে রয়েছেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
স্কুল সূত্রে জানানো হয়েছে, কৃত্তিকা ক্লাসে প্রথম হত। এ দিন সকালে সে স্কুলে গিয়েছিল। দুপুরের আগের সব ক’টি ক্লাসও করে। হাতের শিরা কাটার পাশাপাশি তার মুখ প্লাস্টিকে মোড়া ছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শী পড়ুয়ারা জানিয়েছে পুলিশকে। তবে এটা আত্মহত্যা না কি এর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।
আরও পড়ুন- ভাটপাড়ায় দুই মৃতদেহ রাস্তায় নামিয়ে বিক্ষোভ, নতুন করে উত্তেজনা, ইট, লাঠি, কাঁদানে গ্যাস
আরও পড়ুন- বৃদ্ধাকে চুলের মুঠি ধরে মার, গাঙ্গুলিবাগানের বাড়িতে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে গ্রেফতার নার্স
স্কুলের শৌচাগার থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি তিন পাতার সুইসাইট নোট। শিরা কেটে আত্মহত্যা করলে, মাথা কেন প্লাস্টিক দিয়ে ঢাকা ছিল, তা নিয়ে ধন্দ তৈরি হয়েছে। এই ঘটনার নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ থাকতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছেন গোয়েন্দারা। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন, লালবাজারে শীর্ষ কর্তারা। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছেন ফরেন্সিক বিভাগের অফিসারেরাও। এসেছে হোমিসাইড শাখাও। স্কুল কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে তারা।
পুলিশ সূত্রে খবর, যে সুইসাইট নোট উদ্ধার হয়েছে তাতে পারিবারিক বিষয়ের কথা ছিল। তবে এ বিষয়ে গোয়েন্দারা সবিস্তারে কিছু বলতে চাইছেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy