প্রতীকী ছবি
অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর। শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে সোনারপুর থানা এলাকার বিদ্যাধরপুরে। তদন্তে পুলিশ জেনেছে, সম্প্রতি ওই ছাত্রীর মোবাইল ফোনটি চুরি হয়ে গিয়েছিল। পরিবারের ধারণা, সেই অবসাদ থেকেই ওই কিশোরী আত্মঘাতী হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় নিজের ঘর থেকেই গলায় ওড়নার ফাঁস লাগানো অবস্থায় ওই ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পরে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় মৃতার পরিবারের একটি মুদির দোকান রয়েছে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দোকান চালিয়ে তার বাবা-মা যখন বাড়িতে খাওয়াদাওয়া করতে যেতেন, তখন ওই কিশোরীই সেই দোকানে গিয়ে বসত। বিকেলে ফের বাবা-মা দোকানে গেলে সে বাড়ি চলে আসত।
পুলিশ জানিয়েছে, সে দিন দুপুরেও দোকানে বসে ছিল ওই কিশোরী। সেই সময়ে এক খদ্দের এসে বেশ কিছু জিনিসপত্র নেয়। কিন্তু দাম মেটানোর সময়ে সে দাবি করে, টাকা আনতে ভুলে গিয়েছে। বাড়ি থেকে কাউকে টাকা নিয়ে আসতে বলার অছিলায় ওই ব্যক্তি কিশোরীর ফোনটা চায়। ফোন তার হাতে দিয়ে মেয়েটি জিনিসপত্র প্যাকেটে ভরছিল। সেই সুযোগে ফোন নিয়ে সাইকেলে চেপে চম্পট দেয় ওই ব্যক্তি।
বিকেলে বাবা-মা দোকানে ফিরে এলে মেয়ে তাঁদের গোটা ঘটনাটি জানায়। বাবা বলেন, ‘‘মোবাইল চুরি যাওয়া নিয়ে আমরা মেয়েকে একটুও বকাবকি করিনি। কিন্তু স্কুলের অনলাইন ক্লাস করতে পারবে না বলে ও খুব কান্নাকাটি করছিল। তার পরে বাড়ি চলে গেল। রাতে বাড়ি ফিরে দেখি, ঘরের দরজা বন্ধ। ডাকাডাকি করেও কোনও সাড়া পাচ্ছিলাম না। এর পরে দরজা ভেঙে দেখি মেয়ের ঝুলন্ত দেহ। তার পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।’’
খদ্দের সেজে আসা সাইকেল-আরোহী ওই চোরের খোঁজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এক তদন্তকারী অফিসার বলেন, ‘‘আপাতত একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। মনে হচ্ছে, মোবাইল ফোনটি চুরি যাওয়ার কারণেই অবসাদে ওই ছাত্রী আত্মঘাতী হয়েছে। এই মৃত্যুর পিছনে ওই সাইকেল-আরোহীও পরোক্ষ ভাবে দায়ী। সেই কারণে তাকে গ্রেফতার করতে চাই আমরা। আশা করা যায়, ওকে দ্রুতই ধরে ফেলব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy