শম্পা সরকার নিজস্ব চিত্র
এক মহিলার অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে রহস্য দেখা দিয়েছে। সোমবার দুপুরে বারাসত থানা এলাকার হৃদয়পুরের আপনপল্লিতে নিজের বাড়ির একতলা থেকে উদ্ধার হয় শম্পা সরকার (৪০) নামে ওই মহিলার রক্তাক্ত দেহ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলাকে খুন করার খবর জানিয়ে এবং নিজেকে অভিযুক্ত দাবি করে থানায় ফোন করেছিলেন এক ব্যক্তি। এর পরেই পুলিশ পৌঁছে শম্পার দেহ উদ্ধার করে। তবে ঘটনার পর থেকে ওই ব্যক্তি পলাতক।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃদ্ধ বাবার সঙ্গে থাকতেন শম্পা। বাবা জ্যোতিষ সরকার জানান, এ দিন তিনি বাড়ির দোতলার ঘরে পুজো করছিলেন। তাই ঘটনাটি টের পাননি। পরে একতলায় নেমে মেয়েকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন তিনি। এর পরে বৃদ্ধই প্রতিবেশীদের খবর দেন। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, মহিলার মাথার পিছনে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। তাঁকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। পুলিশের সন্দেহ, এই ঘটনায় শম্পার এক আত্মীয়ের সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে।
শম্পার বোন স্বপ্না সরকার দাবি করেছেন, বারাসত থানা থেকে ফোন করে তাঁকে জানানো হয়, তাঁর স্বামী এই ঘটনায় জড়িত। স্বপ্না বলেন, ‘‘পুলিশ আমাকে বলে, আমার স্বামী নিজেই থানায় ফোন করে জানিয়েছেন, উনি দিদিকে খুন করেছেন। ফোনে স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। উনি ফোন ধরেননি।’’
পুলিশ সূত্রের খবর, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, এ দিন স্বপ্নার সঙ্গে ঝগড়া করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান তাঁর স্বামী। তাঁর হাতে একটি কাটারি ছিল। এর পরে তিনি শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে ওই ঘটনা ঘটিয়েছেন কি না, খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। আপাতত বারাসত থানা একটি খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।
স্বপ্না স্বীকার করেছেন, এ দিন তাঁর সঙ্গে স্বামীর বচসা হয়েছিল। কিন্তু এর জেরে তাঁর স্বামী কেন শ্যালিকাকে খুন করতে যাবেন, তা তিনি বুঝতে পারছেন না। বারাসত পুলিশ জেলার সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায় জানান, প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারীদের সন্দেহের তির মৃতার জামাইবাবুর দিকেই। তাঁকে গ্রেফতার করলেই রহস্য স্পষ্ট হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy