কলকাতার যত্রতত্র বেআইনি নির্মাণ নিয়ে পুরসভার উদাসীনতার প্রশ্ন তুলে পুর কর্তৃপক্ষকে কঠোর ভাষায় ভর্ৎসনা করেছিলেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর। ২৯ জুলাই একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানি চলাকালীন কলকাতার পুর-কমিশনার খলিল আহমেদকে এই নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন তিনি। জনস্বার্থ মামলাটি হয়েছিল কাশীপুর রোডে সরকারি ঠিকা জমিতে বস্তি ভেঙে চার বা পাঁচ তলা পাকা বাড়ি নির্মাণ নিয়ে। এর পরেই বুধবার বিশাল পুলিশ বাহিনীর সাহায্যে ৯৬ নম্বর কাশীপুর রোডের বস্তির মধ্যে এক বহুতলের বেআইনি নির্মাণ ভেঙে দিলেন পুরসভার অফিসারেরা। প্রাথমিক ভাবে এলাকায় কিছুটা উত্তেজনা তৈরি হলেও পরে বাসিন্দারা পুলিশ ও পুরসভার অফিসারদের সহযোগিতা করেন। যা দেখে ওই অফিসারদের ধারণা, ভবিষ্যতে এলাকায় অন্য বেআইনি নির্মাণ ভাঙতেও খুব অসুবিধা হবে না।
পুরসভা সূত্রে খবর, ৯৬ ও ৯৯ নম্বর কাশীপুর রোডে সরকারি ঠিকা জমিতে বস্তি ভেঙে ওই সব পাকা বাড়ি গড়ে ওঠে ২০১৫ সালে। পুরসভা সব জেনেও কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না, এই অভিযোগ তুলে সম্প্রতি মণিপ্রসাদ সিংহ নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। পুরসভার আইনজীবী ২৯ জুলাই আদালতে বলেন, ‘‘বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে গেলে পুলিশের সাহায্য দরকার। তারা সময় মতো সাহায্য না করলে কাজ হয় না।’’ তা শুনে প্রধান বিচারপতি জানতে চান, পুর কমিশনার রাজ্য পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল বা পুলিশ কমিশনারের কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন কি না। সেই প্রশ্নের সদুত্তর না মেলায় তিনি হুঁশিয়ারি দেন, ‘‘বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে পুর-কমিশনারকে ফের আদালতে হাজির হতে হবে।’’ সেই প্রেক্ষিতেই এ দিনের অভিযান চালানো হয় বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy