রোজের মতোই মাথার কাছে মোবাইল নিয়ে শুয়েছিলেন তিনি। আটকে নিয়েছিলেন বিছানার পাশের জানলাটিও। কিন্তু সকালে উঠে দেখে জানলার পাল্লা খোলা। মাথার পাশের মোবাইল তো নেই-ই, উধাও তাঁর গলার সোনার হারও। শনিবার বিজয়গড় এলাকার ঘটনা।
গৃহকর্তা সুমন চৌধুরী জানান, বিছানার পাশে খানিক দূরত্বে থাকা ওই জানলাটির একটি পাল্লার ছিটকিনি খুলে যাওয়ায় রোজই তিনি সেটি দড়ি দিয়ে শক্ত করে বেঁধে দিতেন। শুক্রবারও শুতে যাওয়ার সময়ে তা-ই করেন। তিনি বলেন ‘‘জানলার পাল্লা এমন করে বেঁধেছিলাম, কোনও ফাঁকফোকর ছিল না।’’ সুমনবাবু জানান, রাত দেড়টার সময়ে এক বার ওঠেন তিনি, তখনও সব ঠিকঠাকই ছিল। তাহলে কি তার পরে জানলা খুলে কেউ কিছু স্প্রে করেছিল? না হলে গলার হার ধরে টান দেওয়ার পরেও তিনি টের পেলেন না কেন? নেতাজিনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন সুমনবাবু। বিষয়গুলি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
তদন্তকারীদের অবশ্য অনুমান, ওই জানলা দিয়েই কাজ হাসিল করেছে দুষ্কৃতীরা। তাঁদের দাবি, দড়ি দিয়ে শক্ত করে বাঁধা হলেও হয়তো কোনও ভাবে হয়তো তা আলগা হয়ে গিয়েছিল। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই জানলার পাল্লা খোলে দুষ্কৃতীরা। তবে সুমনবাবুর দাবি, তাঁর বিছানা থেকে জানলাটি এমন দূরত্বে রয়েছে যে সেখান থেকে হাত বাড়িয়ে কিছু নেওয়া খুব কষ্টকর। তবে জানলা দিয়েই চুরি করা হয়েছে বলে অনুমান পুলিশের। কারণ ঘরের বা বাড়িতে ঢোকার দরজা ছিল বন্ধ। পুলিশের অনুমান, কাজ হাসিলের জন্য জানলার পাল্লা খুলে এমন কিছু স্প্রে করেছিল দুষ্কৃতীরা, যাতে সুমনবাবুর ঘুম আরও গভীর হয়। তাঁদের সন্দেহ, সেই সুযোগেই হয়তো লাঠি জাতীয় লম্বা কিছু দিয়ে গলার হার এবং মোবাইল টেনে নিয়ে জানলা দিয়ে বার করে নেয় দুষ্কৃতীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy