গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
কলকাতার আনন্দপুর এলাকার একটি রেস্তরাঁয় হামলা চালাল একদল দুষ্কৃতী। অভিযোগ, ওই রেস্তরাঁর কর্মীদের মারধর করা হয়। এমনকি, রেস্তরাঁর সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একাধিক গাড়িতে ভাঙচুরও চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দু’জনকে গ্রেফতার করা হলেও মূল অভিযুক্ত অধরাই।
পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ আনন্দপুর এলাকায় বাইপাসের ধারের এক রেস্তরাঁর ম্যানেজার থানায় কয়েক জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। অভিযোগকারীর দাবি, সোমবার রাতে সঞ্জয় দাস তাঁর দলবল নিয়ে ওই রেস্তরাঁয় হামলা চালান। ওই দলে ছিলেন অন্তত ১০-১২ জন। তাঁরা রেস্তরাঁর কর্মীদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন। অভিযোগ, কথা কাটাকাটির মধ্যে কর্মীদের মারধর শুরু করেন সঞ্জয় এবং তাঁর সঙ্গীরা।
কেন এই হামলা? রেস্তরাঁর ম্যানেজার নারায়ণ সিংহের কথায়, ‘‘কোনও প্ররোচনা ছাড়াই সঞ্জয় এবং তাঁর সঙ্গীরা হামলা চালিয়েছেন। শুধু আমার কর্মীদের মারধর করেছেন তা-ই নয়, রেস্তরাঁর সিসি ক্যামেরাও ভাঙা হয়েছে। তার পর রেস্তরাঁর সামনে দাঁড়িয়ে থাকা বেশ কয়েকটি গাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে পালিয়ে যান ওঁরা।’’
আনন্দপুর থানায় এ নিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় ইতিমধ্যে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম দীপঙ্কর দাস এবং মহীন্দ্রপ্রসাদ গুপ্ত। দু’জনেই আনন্দপুরের রবীন্দ্রনাথ কলোনি (পোড়া বস্তি) এলাকার বাসিন্দা। তবে এখনও অধরা সঞ্জয়। ধৃতদের জেরা করে সঞ্জয়ের খোঁজ শুরু হয়েছে বলে দাবি পুলিশের। পুলিশ সূত্রে খবর, ভারতীয় ন্যায় সংহিতা এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত চলছে।
দিন কয়েক আগেই গত শুক্রবার রাতে এই আনন্দপুর এলাকাতেই আরিফ খান নামে এক প্রোমোটারকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁর শরীরে ধারালো কোনও অস্ত্র দিয়ে কোপানোর চিহ্ন স্পষ্ট ছিল। তাঁকে উদ্ধার করে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসার সময় মৃত্যু হয় আরিফের। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই মহম্মদ জাকির নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের একটি সূত্র দাবি করেছে, প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণে খুন করা হয়েছে আরিফকে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও আনন্দপুর এলাকায় দুষ্কৃতী তাণ্ডবের ঘটনা প্রকাশ্যে এল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy