গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
পুত্রবধূকে অপহরণকারীদের হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ গেল শ্বশুরের। খাস কলকাতায় ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে। যদিও বুধবার সকালের আগে পুলিশ জানতেই পারেনি গোটা ঘটনা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর আঠাশের এক মহিলা মঙ্গলবার রাতে নিমন্ত্রণ বাড়ি থেকে ফিরছিলেন। ট্যাংরা থানা এলাকার ক্রিস্টোফার রোডে তাঁর বাড়ি। পাশেই পূর্বাঞ্চল স্কুলের কাছে বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ শাশুড়িকে সঙ্গে নিয়ে হেঁটেই বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। পিছনে সামান্য দূরে হেঁটে আসছিলেন তাঁর শ্বশুর উজ্জ্বল প্রামাণিক (নাম পরিবর্তিত) এবং ওই মহিলার মামাশ্বশুর।
অভিযোগ, ওই সময়ে গোবিন্দ খটিক রোড ধরে তপসিয়ার দিক থেকে ট্যাংরা থানার দিকে আসছিল একটি সাদা রঙের অ্যাম্বুল্যান্স। সেই অ্যাম্বুল্যান্সটি মহিলার পাশে এসে গতি কমিয়ে দেয়। মহিলার অভিযোগ, গতি কমিয়ে অ্যাম্বুল্যান্সে বসা এক ব্যক্তি তাঁকে হাত ধরে গাড়ির মধ্যে তোলার চেষ্টা করেন। সঙ্গে সঙ্গে প্রচণ্ড আতঙ্কে চেঁচিয়ে ওঠেন ওই মহিলা। পুলিশকে মহিলা জানিয়েছেন, তিনি চিৎকার করে হাত ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতেই অ্যাম্বুল্যান্সটি পালানোর চেষ্টা করে।
সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সেই অ্যাম্বুল্যান্সের ছবি।
আরও পড়ুন: মাঝ আকাশে সন্তানের জন্ম দিলেন তাই-তরুণী
তত ক্ষণে পুত্রবধূর চিৎকার শুনে ছুটে এসেছেন উজ্জ্বল প্রামাণিক। তিনি চালকের দিকের জানলা দিয়ে অ্যাম্বুল্যান্সের চালককে ধরার চেষ্টা করেন। চালক গাড়ির গতি বাড়িয়ে পালানোর চেষ্টা করে। তখন তিনি গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে পড়েন। অভিযোগ, তাঁকে ধাক্কা মেরে প্রায় ১০০ মিটার ছেঁচড়ে নিয়ে যায় গাড়িটি। গুরুতর আহত হন তিনি। পালিয়ে যায় গাড়িটিও। এর পর তাঁকে এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: বাসিন্দাদের সাহায্যে বাইক চুরির কিনারা
পুলিশের দাবি, মঙ্গলবার রাতে ট্যাংরা থানার কাছে একটি পথ দুর্ঘটনার খবর আসে। সেই অনুযায়ী আহতকে তাঁরা হাসপাতালে নিয়ে যান এবং সেখানে আহতের মৃত্যু হয়। পুলিশ প্রাথমিক ভাবে জানত যে, বেপরোয়া অ্যাম্বুল্যান্সের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে বছর পঞ্চাশের ওই ব্যক্তির। কিন্তু বুধবার সকালে তাঁর পরিবারের সদস্যরা গোটা ঘটনা জানান। ফলে প্রথমে বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যুর মামলা হলেও, এখন নতুন করে তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে এখনও অভিযুক্তরা অধরা। হদিশ মেলেনি অ্যাম্বুল্যান্সটিরও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy