Advertisement
২৪ নভেম্বর ২০২৪

ডেঙ্গি রোধে এলাকায় ঘুরতে নির্দেশ জনপ্রতিনিধিদের

কলকাতা জুড়ে ডেঙ্গির প্রকোপ এবং ওই রোগে একের পর এক মৃত্যুর ঘটনায় আতঙ্কিত শহরবাসী। দিনদিন সেই আতঙ্কের মাত্রা বাড়ছে। মৃত্যু হয়েছে আট জনের।

মেয়র ফিরহাদ হাকিম।—ফাইল চিত্র।

মেয়র ফিরহাদ হাকিম।—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০১৯ ০২:৫৫
Share: Save:

ডেঙ্গির প্রকোপ রুখতে বাধ্যতামূলক ভাবে সপ্তাহে অন্তত দু’দিন এলাকায় ঘুরতে হবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের। কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলরদের কাছে এমনই ফরমান পাঠাচ্ছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সেই সঙ্গে প্রতিদিন কত জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁদের কোথায় ভর্তি করা হচ্ছে— তারও রিপোর্ট দিতে হবে নতুন করে গড়া একটি কমিটিকে। নগরোন্নয়ন দফতরের এক আধিকারিকের নেতৃত্বে গঠিত ওই বিশেষ কমিটিতে থাকছেন কলকাতা পুরসভা এবং স্বাস্থ্য দফতরের একাধিক অফিসার। ডেঙ্গির তথ্য নিয়ে বিভ্রান্তি কাটাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। পুরসভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, ডেঙ্গি প্রতিরোধে এখন যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কাজ করতে হবে।

কলকাতা জুড়ে ডেঙ্গির প্রকোপ এবং ওই রোগে একের পর এক মৃত্যুর ঘটনায় আতঙ্কিত শহরবাসী। দিনদিন সেই আতঙ্কের মাত্রা বাড়ছে। মৃত্যু হয়েছে আট জনের। তাই নাগরিকদের সচেতন করার পাশাপাশি পুর প্রশাসনকেও সজাগ থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার এ নিয়ে জরুরি বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগামী ১৫ দিন শহর জুড়ে ডেঙ্গি প্রতিরোধে অভিযান চালানো হবে। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারি বিভিন্ন ভবন, সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল থেকে শুরু করে জল এবং জঞ্জাল জমে থাকার আশঙ্কা রয়েছে যে সব জায়গায়, সেখানেই পৌঁছবে মশা দমনের দল।

ডেঙ্গির প্রকোপ বৃদ্ধি নিয়ে এমনিতেই অস্বস্তি বাড়ছে পুরসভার। গত ২৪ ঘণ্টায় শহরে আরও দু’জনের মৃত্যু হওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। মেয়র ফিরহাদ হাকিমের ডাকা ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিকর্তা-সহ পুরসভা ও রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পদস্থ কর্তারা। সেখানেই অভিযোগ ওঠে, শহরের অধিকাংশ ওয়ার্ডের কাউন্সিলরই সক্রিয় নন বলে স্থানীয় মানুষজনকে সজাগ করা যাচ্ছে না। পুরসভার কর্মীদের কথাও কেউ মানছেন না। এ নিয়ে মেয়র বলেন, ‘‘কাউন্সিলরদের কাছে বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হচ্ছে। এলাকায় ডেঙ্গি প্রতিরোধে কাজ হচ্ছে কি না, তা নিয়ম করে দেখতে হবে। সপ্তাহে দু’দিন ঘুরতে হবেই।’’

বৈঠকে কেন্দ্রের একাধিক অফিসের কথা তুলে বলা হয়, সেখানেও জমে থাকা

জঞ্জালের কারণে মশার বংশবৃদ্ধি হচ্ছে। বন্দর ও আয়কর দফতর-সহ একাধিক কেন্দ্রীয় সংস্থার সঙ্গে রাজ্যের বৈঠক হওয়াও জরুরি বলে জানানো হয়। মেয়র জানান, বিষয়টি মুখ্যসচিবকে জানানো হচ্ছে। পুরসভার স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, কঠিন বর্জ্য অপসারণ দফতরকে বলা হয়েছে, শহরের যে সব

জায়গায় এখনও জঞ্জাল জমে থাকছে, তা দ্রুত সাফ করতে হবে। পুর চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে নামলে ডেঙ্গির প্রকোপ কমে যাবে। তবে তত দিন পর্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে।

অন্য বিষয়গুলি:

KMC Health Dengue Firhad Hakim
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy