মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ফাইল ছবি
উত্তরে ম্যালেরিয়া, দক্ষিণে ডেঙ্গি। মশাবাহিত দু’টি রোগের দাপট বাড়তে থাকায় চিন্তায় কলকাতা পুরসভা কর্তৃপক্ষ। ম্যালেরিয়া এবং ডেঙ্গি প্রতিরোধে শুক্রবার সমস্ত বিভাগীয় আধিকারিকদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। উপস্থিত ছিলেন মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) তথা ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ, পুর কমিশনার বিনোদ কুমার। অনলাইনে বরো ইঞ্জিনিয়ারেরাও বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন।
পুরসভা সূত্রের খবর, চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গি আক্রান্ত যথাক্রমে ৩০০০ এবং ৫৬৪ জন। উত্তর কলকাতার এক, তিন, চার, পাঁচ ও ছ’নম্বর বরোয় ম্যালেরিয়া আক্রান্ত সর্বাধিক। অন্য দিকে দক্ষিণ কলকাতার আট, নয়, দশ ও বারো নম্বর বরোর ৭৩, ৭৪, ৮১, ৮২, ৮৩, ৮৮, ৯৭, ৯৯ ও ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডে ডেঙ্গির প্রকোপ বেশি। ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গির দাপট কী ভাবে কমানো যায়, বৈঠকে সেই আলোচনা হয়। টালিনালার দু’পাড়ে ডেঙ্গি আক্রান্ত বাড়ায় চিন্তিত পুরসভা। মেয়র বলেন, ‘‘টালিনালার দু’পাড়ের আবর্জনায় মশার লার্ভা জন্মাচ্ছে। নৌকা চালিয়ে দু’পাড়ের আবর্জনা পরিষ্কার করা হবে। যেখানে পুরকর্মীরা প্রবেশ করতে পারছেন না, সেখানে ড্রোনের মাধ্যমে মশার লার্ভা চিহ্নিত করা হবে।’’ নাগরিকদের কাছে তাঁর আবেদন, জ্বর হলেই যেন পুর ক্লিনিকে তাঁরা রক্ত পরীক্ষা করান।
পুরসভা সূত্রের খবর, মশা দমনে প্রতিটি ওয়ার্ডে সপ্তাহে পাঁচ দিন পুরসভার স্বাস্থ্য, জঞ্জাল, নিকাশি, বিল্ডিং-সহ অ্যাসেসমেন্ট বিভাগের কর্মীরা অভিযানে যাবেন। ময়লা জমে থাকতে দেখলেই সাফ করা হবে। সংশ্লিষ্ট জায়গার মালিকের সম্পত্তিকরের বিলে সেই সাফাই চার্জ অন্তর্ভুক্ত হবে। নির্মীয়মাণ বহুতলে জল জমলে সেখানে কাজ বন্ধের নোটিস দেওয়া হবে।
এ দিন দশ নম্বর বরো অফিসে গিয়ে এলাকার কাউন্সিলর ও আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন অতীন ঘোষ। অভিযোগ, ওই বরোয় একাধিক নির্মীয়মাণ বহুতলে কাজ বন্ধের নোটিস দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হলেও এগ্জিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার এখনও সেই কাজ করেননি। সেই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনিয়ারকে এ দিন সতর্ক করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy