ভাঙচুর হচ্ছে গাড়ি। ছবি সিসিটিভি থেকে সংগৃহীত।
রাতের অন্ধকারে মুখে গামছা বেঁধে দুষ্কৃতীরা এলোপাথাড়ি ভাঙচুর চালাল প্রায় বেশ কয়েকটি গাড়িতে। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে টালিগঞ্জের একটি আবাসনের সামনে। যাঁদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে, তাঁদের অভিযোগ, বেপাড়ার কিছু যুবক রাস্তায় মদ্যপান করত। গন্ডগোল পাকাত। তা নিয়ে প্রতিবাদ করার জেরেই এই ঘটনা।
টালিগঞ্জের গ্রাহামস্ লেন ওয়েল ফেয়ার অ্যান্ড কালচারাল সোসাইটির সামনে মঙ্গলবারের এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে যাদবপুর থানার পুলিশ। তবে এখনও অভিযুক্তরা অধরা। ওই আবাসনেরই বাসিন্দা অশোক ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘গত বছর দেড়েক ধরে কিছু বেপাড়ার যুবক আমাদের আবাসনের সামনে আড্ডা মারত।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘ওই যুবকরা সন্ধ্যা নামলেই অন্ধকারে, কখনও রাস্তার আলো নিভিয়ে আবাসনের সামনে মদ্যপান করত। মত্ত অবস্থায় গন্ডগোল করত।’’ আবাসনের বাসিন্দাদের সঙ্গে অশালীন আচরনও করত বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের।
আরও পড়ুন: লকডাউনের তৃতীয় দিনেও ধরপাকড়, পুলিশি কড়াকড়িতে ঘরবন্দি রাজ্যবাসী
আরও পড়ুন: সামনের মাসে লকডাউনেও বন্ধ শহরের উড়ান
অশোক ঘোষের মতো আরও এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘আমরা বিভিন্ন সময়ে প্রতিবাদ করেছি। কিন্তু কোনও ফল হয়নি। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা হয় লকডাউনের সময়।” অভিযোগ, লকডাউনকে পাত্তা না দিয়ে নিয়মিত জমায়েত করত ওই যুবকরা। বাসিন্দাদের দাবি, বার বার বিভিন্ন ভাবে বলেও সমস্যার সমাধান না হওয়ায় গত রবিবার তাঁরা যাদবপুর থানায় ওই যুবকদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তারপর পুলিশ এসে ঘটনাস্থল দেখেও যায়। কিন্তু তার পরেই এই ঘটনা। বুধবার সকালে আবাসনের বাসিন্দারা দেখেন, রাস্তায় পার্ক করা পর পর গাড়ির কাঁচ কেউ বা কারা ভেঙে দিয়েছে। এর পরই আবাসনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করা হয়। দেখা যায়, মধ্যরাতে এক যুবক দু’হাতে ইট নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে গাড়ির দিকে। তারপরই গাড়ির জানলায় ইট ছুড়ে পালিয়ে যাচ্ছে। যুবকটির এক সঙ্গীকেও দেখা যায় ফুটেজে। দু’জনেরই মুখ ঢাকা গামছা দিয়ে। অশোক বাবুর ইঙ্গিত, ‘‘যাঁরা রাস্তায় মদ্যপান করত তাঁরাই এখ কান্ড করেছে।”
বুধবার সকালে আবাসনের বাসিন্দারা ফের যাদবপুর থানায় অভিযোগ জানান। কলকাতা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘আমরা তদন্ত শুরু করেছি। সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখছি।” তবে এখনও কোনও অভিযুক্ত ধরা পড়েনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy