Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪

চোরাই বাইকে পুলিশের স্টিকার, ধৃত 

পুলিশ জানায়, মহেশতলা এলাকায় এক মাস ধরে একের পর এক মোটরবাইক চুরির অভিযোগ উঠছিল। ন’টি মোটরবাইক চুরির অভিযোগ দায়ের হয়েছিল মহেশতলা থানাতে।

—ফাইল চিত্র

—ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০১৯ ০২:৪৫
Share: Save:

পুলিশের নজর এড়াতে চোরাই বাইকে পুলিশের স্টিকার সেঁটেছিল বাইকচোর। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। সেই বাইক চেপে ঘোরার সময়ই সে ধরা পড়ল।

পুলিশ জানায়, মহেশতলা এলাকায় এক মাস ধরে একের পর এক মোটরবাইক চুরির অভিযোগ উঠছিল। ন’টি মোটরবাইক চুরির অভিযোগ দায়ের হয়েছিল মহেশতলা থানাতে।

ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, ওই এলাকার বিভিন্ন সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যাচ্ছিল এক যুবক মোটরবাইক চুরি করছে। কিন্তু সে ওই এলাকার বাসিন্দা নয় বলেই জানতে পারে পুলিশ। এর পরেই ফুটেজ থেকে ওই যুবকের ছবি তৈরি করে সেটি বিভিন্ন থানা এলাকায় পরিচিত লোকজনকে দেয় পুলিশ।

তদন্তকারীরা জানান, বুধবার সকালে রবীন্দ্রনগর এলাকার এক বাসিন্দা দেখতে পান একবালপুরে ওই যুবক কলকাতা পুলিশের ‘স্টিকার’ লাগানো একটি মোটরবাইকে চেপে ঘুরছে। এর পরেই ওই এলাকায় নজরদারি শুরু করে পুলিশ। দুপুরের পরে পুলিশ জানতে পারে ওই যুবক রবীন্দ্রনগর থানা এলাকায় ঘুরছে। সন্ধ্যার পরে রাজেশ আলি সর্দার নামে একবালপুরের বাসিন্দা ওই যুবককে আটক করে মহেশতলা থানায় নিয়ে আসা হয়। দীর্ঘক্ষণ জেরা করার পরে মোটরবাইক চুরির বিষয়টি সে স্বীকার করে বলে পুলিশের দাবি।

তদন্তকারীদের দাবি, চোরাই মোটরবাইক রাজেশ পার্ক স্ট্রিট থানার মল্লিকবাজারে রমেশ জয়সওয়াল নামে এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করত। রাতেই মল্লিকবাজার থেকে রমেশকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

তদন্তকারীদের কথায়, চুরির মোটরবাইকের রং ও নম্বর বদল করে নকল কাগজপত্র তৈরি করত রাজেশ ও রমেশ। এর পরে পুরনো মোটরবাইকের দামে চুরির বাইক বিক্রি করে দিত তারা। পুলিশের সন্দেহ এড়াতে সেই কারণে একটি চুরি করা বাইকে কলকাতা পুলিশের ‘স্টিকার’ সাটিয়ে রাজেশ ঘুরত বলে জানিয়েছে পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে চারটি চুরির মোটরবাইক উদ্ধার করেছে পুলিশ।

অন্য বিষয়গুলি:

Smugling Kolkata Police Smuggled Bike
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE