প্রতীকী ছবি।
হাওড়ার চিকিৎসক অপহরণ-কাণ্ডের মূল চক্রী, পলাতক তরুণীকে অবশেষে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃত তরুণীর নাম অঞ্জু শেখ। তিনি আগে ওই চিকিৎসকের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতেন। পুলিশ জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে ওই তরুণী স্বীকার করেছেন যে টাকার লোভেই তিনি তাঁর প্রেমিক শোভরাজ দত্ত ওরফে রাজকে নিয়ে অপহরণের ছক করেছিলেন। কিন্তু অপহরণের পরে মুক্তিপণের টাকা আনতে গেলে খবর চলে যায় স্থানীয় একটি ক্লাবের ছেলেদের কাছে। তার জেরে গোটা পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। ওই ক্লাবের সদস্যরা অঞ্জুর দুই শাগরেদকে ধরে ফেলেন। পরে পুলিশ শোভরাজ এবং রোহিত রায় নামে আর এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।
গত ২৩ ডিসেম্বর আমতার ক্লিনিকে যাওয়ার সময়ে অপহরণ করা হয় হাওড়ার রামরাজাতলার বাসিন্দা, চিকিৎসক দেবীশঙ্কর দে-কে। মোটরবাইকে চেপে তাঁর গাড়ির রাস্তা আটকায় চার দুষ্কৃতী। গাড়ি-সহ ওই চিকিৎসককে অপহরণ করে ৫০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চায় দুষ্কৃতীরা। পরে ওই চিকিৎসকের বাড়ির সামনে থেকে মুক্তিপণের টাকা আনতে গেলে এলাকার একটি ক্লাবের সদস্যেরা জিৎ গোরা ও সংগ্রাম দাস নামে দু’জনকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। এর পর একে একে শোভরাজ ও রোহিতকে ধরে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, জেরায় সময়ে ধৃতেরা জানায় গোটা ঘটনার পিছনে রয়েছেন অঞ্জু শেখ নামে এক তরুণী। তিনি ওই চিকিৎসকের বাড়িতে ২০১৯ সালের পুজোর আগেও কাজ করতেন। কিন্তু বাড়ি থেকে টাকাপয়সা হাতিয়ে নেওয়ায় ও পুজোর আগে আচমকা দু’মাস বেপাত্তা হয়ে যাওয়ায় দেবীশঙ্করবাবুর পরিবার বিরক্ত হয়ে তরুণীকে কাজ থেকে ছাড়িয়ে দেন। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানায়, ওই চিকিৎসক কোন ব্যাঙ্কে টাকা রাখেন, তাঁর শিশুসন্তান কখন স্কুল থেকে ফেরে, চিকিৎসক কবে, কখন আমতার ক্লিনিকে যান এই সব তথ্য ধৃত তরুণী জানতেন।
হাওড়া গ্রামীণ পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘রাজের সাহায্য নিয়ে চিকিৎসককে অপহরণের ছক কষেন অঞ্জু। রাজই আরও কয়েক জন দুষ্কৃতীকে জোগাড় করে যাদের মোটরবাইক আছে।’’ ঘটনার পরে প্রথমে বাড়ি থেকে পালিয়ে গেলেও পরে হাওড়ায় নিজের ডেরায় ফিরে এসেছিলেন তরুণী। সূত্রের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ গত ৩১ ডিসেম্বর মাঝরাতে তাঁকে গ্রেফতার করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy