Advertisement
০৭ নভেম্বর ২০২৪

ভোট পার্বণে ঘরমুখী প্রবাসীরা

রুটি-রুজি আর উচ্চশিক্ষার দেশজুড়ে ছড়িয়ে আছেন অনেকেই। নিজেদের নাগরিক অধিকার প্রয়োগ করতে উন্মুখ ওঁরাও।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০১৯ ০০:৪০
Share: Save:

শুধু ভোট দেওয়ার জন্য গুজরাতের ভারুচ থেকে পলাশি এসেছিলেন দীপক বিশ্বাস। এই ভোট দেওয়ার জন্যই গুরুগ্রাম থেকে ইতিমধ্যে কসবায় নিজের বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছেন শ্রেয়ান দত্ত চক্রবর্তী। ভোটও যে এক ঘরে ফেরার পার্বণ!

শুধুই দীপক কিংবা শ্রেয়ান নন, রুটি-রুজি আর উচ্চশিক্ষার দেশজুড়ে ছড়িয়ে আছেন অনেকেই। নিজেদের নাগরিক অধিকার প্রয়োগ করতে উন্মুখ ওঁরাও। তাই ভিন্‌ রাজ্যে কাজের জায়গা থেকে ছুটি নিয়ে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে তাঁদের অনেকেই ফিরছেন আপন শহর, গ্রামে।

চাকরি সূত্রে ভারুচে থাকেন দীপক। জানালেন, কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে গত ২৯ এপ্রিল ভোট দিয়ে আবার কর্মক্ষেত্রে ফিরেও গিয়েছেন তিনি। শ্রেয়ান দক্ষিণ ভারতের এক ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে লেখাপড়া শেষ করে কিছু দিন আগে গুরুগ্রামে চাকরি পেয়েছেন। বেশ আগে থেকে পরিকল্পনা করেই এ শহরে ভোট দিতে এসেছেন তিনি। জানালেন, আগে থেকে উড়ানের টিকিট না কাটলে শেষ মুহূর্তে আসতে অসুবিধে হত। তাই বেশ কিছু মাস আগেই কেটে রেখেছিলেন টিকিট। আজ, রবিবার জীবনের প্রথম ভোট দেবেন শ্রেয়ান। তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচন ঘিরে প্রচুর কাদা ছোড়াছুড়ি চলছে। কিন্তু ভোটটা আমি দিতে চাই। মনে করি, নাগরিক হিসেবে আমার অধিকার প্রয়োগ করাটা খুবই প্রয়োজন।’’

এ বছর প্রথম ভোট দেবেন সোহম চক্রবর্তীও। সোহম সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে পাশ করে এখন হায়দরাবাদে একটি বহুজাতিক সংস্থায় কর্মরত। কলকাতা দক্ষিণ কেন্দ্রের ভোটার সোহম ইতিমধ্যেই চলে এসেছেন শহরে। তাঁর বক্তব্য, ‘‘এই বিশাল গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আমার মতটাও থাকুক। এটুকুই চাই।’’

দেবশ্রী রায় আদতে বীরভূমের বাসিন্দা। বিয়ের পরে ঠিকানা হয় রাজারহাট। স্বামীর চাকরির সূত্রে আপাতত বেঙ্গালুরুতে। দেবশ্রীও ভোট দিতে চলে এসেছেন রাজারহাটে। দমদম লোকসভা কেন্দ্রে এ বারের ভোটার দেবশ্রীর মতে, ভোট একটা গণতান্ত্রিক উৎসব। উৎসবে শামিল হতে চান বলেই তিনি চলে এসেছেন বেঙ্গালুরু থেকে। রাজনৈতিক পরিচিতি নিয়েও কোনও লুকোচুরি নেই তাঁর। তিনি বলেন, ‘‘এই ভোটপুজোয় অংশ নেব না, তা হয় না। তাই চলে এসেছি, স্বামীও চলে আসছে ভোট দিতে।’’ মুম্বইয়ের চাকরি ছেড়ে উচ্চশিক্ষার জন্য দক্ষিণ ভারতের ম্যানেজমেন্ট কলেজে যোগ দেওয়ার ফাঁকে ভোট দিতে শহরে চলে এসেছেন বেহালার ছেলে সৌম্য চক্রবর্তীও। তিনি বলেন, ‘‘গত বার ভোট দিয়েছিলাম। এ বার তো মিলিয়ে দেখবই। সে বারের প্রত্যাশা পূরণ হল কি না। তা বুঝে আবার ভোট দিতেই হবে!’’

নাগরিকত্বের দায়িত্ব যদি টেনে আনে ঘরে, তেমন ছুটিতে কত জনেই বা না বলতে পারেন!

অন্য বিষয়গুলি:

Lok Sabha Election 2019 Vote Homecoming
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE