প্রতীকী চিত্র
স্বাস্থ্যকর্মী এবং আবর্জনা অপসারণে যুক্ত পুরকর্মীদের মতো যাঁরা এই সময়ে জরুরি পরিষেবা দিচ্ছেন, তাঁদের পনেরো দিনের জন্য বেতন বাড়িয়ে দেওয়া হল। শনিবার সল্টলেকে এ কথা জানান বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী।
মেয়র জানান, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন ওই পুরকর্মীরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তাঁদের সুরক্ষার দিকে বাড়তি নজর দেওয়া হচ্ছে। শুক্রবার বিধাননগর পুরভবনে একটি জরুরি বৈঠকে বসেন পুরকর্তারা। সেখানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে একগুচ্ছ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পুরসভা সূত্রের খবর, যাঁরা পথেঘাটে কাজ করছেন, সেই কর্মীদের জন্য ২৫০০ গ্লাভস, ৫০০০ মাস্ক এবং ১০০০০ সাবান কেনা হবে। অ্যাম্বুল্যান্স চালক ও সহকারীদের জন্য কেনা হবে সুরক্ষা-পোশাক। পাশাপাশি, এই সময়ে যাঁরা জরুরি পরিষেবা দিচ্ছেন, তাঁদের উৎসাহ ভাতা দেওয়ার পরিকল্পনাও করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে বিধাননগরের বিভিন্ন এলাকা জীবাণুমুক্ত করার জন্য স্প্রিঙ্কলার-সহ দু’টি গাড়ি ভাড়ায় নেওয়া হয়েছিল। একটি সল্টলেক এবং অন্যটি রাজারহাট-গোপালপুরে কাজ করছে। মেয়র জানান, সল্টলেকে তিন জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাই যাতে রোগ আরও ছড়িয়ে না পড়ে, তার জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে স্প্রে মেশিন কেনা হচ্ছে। ওই মেশিন দিয়ে জীবাণুনাশক ছড়ানো হবে। তার জন্য ওয়ার্ড পিছু ৫০ লিটার জীবাণুনাশক বরাদ্দ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি, প্রবীণ বাসিন্দা, শ্রমিক, ভবঘুরে এবং দৈনিক রোজগারের উপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ করা হচ্ছে। তাঁদের কাছে যাতে ঠিক মতো খাবার পৌঁছে যায়, সেই বিষয়ে জোর দেওয়া হচ্ছে।
মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী শনিবার জানান, গ্যারাজে থাকা মানুষজন এবং কাজে আটকে যাওয়া শ্রমিকদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পাঁচ নম্বর সেক্টরে কাজ করতে এসে আটকে যাওয়া শ্রমিকেরা ফোন করেছিলেন। তাঁদেরও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ২১ নম্বর ওয়ার্ডে ৩ হাজার বাসিন্দাকে খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ করা হচ্ছে। এই কাজে অনেক সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রশাসনের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। এই রোগ প্রতিরোধে সকলের কাছে সহযোগিতার আবেদন করেছেন মেয়র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy