বৌবাজারের পুরনো বাড়িতে জ্বলছে আগুন। ফাইল চিত্র।
দিন পাঁচেক আগে চড়াও হয়েছিলেন প্রোমোটার এবং তাঁর সঙ্গীরা।ভেঙে দেওয়া হয়েছিল কাঠের সিঁড়ি। গত কয়েক মাস ধরে এ ভাবেই বাড়ি প্রোমোটিংয়ের জন্য চাপ আসছিল বলে বাসিন্দাদের দাবি। যে কারণে বৌবাজারে শতাব্দীপ্রাচীন ওই বাড়িতে আগুন লাগার পিছনে অন্তর্ঘাতের অভিযোগ করছেন তাঁদের একাংশ। পরিকল্পিত ভাবে আগুন লাগানো হতে পারে বলে আশঙ্কা তাঁদের। গোটা বিষয়টি তাঁরা পুলিশকে জানিয়েছেন।
এ দিকে, শনিবার সন্ধ্যায় বৌবাজারের ডেমজ়েন লেনে ১২০ বছরের পুরনো ওই তেতলা বাড়িতে আগুন লাগার কারণ ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় পরেও পুলিশ নিশ্চিত ভাবে বলতে পারেনি। কারণ জানতে ফরেন্সিক পরীক্ষার রিপোর্টের অপেক্ষা করা হবে বলে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সময়ে জরাজীর্ণ বাড়িটির তেতলায় ছিলেন পরিবারের সদস্যেরা। তড়িঘড়ি তাঁদের বার করে আনা হয়। দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে দমকলের চারটি ইঞ্জিন। প্রায় ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ঘিঞ্জি এলাকায় আগুন লাগার খবর শুনে ঘটনাস্থলে পৌঁছন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু।
রবিবার বাসিন্দাদের একাংশ আগুন লাগার পিছনে অন্তর্ঘাতের দিকেই আঙুল তুলেছেন। তেতলার এক বাসিন্দা রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, কয়েক বছর ধরে এই বাড়ি ভেঙে প্রোমোটারকে দেওয়ার জন্য চেষ্টা হচ্ছিল। ২০১৬ সালে স্থানীয় এক প্রোমোটারের সঙ্গে প্রাথমিক চুক্তিও হয়। কিন্তু বছর দুয়েক পরে সেই চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও বাড়ি ভাঙা তো দূর, প্রোমোটিংয়ের কাজ এগোয়নি বলে তাঁর দাবি। রাহুল বলেন, ‘‘মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও সম্প্রতি প্রোমোটিংয়ের চাপ বাড়ছিল। নানা ভাবে আমাদের উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছিল। তাই আদৌ আগুন লেগেছে, না কি লাগানো হয়েছে, এই নিয়ে সন্দেহ আছে। আমরাপুলিশকে মৌখিক ভাবে সব জানিয়েছি। লিখিত ভাবে পুলিশকে অভিযোগ করা হবে।’’
যদিও এখনই এই বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ পুলিশ। এক তদন্তকারী আধিকারিক বলেন, ‘‘ফরেন্সিক পরীক্ষার প্রাথমিক রিপোর্ট এলেই আগুন লাগার কারণ স্পষ্ট হবে। তার পরেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy