অনশনমঞ্চে জুনিয়র ডাক্তারেরা। বৃহস্পতিবার ধর্মতলায়। —নিজস্ব চিত্র।
গত শনিবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলের সামনে জুনিয়র ডাক্তারদের আমরণ অনশন শুরু হয়েছে। ১১৩ ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়েছে। এখনও অনশন চলছে। অনড় জুনিয়র ডাক্তারেরা।
জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন তোলার জন্য অনুরোধ করছেন সিনিয়র ডাক্তারদের একাংশ। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁরা ধর্মতলায় পৌঁছেছেন। তাঁদের এক জন বলেন, ‘‘ওঁরা আমাদের সন্তানসম। পশ্চিমবঙ্গের সকল শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ যে অনুরোধ করছেন, আমরাও সেই অনুরোধ নিয়ে এসেছি। ওঁদের দাবি যথার্থ। সেগুলি ছিনিয়ে আনতে হবে। কিন্তু জীবন বাজি রেখে নয়। প্রশাসনের কাছে আমাদের আর্জি, ওঁদের দাবিগুলির প্রতি আরও উদার, মানবিক হোন।’’
জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনমঞ্চে সাধারণ মানুষও জমায়েত করেছেন। পাশে থাকার বার্তা দিচ্ছেন।
জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনের ১১১ ঘণ্টা পেরিয়ে গেল। সরকারের সঙ্গে বৈঠক থেকে সমাধানসূত্র মেলেনি। অনশন দীর্ঘতর হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।
বৈঠক শেষে অন্য কথা বলেন মুখ্যসচিব পন্থ। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের বিশ্বাস, আজকের আলোচনাকে ইতিবাচক এবং গঠনমূলক আলোচনা হিসাবেই নেবেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। সব আলোচনাই ইতিবাচক হয়। আজকের আলোচনাকে সদর্থক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখা হলে ভালই হবে। ওঁরা অনশন থেকে উঠুন। দরকারে আবার আলোচনায় বসব।’’
মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক করে বেরিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধিরা। তাঁদের মতে, এই বৈঠক ‘নিষ্ফলা’। কোনও দাবি নিয়েই কোনও সদুত্তর মেলেনি সরকারের তরফে। কেউ কেউ বৈঠক থেকে বেরিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
বুধবার রাতে জুনিয়র ডাক্তারদের আলোচনায় ডেকেছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। স্বাস্থ্য ভবনে বৈঠকে ডাকা হয়েছিল তাঁদের। গভীর রাত পর্যন্ত বৈঠক হয়।
আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে এবং জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছে একাধিক হাসপাতালে সিনিয়র ডাক্তারেরা ‘গণইস্তফা’ দিয়েছেন। আরজি কর, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজেও সিনিয়র ডাক্তারেরা ইতিমধ্যে ইস্তফাপত্রে স্বাক্ষর করেছেন। একই পথে হাঁটবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ, সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তারেরাও।
জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন এবং তাঁদের দাবিগুলিকে সমর্থন করে পাশে দাঁড়িয়েছেন সিনিয়র ডাক্তারেরাও। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অনশনমঞ্চে সিনিয়র ডাক্তারেরা প্রতীকী অনশনে বসেছেন। সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টা না খেয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন তাঁরা।
ধর্মতলায় শনিবার রাতে অনশন শুরু করেছিলেন ছ’জন জুনিয়র ডাক্তার। পরে তাতে যোগ দেন আরজি করের অনিকেত মাহাতোও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy