সংগৃহীত ছবি।
কলকাতা পুরসভার সেন্ট্রাল স্টোর থেকে সম্প্রতি জলের পাইপ চুরির কথা জানা গিয়েছিল। সেই চুরির কিনারা হওয়ার আগেই ফের চুরি। তবে এ বার চুরি পুরসভা নিয়ন্ত্রিত মোহরকুঞ্জ উদ্যানে। লকডাউনের সময় থেকে বন্ধ হয়ে পড়ে থাকা এই উদ্যানের কিছু ফোয়ারার যন্ত্রাংশ ও বাতিস্তম্ভের আলো চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুধু তা-ই নয়, দরপত্রে সমস্যা দেখা দেওয়ায় বিকল হয়ে যাওয়া ‘লাইট অ্যান্ড সাউন্ড’ ফোয়ারার মেরামতির কাজও আটকে গিয়েছে। ফলে শহরের উদ্যানগুলি পুরোপুরি খুলে দেওয়ার আগে মোহরকুঞ্জ নিয়ে সমস্যায় পুর কর্তৃপক্ষ। সেখানে চুরির ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য তথা উদ্যান দফতরের প্রাক্তন মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার বলেন, “মোহরকুঞ্জ থেকে চুরির বিষয়টি জানতে পারার পরেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। অন্য দিকে খারাপ হয়ে পড়ে থাকা লাইট অ্যান্ড সাউন্ড ফোয়ারা মেরামতিতে দরপত্র নিয়েও সমস্যা তৈরি হয়েছে। ফলে আপাতত সেই কাজ আটকে গিয়েছে। এই দরপত্র ফের নতুন করে ডাকা হবে।’’
পুর উদ্যান দফতর সূত্রের খবর, লকডাউনের কারণে গত মার্চ থেকে শহরের উদ্যানগুলি বন্ধ ছিল। অভিযোগ, সেই সুযোগেই এই চুরি হয়েছে। সম্প্রতি উদ্যানগুলি জনসাধারণের জন্য ফের খুলে দেওয়ার আগে পুরসভার পক্ষ থেকে সেখানকার ফোয়ারা এবং আলো পরীক্ষা করা হয়েছিল। তখনই এই চুরির কথা জানাজানি হয়। এর পরেই হেস্টিংস থানায় অভিযোগ দায়ের করেন পুর কর্তৃপক্ষ। তবে নিরাপত্তারক্ষীরা থাকা সত্ত্বেও এই চুরি কী ভাবে হল এবং তা আরও আগে জানা গেল না কেন, সেই প্রশ্ন উঠছে। কী কী সামগ্রী চুরি গিয়েছে এবং তার মূল্য কত, তা নিয়ে পুর আধিকারিকদের তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছে।
অন্য দিকে, মোহরকুঞ্জের অন্যতম আকর্ষণ ‘লাইট অ্যান্ড সাউন্ড’ ফোয়ারাটি লকডাউনের আগে থেকেই বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে। উদ্যান বন্ধ থাকার সুযোগে এই ফোয়ারার কোনও যন্ত্রাংশ অবশ্য চুরি যায়নি। লকডাউনের আগেই দরপত্র ডেকে কোনও সংস্থাকে দিয়ে ওই ফোয়ারা সংস্কারের কথা ভেবেছিলেন পুর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু নিয়মানুযায়ী, তিনটির পরিবর্তে মাত্র দু’টি সংস্থা সেই আবেদনে সাড়া দেয়। ফলে নিয়মের গেরোয় আটকে গিয়েছে ওই ফোয়ারা মেরামতির কাজ। তাই ফের নতুন করে দরপত্র ডাকার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছেন পুর কর্তৃপক্ষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy