ফাইল চিত্র।
গত মাসে কলকাতা পুরসভার অধিবেশনে নয়া নাগরিকত্ব আইন ও জাতীয় নাগরিক পঞ্জির বিরুদ্ধে চেয়ারপার্সনের কাছে সর্বদলীয় প্রস্তাব আনার দাবি জানিয়েছিলেন বাম কাউন্সিলরেরা। কিন্তু তা গ্রহণ করা হয়নি। অথচ, শনিবার পুর অধিবেশনে একই বিষয়ে শাসক দলের কাউন্সিলরের প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে। এমন ‘বৈষম্যমূলক’ আচরণের প্রতিবাদে এ দিন অধিবেশনে হইচই শুরু করে দেন বাম কাউন্সিলরেরা। চেয়ারপার্সন মালা রায়ের কাছে প্রতিবাদ জানান তাঁরা। শেষমেশ অধিবেশন বয়কট করেন। তত ক্ষণে প্রস্তাবের পক্ষে বক্তৃতা শুরু করে দিয়েছেন পুরসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতক রত্না শূর। বিজেপি কাউন্সিলর বিজয় ওঝা এনআরসি-র সমর্থনে বলতে উঠতেই চেঁচামেচি জুড়ে দেন তৃণমূল কাউন্সিলরেরা। ফের এক বার গোলমাল বাধে।
তবে এ দিন প্রস্তাবের পক্ষে বলতে গিয়ে কংগ্রেস কাউন্সিলর প্রকাশ উপাধ্যায় চিৎকার করে বলেন, ‘‘যাঁরা এনআরসি-র বিরুদ্ধে, তাঁরা হাত তুলুন। হলেনই বা বিরোধী দলের কাউন্সিলর। প্রস্তাব তো তৃণমূলেরই। তাই ওই আহ্বানে সাড়া দিয়ে দু’হাত তোলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিমও।
মাসখানেক আগে বিধানসভা অধিবেশনে সিএএ এবং এনআরসি-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে সবর্দলীয় প্রস্তাবের আবেদন জানিয়েছিলেন কংগ্রেস ও বাম বিধায়কেরা। কিন্তু তা নাকচ হয়ে যায়। তারই পুনরাবৃত্তি ঘটে পুরসভার অধিবেশনে। তা হলে একই বিষয়ে শাসক দলের কাউন্সিলরের তোলা প্রস্তাব গৃহীত হল কেন? এই প্রশ্ন তোলেন পুরসভায় বিরোধী দলের নেত্রী, সিপিএম কাউন্সিলর রত্না রায়মজুমদার। জবাবে পুরসভার চেয়ারপার্সন মালা রায় বলেন, ‘‘অধিবেশনে প্রশ্ন বা প্রস্তাব তোলার একটি নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। তা মানা হয়নি বলেই গত অধিবেশনে আলোচনার সুযোগ মেলেনি।’’ আর মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘ওঁরা তো আগের বার কোনও প্রস্তাব জমা দেননি। তা হলে গৃহীত হওয়ার প্রশ্ন উঠছে কেন? আসলে ওঁরা নাটক করতে ভালবাসেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy