আরজি করের ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার। —ফাইল চিত্র।
আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারকে শুক্রবার শিয়ালদহ আদালতে ধৃতকে হাজির করানো হয়েছিল। ভার্চুয়াল মাধ্যমে আদালতে ছিলেন তিনি। তাঁর আইনজীবী আদালতে নতুন একটি আবেদন করেছেন। অভিযুক্তকে জেলের মধ্যে সাধারণ ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করার আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
আরজি কর মামলার শুনানি চলাকালীন ধৃতের আইনজীবী আদালতে জানান, তাঁর মক্কেলকে সাধারণ ওয়ার্ডে পাঠানো হোক। বিচারক প্রশ্ন করেন, কেন? বস্তুত, আরজি কর মামলার মতো গুরুতর অভিযোগের ক্ষেত্রে মূল অভিযুক্তকে কেন সাধারণ ওয়ার্ডে পাঠানো হবে, জানতে চান বিচারক। ধৃতের আইনজীবী তখন জানান, তাঁর মক্কেল জেলে একাকিত্বে ভুগছেন। সেই কারণেই তাঁর সাধারণ ওয়ার্ডে থাকা প্রয়োজন। জেলে অন্য বন্দিদের সঙ্গে মিলেমিশে থাকতে পারলে ধৃতের উপর মানসিক চাপ কিছুটা হলেও কমবে, জানান আইনজীবী।
আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে গত ৯ অগস্ট উদ্ধার করা হয়েছিল মহিলা চিকিৎসকের দেহ। তাঁকে ধর্ষণ এবং খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। পরের দিনই গ্রেফতার করা হয় সিভিক ভলান্টিয়ারকে। কলকাতা পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছিল। পরে আদালতের নির্দেশে এই মামলার তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। পুলিশ অভিযুক্তকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেয়। আরজি করে ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের নিয়মিত যাতায়াত ছিল বলে জানতে পেরেছিলেন তদন্তকারীরা। ঘটনার দিন রাতে হাসপাতালে তাঁকে একাধিক বার ঢুকতে দেখা গিয়েছিল। ভোররাতেও সেমিনার হল থেকে বেরোতে দেখা যায় অভিযুক্তকে। সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সিবিআই অভিযুক্তের পলিগ্রাফ পরীক্ষা করিয়েছে। তবে নারকো পরীক্ষায় তিনি রাজি হননি। ফলে সেই আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে। ধৃতের আইনজীবী আদালতে বার বার দাবি করেছেন, তিনি নির্দোষ। ঘটনার দিন তিনি যখন সেমিনার হলে ঢোকেন, তার আগে থেকেই তরুণীর দেহ পড়ে ছিল সেখানে। এমনটাই দাবি। তবে একাধিক বার তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy