গোটা শহরে ই-চালান ব্যবস্থা চালু করতে চলেছে লালবাজার। ফাইল চিত্র।
ট্র্যাফিক আইনভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে এনআইসি ই-চালান ব্যবস্থা গোটা শহরে চালু করতে চলেছে লালবাজার। এত দিন কলকাতা পুলিশের চারটি ট্র্যাফিক গার্ড ওই ই-চালানের মাধ্যমে আইনভঙ্গকারীদের থেকে জরিমানা নিচ্ছিল। এ বার শহরের বাকি ২১টি ট্র্যাফিক গার্ডেও ওই ব্যবস্থা চালু হচ্ছে। তবে, তা হবে পরীক্ষামূলক ভাবে।
উল্লেখ্য, উত্তর এবং মধ্য কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় সীমাবদ্ধ এই ব্যবস্থা এখন শহরময় ছড়িয়ে দিতে চাইছে লালবাজার। এক পুলিশকর্তা জানান, শহরের বাকি অংশে এনআইসি ই-চালান চালু করা নিয়ে সোমবার বৈঠক হয়েছে। স্থির হয়েছে, ১৫ দিনের মধ্যে তা গোটা শহরে চালু হবে। প্রত্যেক ট্র্যাফিক গার্ডের চার থেকে পাঁচ জন অফিসারকে আপাতত এই নতুন ব্যবস্থার দায়িত্ব দেওয়া হবে।
চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে কলকাতা পুলিশের হেড কোয়ার্টার্স, হাওড়া ব্রিজ, জোড়াবাগান এবং সাউথ— এই চারটি ট্র্যাফিক গার্ডে ই-চালান ব্যবস্থা চালু হয়। ভিন্ রাজ্যের গাড়ি আটক করলে তা কোথাও ট্র্যাফিক আইন ভেঙেছে কি না, এই ব্যবস্থার মাধ্যমে সেটা অফিসারেরা জানতে পারেন। আবার ট্র্যাফিক আইন ভাঙার জন্য ভিন্ রাজ্যের গাড়ির মালিক এখানে যেমন ই-চালানে জরিমানা দিতে পারবেন, তেমনই এখানকার চালক বা মালিক অন্য রাজ্যে গিয়েও জরিমানার টাকা জমা দিতে পারবেন। পারমিটের নিয়ম ভাঙার মতো অন্যান্য ট্র্যাফিক জরিমানার টাকাও সর্বভারতীয় ই-চালানের মাধ্যমে জমা দেওয়া যাবে। যা এত দিন অনলাইনে দেওয়া যেত না। যাঁরা গাড়ির ডিজিটাল নথি বা লাইসেন্স ব্যবহার করেন, তাঁদের সেই লাইসেন্স বা নথি বাজেয়াপ্ত করতে পারবে পুলিশ।
তবে লালবাজার জানাচ্ছে, গোটা শহরে ই-চালান চালু হলেও ভার্চুয়াল কোর্টের সুবিধা এখনই মিলবে না। শিয়ালদহ ও আলিপুর কোর্টে দ্রুত ওই আদালত চালু করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তা হয়ে গেলে হেড কোয়ার্টার্স, হাওড়া ব্রিজ, জোড়াবাগান ও সাউথ ট্র্যাফিক গার্ডের মতো বাকি গার্ডে দায়ের হওয়া মামলাতেও ভার্চুয়াল কোর্টের সুবিধা পাবেন আইনভঙ্গকারী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy