Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Kolkata

কলকাতার কড়চা: হারিয়ে যাওয়া, ফিরে পাওয়া শহর

ন্যাশনাল লাইব্রেরির রাজকীয় বেলভেডিয়ার হাউসে চলছে অন্য রকম এক আলোকচিত্র প্রদর্শনী— ফ্রম কলকাতা টু ইটালি: অব প্লেসেস ইন ডায়ালগ।

শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২১ ০৫:৪৪
Share: Save:

সঘন আকাশ, বৃষ্টিভেজা দুপুর। না কি বিকেল? হাওড়া ব্রিজের বিখ্যাত, সুপরিসর সাইডওয়াকে ছাতা-খোলা পথচারী ক’জন, আর মাঝনদীতে তখন পাল-তোলা নৌকো এক। ঠিক যখন মন আনমনা হয়েছে কত দিন এ শহরে বৃষ্টি আসেনি ভেবে, তক্ষুনি চোখে পড়ে নীচে, অন্য এক শহরের জলছবিতে— ভেনিস, তার বিখ্যাত ক্যানাল আর গন্ডোলাদের। দেওয়াল জুড়ে পর পর, উপর-নীচে বসানো অজস্র ছবিযুগল এ ভাবেই মনে করিয়ে দেয়, একই আকাশ, এক জল, এক বৃষ্টি-আলো-হাওয়া এখানে কলকাতায়, ওখানে মিলান, ভেনিস, রোমে! ভাষা আলাদা, নামও, মানুষ তো একই!

ন্যাশনাল লাইব্রেরির রাজকীয় বেলভেডিয়ার হাউসে চলছে অন্য রকম এক আলোকচিত্র প্রদর্শনী— ফ্রম কলকাতা টু ইটালি: অব প্লেসেস ইন ডায়ালগ। যে নিরন্তর ভাবসংলাপ অজানিতে ঘটে চলে বিপুল ভৌগোলিক দূরত্বে দাঁড়িয়ে থাকা দুই দেশ আর তাদের শহরগুলোর মধ্যে, অনবদ্য চিত্রভাষে তারই উপস্থাপন এ প্রদর্শনীতে। সব ছবিই সাদা-কালো, দেওয়ালে সাজানো জোড়ায় জোড়ায়। উপরেরটি কলকাতার, নীচেরটা ইটালির কোনও শহরের। কলকাতার রাজীব দে আর ইটালির আলেসান্দ্রো রোসানি ও রোসানা কোসলাভি-র ক্যামেরায় ধরা একগুচ্ছ ছবির এই নগরভাষ্যের আয়োজক কলকাতার কনসুলেট জেনারেল অব ইটালি ও ন্যাশনাল লাইব্রেরি। পুরো প্রকল্পটাই এক পারস্পরিক সংলাপ, তার উপস্থাপন-ভাবনা (সাবিয়ানা পাওলি) ও বিন্যাসের (সোনিয়া গুহ) কাজও হয়েছে এ শহর-ও শহর হাতে হাত মিলিয়ে, কিউরেটর ফ্রান্সেসকা রোসানি।

বিটুইন রিদম অ্যান্ড রিফ্লেকশন, স্কাই অ্যান্ড মিস্ট, উইন্ড অ্যান্ড লিভস, পাথস অ্যান্ড জার্নি, মেমরি অ্যান্ড অবলিভিয়ন, টাইম অ্যান্ড হেরিটেজ-এর মতো উপ-অংশে ভাগ করা হয়েছে প্রদর্শনীর ছবিগুলি। এই ডিজিটাল কেরদানির যুগেও কেবল ফিল্ম ক্যামেরাতেই ছবি তোলেন রাজীব, শুধু সাদা-কালোয়। এই শহর রোজ খানিক মুছে বা হারিয়ে যাচ্ছে, আবার একটু একটু করে গড়ে উঠছে অন্য প্রান্তে, ধরে রাখেন ক্যামেরায়। হাসেলব্লাড এক্সপ্যান ফিল্ম ক্যামেরায় তোলা তাঁর ছবিতে জেগে ওঠে কুয়াশামাখা ময়দানি ভোর, নিউটাউনের বহুতল-সারির তরাইয়ে মাথা দোলায় কাশফুল, হাতিবাগানের পুরনো বাড়ির ছাদ-অ্যান্টেনা উঁকি মারে আকাশে, কবি নজরুল স্টেশন থেকে হু-হু ছোটে মেট্রো রেল, কুমোরটুলির গলিতে বসে থাকেন পাথুরে রবীন্দ্রনাথ, কড়েয়া রোডে ঝিমোয় বিষণ্ণ স্কটিশ সমাধিক্ষেত্র। তার গায়ে গায়েই ফ্লোরেন্সের বহুতল, নেপলসের প্লেবিসিতো স্কোয়ার, ভিসুভিয়াসের ধারে বয়ে চলা নগরজীবন, ট্রিয়েস্ট শহরের তিনশো বছর পুরনো উইস্টেরিয়া গাছ, ফ্লোরেন্সের রাস্তায় ধ্রুপদী অ্যাস্টন মার্টিন, মিলানের ক্যাথিড্রাল আর শহুরে আকাশ, পালেরমোর বাজার বা রোমের প্যান্থিয়ন দেখে এতটুকু খাপছাড়া ঠেকে না, মনে হয়, এমনই তো হয় নাগরিক রূপকথারা। ৩০ মার্চ শুরু হয়েছে প্রদর্শনী, চলবে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত, সোম থেকে শুক্র, সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা।

অভিনব স্মরণার্ঘ্য।

অভিনব স্মরণার্ঘ্য।

কবির জন্য

‘আমি বিদ্রোহ করেছি— বিদ্রোহের গান গেয়েছি অন্যায়ের বিরুদ্ধে, অত্যাচারের বিরুদ্ধে... ধর্মের নামে ভণ্ডামি ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে।’ লিখেছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম। তাঁর অনন্য সৃষ্টি বিদ্রোহী কবিতার শতবর্ষ পূর্তির উপলক্ষকে একটি

ক্যালেন্ডার প্রকাশের মাধ্যমে স্মরণ করেছে ‘ছায়ানট (কলকাতা)’ ও ‘কোয়েস্ট ওয়ার্ল্ড’ সংস্থা। বারোটি পাতায় বিদ্রোহী কবির বারোটি সুন্দর ছবি (সঙ্গে তারই একটিতে তরুণ নজরুল), আছে নজরুলকে নিয়ে গুণিজন-উদ্ধৃতিও। ভাবনা, তথ্য সংগ্রহ সোমঋতা মল্লিকের, বিন্যাসে স্বাগত গঙ্গোপাধ্যায়, সার্বিক সহযোগিতায় নজরুল ডট ইন ওয়েবসাইট। সম্প্রতি বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে নিউটাউন নজরুলতীর্থে এক অনুষ্ঠানে নজরুল ও বঙ্গবন্ধু নামের একটি অডিয়ো সিডি-ও প্রকাশ করেছে দুই সংস্থা। সেখানে বিদ্রোহী কবি ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অমর্ত্য সেন, সেলিনা হোসেন, করুণাময় গোস্বামী, রফিকুল ইসলাম, কল্যাণী কাজী-সহ বিশিষ্ট লেখকদের রচনা ও স্মৃতিকথা পাঠ করেছেন দুই বাংলার শিল্পীরা। অভিনব স্মরণার্ঘ্য।

সবাইকে নিয়ে

মস্তিষ্কের পরিপূর্ণ বিকাশে ব্যাঘাত অনেক শিশুর সামাজিক বিকাশও প্রতিহত করে। ব্যাহত হয় পরিবারে, বন্ধুদের সঙ্গে স্বাভাবিক মেলামেশা, চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলা, প্রয়োজনীয় জিনিসের চাহিদা ও ভাবাবেগ প্রকাশ। এই অস্বাভাবিকতা অটিজ়মের লক্ষণ হতে পারে। কম বয়স থেকে বিশেষ প্রশিক্ষণ, অভিভাবকদের সহযোগিতায় বাড়িতে নিয়মিত ব্যবহারিক চর্চায় অটিজ়ম প্রতিবন্ধকতাযুক্ত মানুষদের জীবন সহজ করা সম্ভব। সাধারণ্যে চেতনা জাগাতে ২ এপ্রিল বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবসে ইন্ডিয়ান মিউজ়িয়াম, কলকাতা-র উদ্যোগে এক আন্তর্জাল-আলোচনায় অটিজ়ম-আক্রান্ত ব্যক্তিদের সমাজের নানা স্তরে ও কাজে অন্তর্ভুক্তি প্রসঙ্গে বললেন তিন বিশেষজ্ঞ— মিতু দে, চন্দ্রাণী চক্রবর্তী ও সুকন্যা দাস। করোনাকালে অনলাইনে সতত যোগাযোগ রাখার প্রয়োজনীয়তাতেও জোর দিলেন ওঁরা। ইন্ডিয়ান মিউজ়িয়ামের ইউটিউব চ্যানেলে অনুষ্ঠানটি দেখা যাবে।

গল্পে কথায়

পুরনো মাস্টারমশাইকে ঘিরে অনুষ্ঠানের আয়োজন করলেন প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীরা, কেননা পঁচাশি বছরে পা দিলেন পবিত্র সরকার। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রাক্তনী সংসদ ‘পুনশ্চ বাংলা’র প্রীতিপূর্ণ অনুষ্ঠান স্মৃতি দিয়েই তৈরি, স্মৃতিরই আঘ্রাণ তার সর্বাঙ্গে। শমীক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলাপচারিতায় উঠে এল পঞ্চাশের দশকের সংস্কৃতি ও রাজনীতি, প্রবাদপ্রতিম শিক্ষকদের গল্প। শোনা গেল গণনাট্য সঙ্ঘের সূচনার দিনগুলির কথাও। পড়ে শোনানো হল শঙ্খ ঘোষের শুভেচ্ছাবার্তা, বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ-এর এক সভায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উজ্জ্বল ছাত্রটিকে প্রথম দেখার দিনের কথা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করলেন বিভাগেরই প্রাক্তন ছাত্র ও অধ্যাপক সৌমিত্র বসু। ছিলেন সত্যবতী গিরি ও সুমিতা চক্রবর্তী।

সংগ্রামী

ধনঞ্জয় দাশ (১৯২৭-২০০৩) আজীবন ছিলেন কমিউনিস্ট আদর্শে স্থিত— চর্চায়, যাপনেও। খুলনা জেলায় জন্ম ও স্কুলজীবন কাটলেও দেশভাগের পর কলকাতায় চলে আসেন। ১৯৪৮ সালেই পার্টির সদস্যপদ পান। তার আগেই অবশ্য দু’বার কারাবরণ করেন, স্বাধীনতার পরেও দু’বার। এর পরে রাজ্য সরকারের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বিভাগে চাকরি করেছেন, সাংবাদিকতা করেছেন একাধিক পত্রিকায়, সেই সঙ্গে মার্ক্সবাদী সাহিত্য-সংস্কৃতি বিষয়ে গবেষণা করে গিয়েছেন। তাঁর লেখা মার্কসবাদী সাহিত্য-বিতর্ক বঙ্গবিদ্যাচর্চার ক্ষেত্রে এক অতি জরুরি গ্রন্থ। বাংলাদেশের স্বাধীনতার বছরেও প্রকাশিত হয়েছিল তাঁর এক গুরুত্বপূর্ণ কাজ— আমার জন্মভূমি স্মৃতিময় বাংলাদেশ। বাংলাদেশের স্বাধীনতার অর্ধশতক পূর্তি উপলক্ষে এ বার পুনর্মুদ্রিত হচ্ছে গ্রন্থটি। আজ, ৫ এপ্রিল বিকেল ৫টায় কলেজ স্ট্রিটে কফি হাউস বইচিত্র সভাঘরে বই প্রকাশ অনু্ষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বিশিষ্টজন।

নাটকের বইমেলা

ব্যস্ত রাস্তা ধরে ছুটে চলা নগরজীবন, তারই পাশে, ফুটপাতে লম্বা দুটো বেঞ্চি পাতা, সুজাতা সদনের দেওয়াল ঘেঁষে। ৩০-৩১ মার্চ এই দু’দিন ওই অল্প পরিসরেই হয়ে গেল ‘নাটকের বইমেলা’। ‘প্রতিকৃতি’ নাট্যদলের আয়োজনে এই বইমেলার এ বার ছিল চতুর্থ বছর। মেলা আকারে ছোট, দৃশ্যমানতায়ও, কিন্তু উদ্যোগের নিষ্ঠা চোখ এড়ায়নি নাট্যপ্রেমী থেকে পথচলতি মানুষের। ছিল বিভিন্ন নাট্যদলের প্রকাশিত বই, নাট্যপত্র, বিশেষ সংখ্যা; নজর কাড়ল ‘প্রতিকৃতি’ প্রকাশিত পুস্তিকা শোভা সেন এবং শিশিরকুমার, কমল সাহার করোনায় বেতার-নাটক, বাংলা নাট্যকোষ পরিষদের থিয়েটার পত্রিকাগুলি। এ বারের বইমেলা নিবেদিত ছিল সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের স্মৃতিতে, তিনিই ছিলেন দলের প্রথম নাট্যশিক্ষা-দীক্ষাগুরু, জানালেন ‘প্রতিকৃতি’-র কর্ণধার আলোক দেব।

গভীর নির্জনে

কালো জমিতে সাদা লতাপাতা-ফুলের নকশার অন্তরে খোদিত শব্দদু’টি— ‘গভীর নির্জনে’। সুধীর চক্রবর্তী (১৯৩৪-২০২০) চলে গেছেন প্রায় চার মাস, তাঁর অনন্য লেখন-গবেষণা-সম্পাদনার প্রসাদগুণরহিত এই মুহূর্তের সারস্বত জগৎ এক গভীর, বিষণ্ণ নির্জনতা অনুভব করছে বইকি। হরপ্পা লিখন চিত্রণ পত্রিকার প্রকাশিত সাম্প্রতিকতম বৈদ্যুতিন পুস্তিকাটিতে ফুটে উঠেছে জীবনরসিক মানুষটির নানা দিক ও আঙ্গিক। দুশো পৃষ্ঠারও বেশি পরিসরে, তেরোটি মননশীল ও স্মৃতিমেদুর নিবন্ধে বাঙালির গান থেকে সাহিত্য, লোকশিল্প-সংস্কৃতির বিশ্বে দাপিয়ে বেড়ানো মানুষটিকে ছোঁয়ার প্রয়াস করেছেন শিবাজী বন্দ্যোপাধ্যায়, রংগন চক্রবর্তী, সুশোভন অধিকারী, দেবাশীষ দেব, স্বপনবরণ আচার্য প্রমুখ। অমূল্য ছবি, পত্রিকা-প্রচ্ছদ, সুধীরবাবুর জীবন ও গ্রন্থপঞ্জি, হাতে-লেখা সম্পাদকীয়র প্রতিলিপিতে অলঙ্কৃত সংখ্যাটি।

ভ্রমণছবি

কিরঘিজস্তানের মায়াময় নিসর্গ, মাউন্ট লেনিন, ফেয়ারিটেল মাউন্টেন বা পামিরের পথ। লাদাখের বরফঢাকা পথে পশুগুলিকে পথ দেখিয়ে নিয়ে যাওয়া মেষপালক, একাকী ট্রেকার। ভিয়েতনামের পাহাড়ে ধাপ চাষ, নায়াগ্রা জলপ্রপাতের মহাকল্লোল, সিন্ধু নদের বয়ে চলা, লাহুল-স্পিতির নিসর্গ, সিকিমের রেশমপথ, চিনের প্রাচীন শহরের ধ্বংসাবশেষ, জাপানের মাউন্ট ফুজিয়ামা, বতসোয়ানার জিরাফ, মাসাইমারার জ়েব্রা, লিটল রান-এর বুনো গাধা, লাসার পোটালা প্রাসাদ, কী নেই! বৃন্দাবনের হোলি থেকে ধোতরে-র কুয়াশামাখা ভোর, চান্দোরির ভীমসেন গুহা থেকে উত্তরাখণ্ডের চাম্বা ও মদমহেশ্বর, ঘরের কাছে গনগনি-মন্দারমণি-মায়াপুর বা সান্দাকফু— কাছে-দূরের ভ্রমণচিত্রেরা উঠে এসেছিল ‘ট্রাভেল রাইটার্স ফোরাম’ আয়োজিত বার্ষিক প্রদর্শনীতে, ৩০ মার্চ থেকে ১ এপ্রিল গ্যালারি গোল্ডে। ভ্রমণ-লেখকদের এক ছাতার তলায় এনে বছরভর নানা কর্মশালা, সেমিনার ইত্যাদির আয়োজন করে থাকে এই ফোরাম। তিন দিনের জমজমাট প্রদর্শনীর প্রথম দিনে প্রকাশিত হল মুখপত্র ভ্রমী।

শিল্পশিক্ষক

গভর্নমেন্ট স্কুল অব আর্ট-এর অধ্যক্ষ ছিলেন তিনি। কলকাতার এই শিল্প শিক্ষালয়টির ক্রমপ্রসারণে, ‘গভর্নমেন্ট কলেজ অব আর্ট অ্যান্ড ক্রাফট’ হয়ে ওঠার পথে রমেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর (১৯০২-১৯৫৫) অবদান অনন্য। উডকাট ও উড এনগ্রেভিং গ্রাফিক্স-এর জগতে তিনি ছিলেন অগ্রণী শিল্পী ও শিক্ষক। বঙ্গশিল্প আন্দোলনেও তাঁর ভূমিকা অসীম। অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নন্দলাল বসু, অসিত হালদারের মতো শিল্পী তাঁর শিক্ষক, রবীন্দ্রনাথের সঙ্গেও ছিল ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ। আবার সোমনাথ হোর ও হরেন দাসের মতো দুই আধুনিক শিল্পী তাঁর ছাত্র। রমেন্দ্রনাথের শিল্পকৃতিতে মিশেছিল ভারতীয় দর্শন ও পশ্চিমি শিল্পপ্রকরণ, দুই-ই। অথচ আজকের সময়ে দাঁড়িয়ে তাঁর ছবি দেখার তেমন সুযোগ মেলে না। শিল্পরসিকরদের সামনে এ বার সেই সুযোগ, ২০ মার্চ থেকে প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের ‘গ্যালারি চারুবাসনা’য় (যোগেন চৌধুরী সেন্টার ফর আর্টস) চলছে রমেন্দ্রনাথের আঁকা ড্রয়িং, গ্রাফিক্স, চিত্রকৃতি (ছবিতে তারই একটি) নিয়ে প্রদর্শনী— কিউরেটর জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য। প্রদর্শনী ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত, সোমবার ও ছুটির দিন বাদে রোজ ২টা থেকে ৮টা।

মূর্ছনা

তিলোত্তমার অলিগলিতে, অঙ্গনে- উদ্যানে মার্গসঙ্গীতের আসর নিয়মিত ঘটনা। শহরের এই সাঙ্গীতিক মানচিত্রেই নতুন গৌরব, একটি বাদ্যযন্ত্র ঘিরে রাগ-উৎসব। অন্নপূর্ণা দেবী ফাউন্ডেশন-এর উদ্যোগে ২-৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় জি ডি বিড়লা সভাঘরে হয়ে গেল ‘সরোদ ফেস্টিভ্যাল’। কোভিড বিধি মেনে সঙ্গীতপ্রেমী মানুষের প্রবেশ ছিল অবাধ। মন ভরালেন সরোদের প্রায় সব ঘরানার দিকপালেরা— পণ্ডিত পার্থসারথি, সিরাজ আলি খান, পণ্ডিত প্রত্যুষ বন্দ্যোপাধ্যায়, পণ্ডিত বসন্ত কাবরা, সমাপ্তিদিনে পণ্ডিত তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদার ও পণ্ডিত নরেন্দ্রনাথ ধরের পরিবেশনা। তালবাদ্যে সুযোগ্য সঙ্গতে ছিলেন পণ্ডিত সঞ্জয় অধিকারী, পণ্ডিত বিক্রম ঘোষ, পণ্ডিত অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, অনুব্রত চট্টোপাধ্যায়, পণ্ডিত শুভঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, পণ্ডিত অরূপ চট্টোপাধ্যায়। ফাউন্ডেশনের তরফে ‘আচার্য আলাউদ্দিন খাঁ গুরু সম্মান’ অর্পণ করা হল পণ্ডিত শ্যামল কুমার চট্টোপাধ্যায়কে।

অষ্টনায়িকা

লক্ষ্মণ সেনের পঞ্চরত্নের অন্যতম কবি জয়দেবের রচনায় যার উল্লেখ পাই, সেই শ্রীরাধিকা গৌড়ীয় বৈষ্ণব পদকর্তাদের নির্মাণে হয়ে উঠেছিলেন সাধনমূর্তি। পদকর্তারা রাধার আট রকম নায়িকাভেদ করে দেখান, তাঁরাই অষ্টনায়িকা। বৈষ্ণব কাব্য এবং বিশেষত জয়দেবের রচনার দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ। গৌড়ীয় বৈষ্ণব দর্শন প্রভাবিত রবীন্দ্রসঙ্গীত এবং গৌড়ীয় নৃত্যের যুগল ব্যবহারের মধ্যে দিয়ে এই অষ্টনায়িকার প্রকাশ পরিবেশিত হল গত ২৬ মার্চ, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল প্রাঙ্গণে, ‘রবির গানে অষ্টনায়িকা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে। মহুয়া মুখোপাধ্যায়ের পরিকল্পনা ও নৃত্য পরিচালনা, পণ্ডিত অমিতাভ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গীত পরিচালনায়, বৈষ্ণব পদ ও রবীন্দ্রসঙ্গীতাংশের চয়ন ও নৃত্যের ব্যবহারে ফুটে উঠল অভিসারিকা, বাসকসজ্জা, উৎকণ্ঠিতা ইত্যাদি অষ্টনায়িকার রূপ। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, কলকাতা-র ফেসবুক পেজে দেখা যাবে অনুষ্ঠানটি।

সকাতরে ওই

‘গুড ফ্রাইডে’-র সঙ্গে জড়িয়ে আছে জিশুর ক্রুশবিদ্ধ হওয়ার স্মৃতি। ইস্টার উৎসবের প্রধান দিন এই গুড ফ্রাইডে, যা শেষ হয় ‘ইস্টার সানডে’ বা জিশুর পুনরুত্থানের স্মরণে আয়োজিত অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। তাই প্রাচীন ইংরেজিতে ‘পায়াস’ অর্থাৎ পবিত্র অর্থে প্রযুক্ত ‘গুড’ শব্দটির ব্যবহারে এই উদ্‌যাপনের নামের শেকড়, মত অনেকের। ভারতীয়ত্ব তথা বাঙালিত্ব খ্রিস্টানদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে এনেছে সাংস্কৃতিক বদল, গির্জার প্রার্থনা ও উপদেশে বাংলার ব্যবহার, বাংলায় জিশু-কীর্তন শুরু যার অন্যতম। মধ্য কলকাতার কয়েকটি গির্জা থেকে আজও গুড ফ্রাইডেতে বেরোয় ক্রুশ-সহ শোভাযাত্রা (ছবিতে), গাওয়া হয় বাংলায় জিশু-কীর্তন। গুড ফ্রাইডে উপলক্ষে রোমান ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের ‘সাত গির্জা দর্শন’ও চালু রীতি, সেই আয়োজন কখনও হয় গির্জা কর্তৃপক্ষের, কখনও ক্যাথলিকদের পারিবারিক উদ্যোগে— জিশুর আত্মোৎসর্গের স্মরণে খালি পায়ে হাঁটেন অনেকেই। গত ২ এপ্রিল, গুড ফ্রাইডে-র ভাবগম্ভীর উদ্‌যাপনের সাক্ষী থাকল শহর কলকাতা।

চালচিত্র

প্রচণ্ড গরমেও এই শহরে শেষ বসন্তের রেশ বয়ে আনছে ভিন্‌দেশি সিনেমা। রুপোলি পর্দার ভিতর দিয়ে একই সঙ্গে ইউরোপ থেকে ল্যাটিন আমেরিকার জীবনযাপনের চালচিত্র দেখার সুযোগ শহরবাসীর। যেমন সাম্প্রতিক কালের জার্মানির মানুষজনের দৈনন্দিন বেঁচে-থাকার গল্প নিয়ে একগুচ্ছ ছবি দেখানো হল নন্দন-৩-এ, ৩০-৩১ মার্চ, গ্যোয়টে ইনস্টিটিউট, ম্যাক্সমুলার ভবন আর ‘ফোরাম ফর ফিল্ম স্টাডিজ় অ্যান্ড অ্যালায়েড আর্টস’-এর যৌথ উদ্যোগে। উদ্বোধনে জার্মান ফিল্ম আর্কাইভ-এর তরফ থেকে বললেন সূর্যোদয় চট্টোপাধ্যায়। অন্য দিকে ৫-৭ এপ্রিল নন্দন-৩’এ বিকেল ৫টায় এই সময়ের মেক্সিকোর তিনটি কাহিনিচিত্রে সে দেশের জীবনগাথা দেখার সুযোগ। আয়োজনে ‘সিনেমাথেক কলকাতা’, সহযোগিতায় ভারতের মেক্সিকান দূতাবাস।

ক্ষতির খতিয়ান

যুদ্ধের অনুষঙ্গে ‘কোলেটারাল ড্যামেজ’-এর কথা জানে সবাই। যুদ্ধে প্রাণহানি হবে, সঙ্গে ঘর পুড়বে, চলবে লুঠপাট, ধর্ষণ। ভোটও আজকাল ধুন্ধুমার যুদ্ধ, ‘দু-চারটে মানুষের প্রাণ তো যাবেই’ গোছের নির্বিকার সবাই। আর কোলেটারাল ড্যামেজ? সারা সন্ধে কানের দফারফা। গাছের গায়ে পেরেক বিঁধিয়ে দলের পতাকা ঝোলানো। ফেসবুকে, জীবন থেকেও কত লোক আনফ্রেন্ড। ও দিকে করোনা অলক্ষে গাইছে: দ্বিতীয় তরঙ্গ রে...

ক্যামেরার চোখে দেখা ইতিহাস

বইয়ের পাতায় যুদ্ধের ইতিহাস পড়া এক জিনিস, আর চোখের সামনে যুদ্ধ দেখা, তার সাক্ষী থাকা— আর এক। ১৯৭১-এ পূর্ব পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ হয়ে-ওঠার ইতিহাসের, মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষী ছিলেন দুই বাংলার অগণিত মানুষ। সাক্ষী ছিল সংবাদমাধ্যমও— খবর, রেডিয়ো হয়ে উঠেছিল যুদ্ধের মরমি বার্তাবহ। ’৭১-এর ২৬ মার্চ খবর এল কলকাতায়, পূর্ব পাকিস্তানে পাক সেনার বিরুদ্ধে লড়াই করছে বাঙালি, অস্ত্র ধরেছে তরুণ মুক্তিযোদ্ধারা। সীমান্তের ও পারে যশোর ফের মুক্তি ফৌজের দখলে, খবর পেয়ে আর বসে থাকেননি কলকাতার আলোকচিত্রী-সাংবাদিক অভিজিৎ দাশগুপ্ত। ক্যামেরা হাতে যশোর সীমান্ত দিয়ে ঢুকে পড়েন পূর্ব পাকিস্তানে।

ঘণ্টাখানেক হাঁটা। তার পরেই চোখে পড়ে দৃশ্যটা— যুদ্ধের জন্য কাটা ট্রেঞ্চে উড়ছে ‘বাংলাদেশ’-এর পতাকা! মুক্তি ফৌজের সদস্যরা রাইফেল হাতে দাঁড়ালেন, তাঁর ক্যামেরায় প্রথম ছবি উঠল যুদ্ধের। সেই শুরু। যুদ্ধ চলাকালীন বহু বার ঝুঁকি নিয়ে ও পারে গিয়েছেন, ছবি তুলেছেন অভিজিৎবাবু। সেই সব ছবি বেরিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে, লেখাও প্রকাশিত হয়েছে আমেরিকা, জাপান, স্পেন, সুইডেনে। ইতিহাসের এক রক্তক্ষয়ী অধ্যায়ের সাক্ষী সেই সব ছবিরই বেশ কিছু নিয়ে (ছবিতে তারই একটি) গত ২৫ মার্চ প্রেস ক্লাবে প্রকাশিত হল থ্রু মাই আইজ়: দ্য বার্থ অব বাংলাদেশ (কলকাতা সুকৃতি ফাউন্ডেশন) বইটি।

এই বইয়ের পাতায় পাতায় সমরচিত্র— অস্ত্র হাতে ট্রেঞ্চে সর্তক প্রহরারত বা হাসপাতালে আহত মুক্তিযোদ্ধা, শত্রুর চোখে ধুলো দিতে সর্বাঙ্গে কাদা মাখানো বাস-জিপ, বুলেট আর শেলে বিক্ষত কলেজ, মাঠে মরে পড়ে থাকা গবাদি পশু, বোমায় গুঁড়িয়ে যাওয়া বাড়ি, সেতু, মসজিদ, মন্দিরে উপড়ে নেওয়া বেদি।

স্বাধীনতার যুদ্ধে অসীম ত্যাগ স্বীকার করতে হয় সাধারণ মানুষকেও। যুদ্ধের গায়ে গায়েই লেপ্টে থাকে স্বজন আর ঘর হারানোর অমোঘ যন্ত্রণালিপি। মানুষ রাতারাতি হয়ে যায় উদ্বাস্তু, শরণার্থী। ছবিতে ধরা আছে সেই ইতিহাসও। সেই সময় এক্সোডাস ১৯৭১ এডি নামের একটি পুস্তিকা ছাপিয়েছিলেন অভিজিৎবাবু, সেখানে লিখেছিলেন মৃণাল সেন, রমাপদ চৌধুরী-সহ বিশিষ্টজন, আর ছিল পাতায় পাতায় অসহায় মানুষের মুখের ছবি। ৫০০ কপি লুকিয়ে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানে পাঠানোর ব্যবস্থা হয়, সেখানকার মানুষ যাতে জানতে পারেন কী ঘটছে পূর্ব পাকিস্তানে। পুস্তিকা হাতে পেয়ে চিঠি লিখেছিলেন সত্যজিৎ রায়, শচীন দেব বর্মণ, খুশবন্ত সিংহ, জ্যোতি বসু, বইয়ে আছে চিঠির প্রতিলিপিগুলি। ছবিতে ধরা আছে বিজয়ী বাঙালির উল্লাসও। আছে বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব, শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল এবং অবশ্যই শেখ হাসিনার ছবি, আর ১৯৭২-এর ৬ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় ব্রিগেড গ্রাউন্ডে ইন্দিরা গাঁধী ও বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক সমাবেশের চিত্র।

ক্যামেরার চোখে দেখা ইতিহাস

বইয়ের পাতায় যুদ্ধের ইতিহাস পড়া এক জিনিস, আর চোখের সামনে যুদ্ধ দেখা, তার সাক্ষী থাকা— আর এক। ১৯৭১-এ পূর্ব পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ হয়ে-ওঠার ইতিহাসের, মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষী ছিলেন দুই বাংলার অগণিত মানুষ। সাক্ষী ছিল সংবাদমাধ্যমও— খবর, রেডিয়ো হয়ে উঠেছিল যুদ্ধের মরমি বার্তাবহ। ’৭১-এর ২৬ মার্চ খবর এল কলকাতায়, পূর্ব পাকিস্তানে পাক সেনার বিরুদ্ধে লড়াই করছে বাঙালি, অস্ত্র ধরেছে তরুণ মুক্তিযোদ্ধারা। সীমান্তের ও পারে যশোর ফের মুক্তি ফৌজের দখলে, খবর পেয়ে আর বসে থাকেননি কলকাতার আলোকচিত্রী-সাংবাদিক অভিজিৎ দাশগুপ্ত। ক্যামেরা হাতে যশোর সীমান্ত দিয়ে ঢুকে পড়েন পূর্ব পাকিস্তানে।

ঘণ্টাখানেক হাঁটা। তার পরেই চোখে পড়ে দৃশ্যটা— যুদ্ধের জন্য কাটা ট্রেঞ্চে উড়ছে ‘বাংলাদেশ’-এর পতাকা! মুক্তি ফৌজের সদস্যরা রাইফেল হাতে দাঁড়ালেন, তাঁর ক্যামেরায় প্রথম ছবি উঠল যুদ্ধের। সেই শুরু। যুদ্ধ চলাকালীন বহু বার ঝুঁকি নিয়ে ও পারে গিয়েছেন, ছবি তুলেছেন অভিজিৎবাবু। সেই সব ছবি বেরিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে, লেখাও প্রকাশিত হয়েছে আমেরিকা, জাপান, স্পেন, সুইডেনে। ইতিহাসের এক রক্তক্ষয়ী অধ্যায়ের সাক্ষী সেই সব ছবিরই বেশ কিছু নিয়ে (ছবিতে তারই একটি) গত ২৫ মার্চ প্রেস ক্লাবে প্রকাশিত হল থ্রু মাই আইজ়: দ্য বার্থ অব বাংলাদেশ (কলকাতা সুকৃতি ফাউন্ডেশন) বইটি।

এই বইয়ের পাতায় পাতায় সমরচিত্র— অস্ত্র হাতে ট্রেঞ্চে সর্তক প্রহরারত বা হাসপাতালে আহত মুক্তিযোদ্ধা, শত্রুর চোখে ধুলো দিতে সর্বাঙ্গে কাদা মাখানো বাস-জিপ, বুলেট আর শেলে বিক্ষত কলেজ, মাঠে মরে পড়ে থাকা গবাদি পশু, বোমায় গুঁড়িয়ে যাওয়া বাড়ি, সেতু, মসজিদ, মন্দিরে উপড়ে নেওয়া বেদি।

স্বাধীনতার যুদ্ধে অসীম ত্যাগ স্বীকার করতে হয় সাধারণ মানুষকেও। যুদ্ধের গায়ে গায়েই লেপ্টে থাকে স্বজন আর ঘর হারানোর অমোঘ যন্ত্রণালিপি। মানুষ রাতারাতি হয়ে যায় উদ্বাস্তু, শরণার্থী। ছবিতে ধরা আছে সেই ইতিহাসও। সেই সময় এক্সোডাস ১৯৭১ এডি নামের একটি পুস্তিকা ছাপিয়েছিলেন অভিজিৎবাবু, সেখানে লিখেছিলেন মৃণাল সেন, রমাপদ চৌধুরী-সহ বিশিষ্টজন, আর ছিল পাতায় পাতায় অসহায় মানুষের মুখের ছবি। ৫০০ কপি লুকিয়ে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানে পাঠানোর ব্যবস্থা হয়, সেখানকার মানুষ যাতে জানতে পারেন কী ঘটছে পূর্ব পাকিস্তানে। পুস্তিকা হাতে পেয়ে চিঠি লিখেছিলেন সত্যজিৎ রায়, শচীন দেব বর্মণ, খুশবন্ত সিংহ, জ্যোতি বসু, বইয়ে আছে চিঠির প্রতিলিপিগুলি। ছবিতে ধরা আছে বিজয়ী বাঙালির উল্লাসও। আছে বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব, শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল এবং অবশ্যই শেখ হাসিনার ছবি, আর ১৯৭২-এর ৬ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় ব্রিগেড গ্রাউন্ডে ইন্দিরা গাঁধী ও বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক সমাবেশের চিত্র।

অন্য বিষয়গুলি:

Kolkata exhibition photos
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy