অন্য গণেশ পাইন
আজ থেকে প্রায় পঞ্চাশ বছর আগে এ দেশের অ্যানিমেশন ছবির একটি সুন্দর দিশা দেখিয়েছিলেন শিল্পী গণেশ পাইন। তার এই ভাবনা ছিল ওয়াল্ট ডিজনির নির্মাণে প্রাণিত। কর্নওয়ালিস স্ট্রিটে সে সময় একটি স্টুডিয়ো করেছিলেন বহরমপুর জমিদার বাড়ির সন্তান এবং মুদ্রণবিদ মন্দার মল্লিক। সেখানেই অ্যানিমেটর হিসেবে ১৯৬২-১৯৭৭ পর্বে কাজ করেছিলেন গণেশ পাইন। তৈরি হয়েছিল বেশ কিছু কাজ। কিছুকাল পরে বন্ধ হয়ে যায় স্টুডিয়োটি। শিল্পী সে সময় তাঁর কিছু কাজ সংগ্রহ করেছিলেন নিজেই। কিছুকাল আগে খোঁজ মেলে এই বিস্মৃত কাজগুলির। এ নিয়েই আকার প্রকার আর্ট গ্যালারিতে শুরু হয়েছে গণেশ পাইন/ মন্দার স্টুডিয়ো কর্নওয়ালিস স্ট্রিট শীর্ষক প্রদর্শনী। কাগজের ওপর মিশ্র মাধ্যমে পনেরোটি ফ্রেমে (১১ বাই ১৬.২৫ ইঞ্চি) শিল্পী বন্দি করেছেন পঞ্চতন্ত্রের একটি বিখ্যাত গল্প।
যেখানে চালাক শেয়াল হরিণ শিকারের জন্য জোট বেঁধেছিল সিংহের সঙ্গে। শেষে সমস্ত পশুপাখির সম্মিলিত আক্রমণে পরাজিত হয় শেয়াল এবং সিংহ (সঙ্গের ছবি)। এই স্টুডিয়োতেই তিনি কাগজের ওপর জলরঙে এঁকেছিলেন কিছু নিসর্গচিত্র। প্রদর্শিত হয়েছে তেমন দশটি প্যানেলের ছবি। দেখা যাবে ৪ মার্চ, ২-৭ টা পর্যন্ত। স্টুডিয়োতে শিল্পীর ছবি বীণা ভার্গবের তোলা।
অগ্রন্থিত
তাঁর প্রথম প্রকাশিত রচনাটি বাংলা প্রবন্ধ, নজরুলকে নিয়ে, বেরিয়েছিল ‘প্রবাসী’-তে (মে ১৯২৭)। সে পত্রেই বছর চারেক পরে ‘বাংলাদেশ ও ভারতবর্ষ’। আবার ‘বঙ্গশ্রী’-তে ১৯৩৩-এ লিখছেন ‘বাঙালিত্বের স্বরূপ’... এ রকম আরও কত অগ্রন্থিত বাংলা প্রবন্ধ নীরদচন্দ্র চৌধুরীর! শ্রুত্যানন্দ ডাকুয়া-র সম্পাদনায় প্রস্তুত হয়েছে তাঁর অগ্রন্থিত প্রবন্ধ (সূত্রধর)। অনেকগুলি তাঁর প্রথম জীবনের রচনা, আবার তাঁর জীবদ্দশায় প্রকাশিত শেষ লেখাটিও আছে এতে। ‘শেষদিকের রচনার সাপেক্ষে, প্রথমদিকের রচনায় তাঁর মতামত সুস্পষ্ট এবং সুগঠিত না মনে হতে পারে, কিন্তু অস্পষ্টভাবেও তাঁর চিন্তা-চেতনা যে এক লক্ষ্যাভিমুখী সাধনায় নিরত, তা তাঁর সেদিনের রচনাগুলিতেও প্রচ্ছন্ন।’ জানিয়েছেন সম্পাদক। বইটি প্রকাশ করবেন মনসিজ মজুমদার, ২৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধে সাড়ে ৬টায় ছাতুবাবু-লাটুবাবুর বাড়ির ঠাকুরদালানে। উপস্থিত থাকবেন পৃথ্বী নারায়ণ চৌধুরী এষা দে এবং স্বপন চক্রবর্তী।
সীতাহরণ
দুর্গম গিরিপথে ঘুরে বেড়ানো তাঁর রক্তেই আছে। সেটা তাঁর রুজিরুটিও বটে। এ বার তিনি সাহারায়। তিনি মানে, বেলুড়ের অনিন্দ্য মুখোপাধ্যায়। বেশি পরিচিত রাজা নামে। সঙ্গে যাবে কে? তাঁর সাইকেল। আদরের নাম সীতাহরণ। নামটি জটায়ু আর মন্দার বোসের বিখ্যাত সংলাপ সূত্রে প্রাপ্ত। দুইয়ে মিলে এই অভিযানের নাম সাহারায় সীতাহরণ। আফ্রিকায় তিনি বার বার গিয়েছেন। কখনও বিভূতিভূষণের চাঁদের পাহাড়, রোয়েনজোরি পর্বতমালায়। কখনও বিষুবরেখা থেকে কেনিয়া, তানজানিয়া, মালাউয়ি, জাম্বিয়া হয়ে নামিবিয়ায় মকরক্রান্তি রেখা পর্যন্ত ৪৫০০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়েছেন সাইকেলে চড়েই। যা ধরা আছে তাঁর অতএব আফ্রিকা বইটিতে। এ বার যাবেন আফ্রিকার পশ্চিম দিক ধরে। সীতাহরণের চাকা ঘুরবে মরক্কোর রাজধানী রাবাট থেকে। গুয়েলমিম, যাকে ‘গেটওয়ে অব সাহারা’ বলে, তা পেরিয়ে সাহারায় ঢুকে পড়া। এর পরে ২০৮৫ কিলোমিটার পথ পুরোটাই সাহারার পশ্চিম প্রান্ত ধরে। মরিটানিয়ার রাজধানী নুয়াকশট পার হয়ে মরুভূমির শেষ। আরও হাজার খানেক কিলোমিটার পেরিয়ে সেনেগালের রাজধানী ডাকারে থামবে সীতাহরণ। ৩১৩৪ কিলোমিটার পথ, ৩৪ দিনে। কেন এই অভিযান? অনিন্দ্য জানালেন, সাইকেলে সাহারা পেরনোর চ্যালেঞ্জটাই এই অ্যাডভেঞ্চারের অনুপ্রেরণা। আজ অনিন্দ্যের যাত্রা শুরু।
সংসৃতি
‘নতুন নতুন নাট্যভাষারই সন্ধান করে চলেছি এতদিন, আমাদের প্রতিটি প্রযোজনার ভিতর দিয়ে’, বলছিলেন দেবেশ চট্টোপাধ্যায়, তাঁর নাট্যগোষ্ঠী সংসৃতি-র বয়স হল এ বার চব্বিশ। শুরু হয়েছিল নাট্যপত্রিকা ‘কেয়া চক্রবর্তী বিশেষ সংখ্যা’ দিয়ে, তার পর একের পর এক দেবেশের নির্দেশনায় সেই ‘উইঙ্কল টুইঙ্কল’ থেকে হালের ‘তুঘলক’ বা ‘সওদাগরের নৌকা’। এ বারের নাট্যোৎসবের প্রথম দিন ২৪ ফেব্রুয়ারি বাংলা আকাদেমিতে সেমিনার ‘ভরতের নাট্যশাস্ত্র’ নিয়ে, দেবেশের সঙ্গে আলোচনায় পিয়াল ভট্টাচার্য। পরের দু’দিন অ্যাকাডেমিতে; ২৫-এ ‘সওদাগরের নৌকা’র দু’টি শো; ২৬-এ শ্রীজাত-র ‘অন্ধকার লেখাগুচ্ছ’, ‘তুঘলক’ আর ‘ফ্যাতারু’। নবারুণ ভট্টাচার্যের ‘ফ্যাতারু’তে এ বার ডিমানিটাইজেশন নিয়ে তুমুল শোরগোল, জানালেন নির্দেশক।
স্তানিস্লাভস্কি
স্তানিস্লাভস্কি-কে নিয়ে চর্চা করেননি, নাট্যজগতে এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া শক্ত। তবু তাঁকে নিয়ে নিরন্তর চর্চার দরকার আছে আজও। তেমনই এক তাগিদ থেকে গণনাট্য সঙ্ঘ, কলকাতা আর রুশ সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র-র উদ্যোগে গোর্কি সদনে আজ সন্ধে ৬টায় তাঁকে নিয়ে আলোচনা। শ্যামল ভট্টাচার্যের সে আলোচনা এই রুশ নাট্যব্যক্তিত্বের প্রতিভা ও তাঁর ব্যক্তিজীবন নিয়ে। পাশাপাশি আজ সন্ধ্যায় নাটকের গান শোনাবেন অসীম বন্দ্যোপাধ্যায়; অভিনীত হবে আইপিটিএ, শিবপুর-এর চেখভ অবলম্বনে ‘হাঁচি’ আর থিয়েটারবাজ-এর ‘মৃত্যুঞ্জয়ী’।
গালিবনামা
এ শহরে জড়িয়ে রয়েছে মির্জা গালিবের স্মৃতি। তিনি একবার এসেছিলেন কলকাতায়। ওঁর গজলের সঙ্গে এখানকার পাঠকের যোগসূত্রও গভীর। এরই অনুবাদে সম্প্রতি মগ্ন ছিলেন শ্রীজাত। কিছুদিন আগে অনুরোধ এসেছিল এই গানগুলি সুরবদ্ধ করবার। সেই অনুরোধে সাড়া দিয়ে ৬টি গজলে সুর করেন শ্রীজাত। এই প্রথম তাঁকে পাওয়া গেল সুরকার হিসেবেও। এই গজলগুলি নিয়েই তৈরি হয়েছে একটি অ্যালবাম গালিবনামা । ১৫ ফেব্রুয়ারি গালিবের মৃত্যুদিন উপলক্ষে অ্যালবামটি প্রকাশ পেল সল্টলেকের অওধ রেস্তরাঁয় একটি অনুষ্ঠানে। আশা অডিয়োর নিবেদনে প্রত্যুষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংগীত আয়োজনে অ্যালবামের গজলগুলি গেয়েছেন শুভমিতা।
প্রতিকৃতি
রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের একটি আবক্ষ মূর্তি নির্মাণে ডাক পেয়েছিলেন এই শহরের ভাস্কর নিরঞ্জন প্রধান। আলোকচিত্র দেখে মূর্তির খসড়া তৈরির পর প্রয়োজন হয়ে পড়ে লাইফ সিটিং-এর। হাজারো ব্যস্ততার ফাঁকেই প্রণববাবু পাঁচদিন সিটিং দেন (সঙ্গের ছবি)। রাষ্ট্রপতি কাজের ফাঁকেই শিল্পীর কাছ থেকে জেনে নিয়েছেন এই শিল্পের কৃৎকৌশল। অতঃপর কলকাতাতেই সম্পন্ন হল ব্রোঞ্জ মূর্তি ঢালাইয়ের কাজ। রাষ্ট্রপতির জন্মদিন উপলক্ষে গত ১০ নভেম্বর দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে এক অনুষ্ঠানে উদ্বোধন হয় মূর্তিটি। অভিভূত রাষ্ট্রপতি, আর তাঁর আতিথেয়তায় অভিভূত শিল্পী দম্পতি। কারণ, সেখানে তাঁরা পেয়েছেন সংবর্ধনা, রাষ্ট্রপতি ভবনে থেকেছেন তাঁরই অতিথি হয়ে।
চলচ্চিত্র উৎসব
কারও ছবিতে ১৯৫২-য় পাকিস্তান সরকারের উর্দু ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে বাংলা ভাষার জন্যে আন্দোলন, আবার কারও ছবিতে ১৯৭১-এ পাকিস্তান সরকারের শাসন থেকে স্বাধীনতা পাওয়ার লড়াই— মুক্তিযুদ্ধ। বাংলাদেশের বিশিষ্ট পরিচালকদের একগুচ্ছ ছবির উৎসব। শুরু হচ্ছে ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক ভাষা দিবসে, নন্দনে, চলবে ২৪ অবধি। নন্দনের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রকার মোরশেদুল ইসলাম ও তাঁর স্ত্রী চিত্রগ্রাহক মুনিরা মোরশেদ মুন্নি-র সঙ্গে এ-বঙ্গের গৌতম ঘোষ উদ্বোধন করবেন এ-উৎসবের। ও-বঙ্গের আরও কয়েক জন চলচ্চিত্র-ব্যক্তিত্ব উপস্থিত থাকবেন উৎসবে।
ভাষা দিবস
সমীক্ষা বলছে, বর্তমান বিশ্বে ১৩০ কোটি মানুষ জাতীয়সংগীত গান বাংলা ভাষায়, ১২৫ কোটি চিনা ভাষায় আর মাত্র ৯৪ কোটি ইংরেজি ভাষায়। বাংলা ভাষার সম্মান আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যথেষ্ট গুরুত্বের। তাই আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস উপলক্ষে ২১ ফেব্রুয়ারি সন্ধে সাড়ে ৬টায় কলামন্দিরে ‘আমরি বাংলা ভাষা/এক সন্ধ্যে, অনেক গান’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছে। প্রথম পর্বে শ্রীকান্ত আচার্য, লোপামুদ্রা মিত্র, জয়তী চক্রবর্তী, প্রতীক চৌধুরী ও শ্রীজাত মিলে গানে ও আড্ডায় মাতবেন এবং মাতাবেন। আর দ্বিতীয় পর্বে যে সব গান শুনে বড় হয়েছেন, উদ্বুদ্ধ হয়েছেন গান গাইতে সে সব স্মৃতির গান শোনাবেন কবীর সুমন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় রিণি এবং পরিকল্পনা ও ভাবনায় প্রতীক স্বয়ং।
আলোকচিত্র
আলোকচিত্র এখন পূর্ণাঙ্গ শিল্পের মর্যাদা লাভ করেছে। এ বার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটোগ্রাফি ক্লাব এবং ম্যাক্সমুলার ভবন, গ্যেটে ইনস্টিটিউট-এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত হয়েছে একটি অনুষ্ঠান। ২৪ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩ টায় ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলের মুক্ত প্রাঙ্গণে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলবেন দিল্লির আলকাজি ফাউন্ডেশন-এর কিউরেটর রাহাব আল্লানা। পরে আর্ট অ্যাজ আর্কাইভ শীর্ষক আলোচনায় থাকবেন সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়, অনিন্দ্য সেনগুপ্ত, রনি সেন এবং রানু রায়চৌধুরী। ভিক্টোরিয়া এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে কিউরেটর হর্ষ ভাদলামানির নির্বাচনে হোম শীর্ষক প্রদর্শনীতে দেখা যাবে সারা বিশ্বের নির্বাচিত কাজ। চলবে ৫ মার্চ পর্যন্ত। এ দিকে আইসিসিআর-এ ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেখা যাবে সুইস আলোকচিত্রী বেনোয়া লঞ্জ-এর প্রদর্শনী ‘উইথ লাভ ফ্রম ক্যালকাটা’ (সঙ্গে তারই একটি)।
শিরোপা
বছর পাঁচেকের শিশুটিকে রোজ ভোরে কোলে বসিয়ে রেওয়াজ করাতেন মা মৌসুমী মিশ্র। শীতকালে সারা শরীরে চাদর ঢেকে চলত সংগীতের তালিম। একটু বড় হয়ে নাড়া বাঁধলেন পণ্ডিত তুষার দত্তের কাছে। সংগীত শিল্পী সুমিত মিশ্রের জন্ম মালদহ জেলার ইংরেজবাজারে ১৯৯২ সালে। সাংগীতিক পরিবার তো বটেই, তিনি বেড়ে উঠেছেন বেনারসের প্রসিদ্ধ মিশ্র ঘরানায়। পিতামহ ছিলেন সংগীতগুরু পণ্ডিত বিষ্ণুসেবক মিশ্র, যাঁর নামানুসারে একটি রাস্তার নাম ও একটি মর্মর মূর্তিও আছে মালদহে। প্রপিতামহরা ছিলেন নেপাল দরবারের সভাগায়ক। ছেলেবেলা থেকে ক্রিকেটপাগল সুমিতের ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন ছিল, খেলতেনও ভাল। কিন্তু বাবা শঙ্করলাল মিশ্রের দেওয়া জন্মদিনের উপহার উস্তাদ রশিদ খানের একটা ক্যাসেটই তাঁর মাথা থেকে ক্রিকেটভূত নামিয়ে দেয়। ‘ক্যাসেটটির এক পিঠে ভীমপলশ্রী আর একপিঠে ছায়ানট, তবলায় পণ্ডিত সমর সাহা। রোজ শুনতাম আর ভাবতাম ওঁর মতো কবে গাইতে পারব? জানি, রশিদ খান কোনও দিনই হতে পারব না, তবুও দিনে পাঁচ-ছ’ঘণ্টা করে রেওয়াজ শুরু করলাম,’ বলছিলেন সুমিত। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি সাহিত্যে এম এ সুমিত নানান অনুষ্ঠান-প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বহু বার সেরার শিরোপা পেয়েছেন। সম্প্রতি, লখনউতে ‘সংগীত মিলন সংস্থা’ আয়োজিত এক সর্বভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের প্রতিযোগিতায় প্রথম ও শ্রেষ্ঠ প্রতিযোগী হয়ে ‘ক্লাসিকাল ভয়েস অব ইন্ডিয়া ২০১৬’ শিরোপা জয় করলেন।
সম্মান
কবিতা একটি গভীর জীবনানুভূতির নান্দনিক রূপ। এই অনুভূতিকে ধারণ করতে গিয়ে শব্দ যখন তাতে লীন হয়, শব্দ তখনই কবিতা হয়। ছন্দ এবং অলঙ্কারের রসাস্বাদনের আকর্ষণেই শ্লোক লেখার সূত্রপাত। তাঁর প্রথম সংস্কৃত কাব্য ‘ভাববিলসিতম্’ (১৯৯৮)। ১৯৩৯-এ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রাসন গ্রামে কবি সীতানাথ আচার্য-র জন্ম। ১৯৬৯-এ বাজকুল মিলনী মহাবিদ্যালয়ে কর্মজীবন আরম্ভ। ১৯৮১-তে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংস্কৃত বিভাগে। ১৯৮৬-তে রিডার এবং ১৯৯৮ থেকে ‘গোপীনাথ কবিরাজ অধ্যাপক’ পদে। ২০০৪-এ অবসর গ্রহণ। পরে গোলপার্ক রামকৃষ্ণ মিশন এবং বিবেকানন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিথি অধ্যাপক। প্রাচীন সংস্কৃত কাব্যের ‘অনুভবগোচরতা’-কে (যা আমরা হৃদয় দিয়ে অনুভব করি কিন্তু দৃশ্যত যার কোনও আকৃতি নেই) কবি প্রকাশ করেছেন তাঁর কাব্যে। আধুনিক সমাজের বিবিধ সমস্যার চিত্র তুলে ধরেছেন। তাঁর ‘শিশুযুব দুর্দৈব বিলসিতম্’ কাব্যে ফুটে উঠেছে শিশুমৃত্যুর ঘটনাও। বঙ্গদেশে সংস্কৃত কবি হিসেবে হরিদাস সিদ্ধান্তবাগীশ, শ্রীজীব ন্যায়তীর্থ, কালীপদ তর্কাচার্য, যতীন্দ্রবিমল চৌধুরী, রমা চৌধুরীর পরই তাঁর নাম উল্লেখযোগ্য। পেয়েছেন রাষ্ট্রপতি পুরস্কার সহ একাধিক সম্মান। সম্প্রতি ‘কাব্য নির্ঝরি’ সংস্কৃত কাব্যগ্রন্থের জন্য পেলেন সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার। পশ্চিমবঙ্গ থেকে এই ক্ষেত্রে এত বছরে তিনিই প্রথম প্রাপক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy