প্রতীকী ছবি।
চিকিৎসার পাশাপাশি কলকাতায় ঘোরার উদ্দেশ্যে মাকে নিয়ে ঢাকা থেকে কলকাতায় এসেছিলেন তরুণী মেহেরিন শিমিন হাসান। সেই মতো ৩১ ডিসেম্বর কলকাতায় এসে তাঁরা বাইপাস সংলগ্ন কসবার একটি হোটেলে উঠেছিলেন। ফেরার দিন মেহেরিন এবং তাঁর মা দেখেন, তাঁদের আট হাজার ভারতীয় এবং ২৬ হাজার বাংলাদেশি মুদ্রা উধাও! এর পরেই থানায় অভিযোগ দায়ের করে তাঁরা বাংলাদেশে ফিরে যান।
অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে দেড় দিনের মাথায় পুলিশ সেই টাকা উদ্ধার করল। তা-ও আবার হোটেলের যে ঘরে তরুণী এবং তাঁর মা ছিলেন, সেখানকার বিছানার উত্তর দিকের তোশকের নীচ থেকে! কসবা থানার পুলিশ জানিয়েছে, মেহেরিনকে ওই টাকা উদ্ধারের কথা জানানো হয়েছে। তিনি এলেই টাকা ফেরত দেওয়া হবে।
কসবা থানার পুলিশ জানিয়েছে, ঢাকার বাসিন্দা মেহেরিন এবং তাঁর মা ৩১ ডিসেম্বর কলকাতায় আসেন। চিকিৎসা করিয়ে এবং কলকাতায় আত্মীয়দের সঙ্গে দেখাসাক্ষাৎ করে তাঁদের ৪ জানুয়ারি ঢাকা ফেরত যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ৪ জানুয়ারি ব্যাগ গোছানোর পরে তাঁরা দেখেন, আট হাজার ভারতীয় এবং ২৬ হাজার বাংলাদেশি টাকা নেই। হোটেলেরই কেউ টাকাটা চুরি করেছে, এমনই অভিযোগ তুলে তাঁরা চেঁচামেচি করেন বলে হোটেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। খবর পেয়ে কসবা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং মেহেরিন ও তাঁর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে অজ্ঞাতপরিচয়ের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে।
পুলিশ জানিয়েছে, এ দিকে অভিযোগ দায়ের করতে গিয়ে তাঁদের যে উড়ান ছাড়ার সময় এগিয়ে এসেছে, সেটা তাঁদের খেয়াল ছিল না। যখন হুঁশ ফেরে তখন অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছে। উড়ান যাতে চলে না যায়, তাই কসবা থানার অতিরিক্ত অফিসার ইনচার্জ নিজের গাড়িতে মাত্র ৩০ মিনিটে মেহেরিন ও তাঁর মাকে বিমানবন্দরে পৌঁছে দেন। শুধু তাই নয়। সিআইএসএফের সাহায্য নিয়ে তাঁদের বাংলাদেশে ফেরার উড়ান ধরার ব্যবস্থা করে দেন।
এর পরেই তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে থানার অফিসারেরা হোটেলে গিয়ে চুরির তদন্ত শুরু করেন। হোটেল কর্মীদের সঙ্গে কথাও বলেন এবং যে ঘরে তাঁরা ছিলেন সেই ঘরে চিরুনি তল্লাশি শুরু করেন। তখনই তদন্তকারীরা হোটেলের সেই ঘরের তোশকের নীচ থেকে টাকার বান্ডিল পান।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, ওই তরুণী বা তাঁর মা নিজেরাই হয়তো ওই টাকা সুরক্ষিত রাখতে তোশকের নীচে লুকিয়ে রেখেছিলেন। পরে সেটা মনে করতে না পারায় এই বিপত্তি। কসবা থানা জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া টাকা রাখা হয়েছে। ওই তরুণীকে খবরও দেওয়া হয়েছে। তিনি এলে তাঁকে ওই টাকা ফেরত দেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy