শিয়ালদহ স্টেশন সংলগ্ন একটি পুরনো আবাসন থেকে অঞ্জলি কুমারী নামে বছর আঠারোর তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়। প্রতীকী ছবি।
শিয়ালদহ স্টেশন লাগোয়া রেলের আবাসনে তরুণী-খুনের কিনারা করল পুলিশ। বিহার থেকে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার পরে বিষয়টি পুলিশের কাছে স্পষ্ট হয়। মেয়ের হবু স্বামীর প্রেমিকা ওই তরুণীর উপরে আক্রোশ থেকেই তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। ধৃতদের বুধবারই বিহার থেকে কলকাতায় এনে শিয়ালদহ আদালতে তোলা হয়েছিল। বিচারক তাদের ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
সোমবার দুপুরে শিয়ালদহ স্টেশন সংলগ্ন একটি পুরনো আবাসন থেকে অঞ্জলি কুমারী নামে বছর আঠারোর ওই তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়। হাসপাতালে চিকিৎসকেরা তাঁকে দেখে প্রাথমিক ভাবে জানান, তরুণী খুন হয়েছেন। এর পরে তরুণীর সঙ্গী চিত্তরঞ্জন কুমার নামে এক যুবক এন্টালি থানায় তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। মঙ্গলবার তদন্তে নামে পুলিশ। অভিযুক্তদের ধরতে রাতেই বিহারে যায় তদন্তকারী দল। সীতামঢ়ী থেকে প্রেম রায় এবং মুন্না রায় নামে দু’জনকে ধরা হয়।
ধৃতদের জেরা করে জানা গিয়েছে, প্রেম এবং মুন্না দুই ভাই। শিয়ালদহ কোলে মার্কেটে তারা মোটবাহকের কাজ করে। প্রেমের মেয়ের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল চিত্তরঞ্জনের দাদার। কিন্তু বিয়ের মাস ছয়েকের মধ্যে জামাই মারা যান। দুই পরিবার ঠিক করে, মেয়ের আবার বিয়ে দেবে চিত্তরঞ্জনের সঙ্গে। এ দিকে, অঞ্জলির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল চিত্তরঞ্জনের। এক তদন্তকারীর কথায়, ‘‘চিত্তরঞ্জন বাড়িতে সেই কথা বলতে পারছিলেন না। তখন তিনি এবং অঞ্জলি বাড়ি ছেড়ে কলকাতায় আসার পরিকল্পনা করেন। ট্রেনে এসে তাঁরা শিয়ালদহ স্টেশনের কাছে ওই আবাসনে ওঠেন। কিন্তু প্রেমের পরিচিতদের কেউ তাকে ফোন করে জানান, যাঁর সঙ্গে সে মেয়ের বিয়ে ঠিক করেছে, সেই ব্যক্তি অন্য একটি মেয়েকে নিয়ে পালাচ্ছেন।
তদন্তকারীদের দাবি, এতেই রাগ চেপে যায় প্রেমের। সোমবার দুপুরে ওই আবাসনের ঘরে আসে প্রেম এবং মুন্না। একপ্রস্ত কথা কাটাকাটির পরে অঞ্জলির গলায় ব্লেড চালিয়ে দেয় প্রেম। এর পরে ট্রেনে চেপেই বিহারে পালায় দুই ভাই। তদন্তকারীদের দাবি, তরুণীকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলে হয়তো বাঁচানো যেত।
উত্তর মিলছে না একাধিক প্রশ্নেরও। ১) প্রেম রায়ের পরিচিতি যেখানে বেশি, সেখানেই কেন অঞ্জলিকে নিয়ে উঠলেন চিত্তরঞ্জন? ২) গলায় ব্লেড চালিয়ে দেওয়ার সময়ে চিত্তরঞ্জন কোথায় ছিলেন? ৩) কেন দ্রুত ওই তরুণীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল না? লালবাজারের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘চিত্তরঞ্জনের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মৃতার পরিজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy