(বাঁ দিকে) আরজি কর-কাণ্ডে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার। বাজেয়াপ্ত করা বাইক (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।
আরজি কর-কাণ্ডে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের বাইক নথিভুক্ত রয়েছে কলকাতা পুলিশ কমিশনারের নামে! এই নিয়ে অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। সেই বিষয়টি এ বার সমাজমাধ্যমে স্পষ্ট করল পুলিশ। জানাল, কলকাতা পুলিশের ব্যবহারের জন্য সরকারি যানবাহনগুলি প্রথমে সরকারি ভাবে পুলিশ কমিশনারের নামে নথিভুক্ত করা হয়। তার পর সেই যানবাহন বিভিন্ন বিভাগের হাতে ব্যবহারের জন্য তুলে দেওয়া হয়। ধৃত যে হেতু সিভিক ভলান্টিয়ার ছিলেন, তাই তাঁর ব্যবহার করা বাইকও কলকাতা পুলিশের কমিশনারের নামেই নথিভুক্ত ছিল।
আরজি কর-কাণ্ডে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের বাইক আগেই বাজেয়াপ্ত করেছিল পুলিশ। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে সিবিআই সেই তদন্তভার হাতে নিলে তাদের হাতে সেই বাইক তুলে দেওয়া হয়। কলকাতা পুলিশ এক্স (সাবেক টুইটার)-এ পোস্ট দিয়ে দাবি করেছে, এই বাইক নিয়ে সমাজমাধ্যমে কয়েক জন ‘বিভ্রান্তি’ তৈরি করার চেষ্টা করছেন। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, কলকাতা পুলিশ যে সব সরকারি যানবাহন ব্যবহার করে, তা সবই নথিভুক্ত থাকে পুলিশ কমিশনারের নামে।
তদন্ত সূত্রে জানা গিয়েছিল, আরজি কর হাসপাতালে যে দিন চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগ উঠেছে, সে দিন ওই বাইকে চেপেই গিয়েছিলেন ধৃত। ঘটনার আগে আরজি কর হাসপাতালের একটি সিসিটিভি ফুটেজ সূত্রের মাধ্যমে প্রকাশ্যে এসেছে। সেই ফুটেজে দেখা গিয়েছে, আরজি কর হাসপাতালের করিডরে যখন হাঁটছেন সিভিক ভলান্টিয়ার, তার হাতে ঝুলছে হেলমেট। ধৃতের সেই বাইকও এখন তদন্তকারীদের আতশকাচের নীচে।
অভিযুক্তের বাড়ির লোক, পড়শি, পরিচিতেরা দাবি করেছেন, ওই সিভিক ভলান্টিয়ার ‘কেপি’ (কলকাতা পুলিশ) লেখা বাইকে চেপে ঘুরে বেড়াতেন। সিবিআইয়ের একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছিল, ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার আগের দিন সকাল থেকে পরের দিন ভোর পর্যন্ত মোট চার বার আরজি করে গিয়েছিলেন অভিযুক্ত। তার মধ্যে এক বার গিয়েছিলেন অন্য এক সিভিক ভলান্টিয়ার ‘বন্ধু’র সঙ্গে! সেই ‘বন্ধু’র কোনও পরিচিত আরজি করে ভর্তি ছিলেন। তাঁকে দেখতে যাওয়ার নাম করে বন্ধুর সঙ্গে হাসপাতালে ঢোকেন তিনি। এ ছাড়াও ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার আগে আরও দু’বার নানা অজুহাতে আরজি কর চত্বরে গিয়েছিলেন অভিযুক্ত। সেই সময়েও ওই ‘কেপি’ লেখা সাদা বাইকে চেপে তিনি হাসপাতালে গিয়েছিলেন বলে সূত্রের খবর। এ বার এই বাইকের নথিভুক্তকরণের বিষয়টি স্পষ্ট করল পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy