জামতাড়া গ্যাং-এর এই পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। নিজস্ব চিত্র।
পেটিএম অ্যাকাউন্টের কেওয়াইসি-র নাম করে প্রতারণায় ফের গোয়েন্দাদের জালে ঝাড়খণ্ডের জামতাড়া গ্যাং। গত কয়েক মাস ধরে কলকাতায় একের পর এক ব্যক্তির কাছে পেটিএম অ্যাকাউন্টের কেওয়াইসি আপডেট করানোর জন্য ফোন এসেছিল। সেই ফোন পেয়ে যাঁরাই নির্দিষ্ট লিঙ্কে গিয়ে তথ্য দিয়েছেন, তাঁরাই খুইয়েছেন কয়েক লক্ষ টাকা!
অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা জামতাড়া গ্যাংয়ের হদিস পেলেও সেখানকার কতগুলি দল এই কাজ করছে, তা ধরতে পারেননি। শুক্র-শনিবার মিলিয়ে অবশ্য পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তাদের মধ্যে কয়েক জন জামতাড়ার। বাকিরা ধানবাদ ও দেওঘরের বাসিন্দা। এর আগে এটিএম কার্ড ব্লক হয়ে যাওয়ার নাম করে এই দলেরই লোকজন নিজেদের ব্যাঙ্কের অফিসার বলে পরিচয় দিয়ে গ্রাহকের কার্ড নম্বর এবং কখনও কখনও পিন বা সিভিভি নম্বর চেয়ে নিত। সেই কার্ডের তথ্য হাতিয়ে তুলে নিত টাকা।
কিন্তু পুলিশের লাগাতার প্রচারে সতর্ক হয়ে যান গ্রাহকেরা। এর পরেই প্রতারণার পদ্ধতিতে বদল আনে জামতাড়ার দলটি। পুলিশ জানাচ্ছে, তারা এখন পেটিএম অ্যাকাউন্টের কেওয়াইসি আপডেট করার নাম করে ফোন করছে। গত ১৫ জানুয়ারি শেক্সপিয়র সরণি থানায় সমীরকুমার সিংহ নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, এক ব্যক্তি নিজেকে ব্যাঙ্কের অফিসার পরিচয় দিয়ে তাঁকে ফোন করেছিল। ফোনে বলা হয়, তাঁকে একটি অ্যাপের লিঙ্ক পাঠানো হচ্ছে। সেই লিঙ্কে ক্লিক করলেই সেটি মোবাইলে আপলোড হয়ে যাবে। তার পরে যেমন যেমন তথ্য চাওয়া হবে, তিনি যেন দিয়ে দেন। তাতে তাঁর পেটিএম-এর কেওয়াইসি আপডেট হয়ে যাবে। কথা মতো সমীরবাবু লিঙ্ক আপলোড করার পরে কিছু তথ্য দিয়েই দেখেন, তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে সাড়ে ছ’লক্ষ টাকা। তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা শুক্রবার দেওঘর থেকে বিনোদকুমার পণ্ডিত নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেন। তাকে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় আনা হয়েছে।
এর আগে জুন মাসে হেয়ার স্ট্রিট থানায় প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন বাইপাসের বাসিন্দা, অনাবাসী ভারতীয় প্রদীপকুমার চৌধুরী। তাঁর কাছ থেকে একই কায়দায় প্রতারকেরা প্রায় ৮৮ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল। সেই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ধরা পড়েছে সাত জন। শনিবার এই মামলায় আরও চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের রবিবার ব্যাঙ্কশাল আদালত ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি হেফাজত দিয়েছে। এক পুলিশকর্তা জানান, দেড়শোরও বেশি ভুয়ো নথি তৈরি করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে জালিয়াতি করেছে দলটি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy