—প্রতীকী ছবি।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটে (ইডি) কাজ করে যাওয়া এক হেড কনস্টেবলকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। ধৃতের নাম সুকুমার কুমিল্লা। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, নিজেকে ইডি-র অফিসার বলে পরিচয় দিয়ে সে তোলাবাজি করত এবং লোকজনকে হুমকি দিত। শুক্রবার সুকুমারকে গল্ফ গ্রিন থানার পুলিশ গ্রেফতার করে। বর্তমানে ‘সশস্ত্র সীমা বল’ বা এসএসবি-তে কর্মরত হলেও আগে ইডি-র কলকাতা অফিসে কাজ করত সে। বছরখানেক আগে ডেপুটেশন-পর্ব শেষে ইডি-র অফিস থেকে এসএসবি-তে ফিরে যায় সুকুমার। তাকে আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আলিপুর আদালত। অভিযোগ, গত মার্চ মাসে গল্ফ গ্রিন এলাকারই একটি কাফেতে ইডি-র অফিসার সেজে তোলাবাজি করতে গিয়েছিল সে।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানায়, গল্ফ গ্রিনের উদয়শঙ্কর সরণির ওই কাফেতে গত ১২ মার্চ গিয়ে হাজির হয় সুকুমার। কাফের মালিক সে সময়ে সেখানে ছিলেন না। পুলিশের কাছে লিপিবদ্ধ করা অভিযোগে তিনি জানিয়েছেন, কাফেতে ঢুকে সুকুমার নিজেকে দিল্লি থেকে আসা ইডি-র অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর বলে পরিচয় দেয়। সেই সঙ্গে একটি ভুয়ো মামলার সমন দেখায় কাফের এক কর্মচারীকে। কাফের মালিককে সেখানে ডেকে আনতেও বলে সে। পুলিশ জানতে পেরেছে, সুকুমার ১০ লক্ষ টাকা দাবি করে এবং কাফের মালিকের ব্যক্তিগত তথ্য ও নথি তার হাতে তুলে দেওয়ার জন্য কর্মচারীদের হুমকি দেয়। অভিযোগ, ভয় দেখিয়ে মালিকের প্যান এবং আধার কার্ডের ছবি তুলে নিয়ে যায় সে।
লালবাজার জানিয়েছে, কাফের মালিক প্রথমে পুলিশকে কিছু জানাননি। তিনি খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, ওই ব্যক্তি ভুয়ো পরিচয় দিয়েছে। এর পরেই তিনি ইডি এবং এসএসবি-তে অভিযোগ দায়ের করেন। যার ভিত্তিতে গত এপ্রিলে সুকুমারকে গ্রেফতার করে ইডি। এর মধ্যে সুকুমারের বিরুদ্ধে গল্ফ গ্রিন থানাতেও একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। যার ভিত্তিতে পুলিশ প্রাথমিক ভাবে তদন্ত করে জানতে পারে, ওই অভিযুক্তের পিছনে রয়েছে একটি চক্র। সেই চক্রে ইডি-র বর্তমান এবং প্রাক্তন কোনও কোনও অফিসারও থাকতে পারেন বলে খবর। এর পরেই পুলিশের তরফে শুক্রবার ধৃতকে জেল হেফাজত থেকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার জন্য আবেদন করা হয় আদালতে। যা মঞ্জুর করে আদালত।
পুলিশের দাবি, অভিযুক্ত এক সময়ে ইডি-তে প্রভাবশালী বলেই পরিচত ছিল। পরে এসএসবি-তে গেলেও সে নিজের প্রভাব খাটিয়ে তোলাবাজি করে যাচ্ছিল বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। এক তদন্তকারী অফিসার জানান, সুকুমারের পিছনে আর কে কে আছে, তা জানার জন্যই ধৃতকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy