Advertisement
১৯ নভেম্বর ২০২৪

র‌্যাগিংয়ে নিগৃহীতকে ‘হুমকি’ অভিযুক্তের, নালিশ উপাচার্যকে

বিষয়টি জেনে মঙ্গলবার বিজ্ঞান বিভাগের সচিব অমিত রায় রাজাবাজার সায়েন্স কলেজের পাশে পিজি মেন হস্টেলে নিরাপত্তারক্ষীদের পাঠান।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০১৮ ০২:০৪
Share: Save:

র‌্যাগিংয়ে অভিযুক্ত ছাত্রই উপাচার্যের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের নাম করে নিগৃহীতকে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ! এমনই ঘটনা ঘটল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। সূত্রের খবর, বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়।

সূত্রের খবর, দিন কয়েক আগে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাপ্লায়েড অপটিক্স অ্যান্ড ফোটোনিক্স বিভাগের এক ছাত্র হস্টেলে র‌্যাগিংয়ের শিকার বলে কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। যে ছাত্রদের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ, তাদের মধ্যে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি) নেতা সুব্রত ঘোষের নাম। ক্যাম্পাসে যে জবা বলে পরিচিত। বিষয়টি এই মুহূর্তে অ্যান্টি-র‌্যাগিং কমিটিতে বিচারাধীন। তারই মধ্যে ওই ছাত্র অভিযোগ করেছেন, হস্টেলে মত্ত অবস্থায় অভিযুক্তেরা তাঁকে ভয় দেখাচ্ছে।

বিষয়টি জেনে মঙ্গলবার বিজ্ঞান বিভাগের সচিব অমিত রায় রাজাবাজার সায়েন্স কলেজের পাশে পিজি মেন হস্টেলে নিরাপত্তারক্ষীদের পাঠান। পাওয়া যায় মদের বোতল। অভিযোগের ভিত্তিতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা স্থির করতে বুধবার বৈঠক ডেকেছিলেন বিজ্ঞান-সচিব। কিন্তু বৈঠক শুরুর আগেই প্লেসমেন্টের দাবি তুলে টিএমসিপি-র একটি গোষ্ঠীর নেতৃত্বে রাজাবাজার ক্যাম্পাসে অবস্থানের ডাক দেওয়া হয়। গভীর রাত পর্যন্ত চলা ওই অবস্থানে আটকে পড়েন প্রযুক্তি বিভাগের ডিন অম্লান চক্রবর্তী ও উপ-রেজিস্ট্রার শান্তনু পাল। বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি মহলের দাবি, র‌্যাগিংয়ের বিষয়টিকে চাপা দিতেই অবস্থানের ডাক দেওয়া হয়।

অ্যাপ্লায়েড অপটিক্স বিভাগের ছাত্রটির আরও অভিযোগ, বুধবার রাতেই সুব্রত তাঁকে হুমকি দিয়ে বলেন, উপাচার্যের ঘনিষ্ঠ আত্মীয় তাঁর দাদা। বিষয়টি বৃহস্পতিবার উপাচার্যকে লিখিত ভাবে জানান অভিযোগকারী ছাত্র। জমা দেন ওই কথোপকথনের অডিয়ো রেকর্ডিংও। সূত্রের খবর, এর পরেই উপাচার্য সোনালিদেবী সুব্রতকে ডেকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন। লিখিত ভাবে ক্ষমা চান সুব্রত। যদিও অভিযোগের সত্যতা জানতে তাঁকে বারবার ফোন এবং এসএমএস করা হয়েছিল। কিন্তু উত্তর পাওয়া যায়নি।

তবে অভিযোগকারী ছাত্র বৃহস্পতিবার হস্টেলে ছেড়ে চলে গিয়েছেন বলে খবর। সন্ধ্যায় তিনি বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়ে গিয়েছেন।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy