মেট্রোর সামনের দিক থেকে পাঁচ নম্বর কামরার একটি দরজা, যা তখনও খোলা। —নিজস্ব চিত্র।
ভিড়ে ঠাসা এসি মেট্রো সুড়ঙ্গ দিয়ে দৌড়চ্ছে। অথচ তার দরজা হাট করে খোলা! বুধবার সকালে দমদম থেকে কবি সুভাষ এমন ভাবেই পৌঁছল একটি রেক। এর পর মেট্রোর যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ভিড়ে ঠাসা মেট্রো কী ভাবে দরজা খোলা অবস্থাতেই চালানো হল, তা নিয়ে ক্ষুব্ধ যাত্রীরা। যদিও মেট্রো কর্তৃপক্ষের যুক্তি, দরজা খোলা থাকলেও তার সামনে এক জন আরপিএফ কর্মী যাত্রী নিরাপত্তার কারণে ছিলেন।
বুধবার সকাল ১০টা ২৪। দমদম থেকে ছাড়ে একটি এসি রেক। কবি সুভাষমুখী ওই মেট্রোর সামনের দিক থেকে পাঁচ নম্বর কামরার একটি দরজা তখনও খোলা। সেখানে দাঁড়িয়ে এক জন আরপিএফ কর্মী। তার আগে প্রায় ১৫ মিনিট মেট্রোটি দমদম স্টেশনে দাঁড়িয়ে ছিল। যাত্রীদের অভিযোগ, মেট্রোটি ছাড়তে কেন দেরি হচ্ছে সে বিষয়ে স্টেশনে কোনও ঘোষণা করা হয়নি। ওই মেট্রোর এক যাত্রী রথীন বসাক বলেন, ‘‘দমদম থেকে মেট্রোয় উঠি। ঠাসাঠাসি ভিড় ছিল। সব ক’টা বন্ধ হলেও আমার সামনের দরজাটা বন্ধ হচ্ছিল না। কিছু ক্ষণ পর ওই খোলা দরজা নিয়েই মেট্রোটি ছাড়ে। দরজার সামনে এক জন আরপিএফ এবং মেট্রোর দু’জন কর্মী ছিলেন।’’
কবি সুভাষের দিকে মুখ করলে বাঁ দিকের দরজা ছিল। সুড়ঙ্গের মধ্যে ও রকম ভাবে মেট্রো চলায় ওই কামরার যাত্রীরা প্রচণ্ড ভয় পেয়ে যান। ঠাসাঠাসি যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। রমেন সিংহ নামের এক য়াত্রী বললেন, ‘‘এক একটা স্টেশন থেকে যাত্রীরা ওঠা নামা করছেন, আর ভয়ে কেঁপে উঠছি, ধাক্কাধাক্কিতে ও পাশের খোলা দরজা দিয়ে পড়ে যাব কি না! এক জন আরপিএফের আর কত শক্তি, যে ভিড়ে ঠাসা মেট্রোর সব চাপ তিনি সহ্য করে আমাদের ঠেকিয়ে রাখবেন!’’
আরও পড়ুন: মর্গে দেহ, জানে না পুলিশ, ১৩ দিন ধরে নিখোঁজ ভাইকে খুঁজলেন কালীঘাটের বনমালি
পরপর বদলির সিদ্ধান্ত কঠিন, স্বীকার সিপি-র
ক্ষুব্ধ যাত্রীদের প্রশ্ন, সমস্যার কারণে দরজা বন্ধ নাই হতে পারে। তাই বলে এ ভাবে ঝুঁকি নিয়ে মেট্রো চালানো হবে? যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে মেট্রো কর্তৃপক্ষের কোনও মাথাব্যথাই কি নেই? মেট্রো রেলের মুখ্য জন সংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সকাল ১০টা ২৪ মিনিট নাগাদ দমদম মেট্রো স্টেশন থেকে ওই রেকটি ছাড়ে। সামনে থেকে পাঁচ নম্বর কোচের একটি দরজা বন্ধ হয়নি। অফিসের ব্যস্ত সময়ে পরবর্তী মেট্রোগুলি আটকে যাচ্ছিল। তাই, আমরা ওই দরজার সামনে এক জন আরপিএফ, এক জন চিফ লোকো পাইলট এবং এক জন কর্মীকে রেখেই মেট্রোটি চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy