ফাইল চিত্র।
সপ্তাহের মাঝামাঝি কাজের দিনে মেট্রোয় টোকেন ফিরলেও সে ভাবে ভিড় বাড়ল না। মেট্রো সূত্রের খবর, সারা দিনে মোট যাত্রী সংখ্যায় বড় হেরফের না হলেও প্রায় ৩৩ হাজারের মতো যাত্রী টোকেন কিনে যাতায়াত করেছেন। প্রাপ্ত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মেট্রোয় এখনও স্মার্ট কার্ডের নিয়মিত যাত্রীরাই সংখ্যার বিচারে অনেকটা এগিয়ে।
দীর্ঘ দেড় বছর পরে টোকেন ফিরিয়ে আনতে গিয়ে মেট্রোর পক্ষে প্রস্তুতির অভাব ছিল না। লকডাউন পর্বে মেট্রো কর্তৃপক্ষের কাছে প্রায় ১ লক্ষ ২৫ হাজার টোকেন মজুত ছিল। এ দিন পরিষেবা শুরু করার আগে আরও ৭৫ হাজার টোকেন যোগ করা হয়। টোকেনের সম্ভাব্য চাহিদা এবং প্রত্যেক স্টেশনে টোকেন এক বার ব্যবহারের পরে তা জীবাণুমুক্ত করার নির্দিষ্ট সময় হিসেব করেই ওই ব্যবস্থা করা হয়েছিল বলে খবর। এ দিন রাত ৮টা পর্যন্ত মেট্রোয় ৩ লক্ষ ১৭ হাজার ৭৪১ জন সফর করেছেন। তার মধ্যে টোকেন কিনেছেন ৩০,৮৩৯ জন। বিকেল ৩টের সময়ে ওই সংখ্যা ছিল ১৬,২১৮ জন। সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত নতুন স্মার্ট কার্ড বিক্রি হয়েছে ১৮০৬টি। দুপুর পর্যন্ত দমদম এবং দক্ষিণেশ্বরে টোকেন কিনে সবচেয়ে বেশি যাত্রীকে সফর করতে দেখা গিয়েছে। দুপুর ১টা পর্যন্ত দক্ষিণেশ্বরে প্রায় ৯০০ এবং দমদমে প্রায় ১৯০০ যাত্রী টোকেন কিনে সফর করেছেন। যা স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় নিতান্তই কম।
অতিমারি-পূর্ব পরিস্থিতিতে মেট্রোর দৈনিক যাত্রী সংখ্যা ছিল প্রায় সাড়ে ছ’লক্ষের কাছাকাছি। যার প্রায় ৫০ শতাংশ ছিলেন টোকেনের যাত্রী। সেই সংখ্যা এখন অনেকটাই কম। সংক্রমণের আশঙ্কা কমাতে টোকেন জীবাণুমুক্ত করার প্রায় ৪০টি যন্ত্র কেনা হয়েছে। অতিবেগুনি রশ্মি দিয়ে যা চার মিনিটের মধ্যে টোকেন জীবাণুমুক্ত করছে।
মেট্রোর আধিকারিকদের মতে, যাঁরা মোটামুটি নিয়মিত যাতায়াত করেন, তাঁরা স্মার্ট কার্ডকেই পছন্দের তালিকায় এগিয়ে রাখছেন। দীর্ঘ দিন টোকেন বন্ধ থাকায় যাতায়াতের মাধ্যম বদলেছেন অনেক যাত্রীই। আবার যাত্রীদের একাংশের মতে, এখনও টোকেন চালু হওয়ার বিষয়টি সকলে জানেন না। ফলে, কিছু দিন যাওয়ার পরে পরিস্থিতি স্পষ্ট হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy