কলকাতা মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ফাইল ছবি।
বেআইনি নির্মাণের জন্যই কি আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিল? বুধবার সকালে রাজভবনের কাছে এক বহুতলে বিধ্বংসী আগুন লাগার ঘটনায় কলকাতা পুরসভার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় পুরপ্রতিনিধি সন্তোষ পাঠক।
রেড ক্রস প্লেসের যে চারতলা ভবনে এ দিন আগুন লাগে, সেটি পুরসভার ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত। সেখানকার পুরপ্রতিনিধি, কংগ্রেসের সন্তোষ পাঠক আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযোগ করেন, ‘‘যে বাণিজ্যিক ভবনে আগুন লেগেছে, সেখানে একাধিক বার বেআইনি নির্মাণ হয়েছে। বেসমেন্টে, একতলায় বেআইনি নির্মাণ হওয়ায় ঠিক সাত বছর আগে, ২০১৬ সালের ১০ মে পুরসভার বিল্ডিং দফতরে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলাম। কিন্তু, আজ পর্যন্ত পুরসভা ব্যবস্থা নেয়নি।’’ তাঁর আরও অভিযোগ, ‘‘ওই ঠিকানার চারতলায় টিন ও প্লাস্টিকের ছাউনি দিয়ে একাধিক অফিস তৈরি হয়েছে। এটাও পুরসভাকে চিঠিতে লিখেছিলাম।’’
এ দিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত মেয়র ফিরহাদ হাকিম পাল্টা পুরপ্রতিনিধিকেই দোষারোপ করে দাবি করেন, ‘‘কবে থেকে বেআইনি? কী বেআইনি? এলাকার পুরপ্রতিনিধি বেআইনি নির্মাণের অভিযোগই পুরসভায় করেননি।’’
এ দিন আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। সেখানেও রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় সন্তোষ পাঠককে। এ দিন সন্ধ্যায় রাজ্যপালের আমন্ত্রণে সন্তোষ রাজভবনে যান। বেরোনোর সময়ে তিনি বলেন, ‘‘ওই ভবনের অবৈধ নির্মাণের বিষয়ে রাজ্যপালকে জানিয়েছি। সেই বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত যে সমস্ত চিঠি পুরসভাকে দিয়েছি, সেগুলির প্রতিলিপি রাজ্যপাল চেয়েছেন।’’
পুরসভার বিল্ডিং দফতর সূত্রের খবর, ওই বাণিজ্যিক ভবনটি বহু বছর আগে তৈরি। সেখানে বেআইনি নির্মাণের কাজ হয়েছিল কি না, তা দেখা হচ্ছে। বিল্ডিং দফতরের এক আধিকারিক জানান, চারতলায় টিন ও প্লাস্টিকের ছাউনির যে সব নির্মাণ রয়েছে, সেগুলি বিপজ্জনক। চারতলার বাকি বিপজ্জনক অংশও পুরসভা ভেঙে দেবে।
সন্তোষের অভিযোগ অস্বীকার করে বাণিজ্যিক ভবনটির কর্ণধার রাহুল শরাফ বলেন, ‘‘সত্তরের দশকে পুরনো বাড়িটি কিনেছিলাম। তার পর থেকে এই বাড়িতে কোনও রকম নির্মাণ হয়নি।’’ প্লাস্টিক বা টিনের অস্থায়ী নির্মাণও তাঁদের আমলে হয়নি বলেই দাবি তাঁর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy