Advertisement
২০ নভেম্বর ২০২৪
crime

কুপিয়ে ‘খুন’ জামাইবাবুকে, ধৃত শ্যালক

দুপুরের নমাজ পড়া সবে শেষ হয়েছে জামাইবাবুর। তিনি উঠে দাঁড়াতেই শ্যালক সটান দোকানে ঢুকে ট্রাউজ়ার্সের পকেট থেকে ছুরি বার করে এলোপাথাড়ি কোপ মারতে শুরু করল তাঁর বুকে

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২০ ০২:১০
Share: Save:

দুপুরের নমাজ পড়া সবে শেষ হয়েছে জামাইবাবুর। তিনি উঠে দাঁড়াতেই শ্যালক সটান দোকানে ঢুকে ট্রাউজ়ার্সের পকেট থেকে ছুরি বার করে এলোপাথাড়ি কোপ মারতে শুরু করল তাঁর বুকে। মামাকে নৃশংস ভাবে মারতে দেখে পাশে বসে থাকা ভাগ্নে বাধা দিতে যাওয়ায় তাঁর কানেও ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ। এর পরে অভিযুক্ত যুবক শেখ আসিফ ছুটে পালিয়ে যায় দোকান থেকে। পরে অবশ্য তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার এই ঘটনা ঘটেছে একবালপুর থানা এলাকার একবালপুর লেনে। আক্রান্ত ব্যক্তির নাম আফতাব আলম (৪০)। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
সপ্তাহ দুয়েক আগেই একবালপুর থানা এলাকায় আরও একটি খুনের ঘটনা ঘটেছিল। সে দিন একটি বাড়িতে ঢুকে গৃহকর্ত্রী ও তাঁর দুই মেয়েকে শিলনোড়া নিয়ে আক্রমণ করে এক যুবক। হাসপাতালে মহিলা মারা যান। দিন তিনেক আগে মৃত্যু হয় এক মেয়ের।

এ দিনের ঘটনাও সেই একবালপুর থানা এলাকাতেই। পুলিশ জানিয়েছে, ভূকৈলাস রোডের বাসিন্দা আফতাব আলমের একটি কাপড়ের দোকান রয়েছে একবালপুর লেনে। এ দিন বিকেলে আফতাব ও তাঁর ভাগ্নে জিয়াউল মোস্তাফা দোকানে ছিলেন। জিয়াউলের কথায়, ‘‘তখন বিকেল সাড়ে ৩টে। মামার নমাজ পড়া সবে শেষ হয়েছে। হঠাৎ দেখি, লাল গেঞ্জি পরা এক যুবক ছুটে এসে দোকানে ঢুকে ছুরি বার করে মামার বুকে এলোপাথাড়ি কোপ বসাচ্ছে। আমি মামাকে বাঁচাতে গিয়ে দেখি, ওই যুবক মামারই শ্যালক। আমি বাধা দিতে গেলে সে আমার কানে ছুরি দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়।’’

আর্তনাদ শুনে এলাকার লোকজন ছুটে এসে দেখেন, দু’জন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। প্রথমে তাঁদের স্থানীয় একটি নার্সিংহোম ও পরে একবালপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা আফতাবকে মৃত ঘোষণা করেন। ভাগ্নেকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, আফতাবের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর বিবাহ-বিচ্ছেদের মামলা চলছিল। দীর্ঘ দিন ধরেই শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ভাল ছিল না। পারিবারিক বিবাদের জেরেই আফতাব খুন হলেন বলে তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান। লালবাজারের এক কর্তা বলেন, ‘‘গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে। শেখ আসিফকে জেরা করে খুনের কারণ জানার চেষ্টা হচ্ছে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Murder Police
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy