একটা পুরনো শহর মানে কি শুধু ইতিহাসবইয়ের পাতা? না কি এই ২০২২ সালেও শহরজোড়া ইতিউতি ছড়িয়ে আছে যে স্থাপত্য ও ভাস্কর্য, অথবা তাদের অবশেষ, সেগুলোও? চোখে দেখা যায় না যা, সেই পুরনো গন্ধ, মুছে যেতে বসেছে যারা, সেই সব কাহিনি আর কথকতা— এরাও কি নয় সেই শহরেরই অঙ্গ? শহর কলকাতা গড়ে ওঠার ‘ঐতিহাসিক’ সংগ্রহশালায় এরা প্রত্যেকেই এক-একটি প্রদর্শ। এদের সঙ্গে নিয়ে গোটা কলকাতাটাই যেন এক মিউজ়িয়ম। শিল্প প্রতিষ্ঠান ডিএজি-র উদ্যোগে ‘দ্য সিটি অ্যাজ় আ মিউজ়িয়ম’ প্রকল্পের ভাবনাও শুরু এ থেকেই। আজ থেকে শুরু হয়েছে ‘আন্তর্জাতিক হেরিটেজ সপ্তাহ’, তারই সমান্তরালে ডিএজি-র উদ্যোগে একগুচ্ছ কর্মসূচি শহরে।
গতকাল, ১৮ নভেম্বর পাথুরিয়াঘাটার ঠাকুরবাড়িতে ছিল প্রথম অনুষ্ঠান ‘রিভিজ়িটিং দ্য টেগোরস’: সঙ্গীত, চিত্রকলা, থিয়েটার-সহ শিল্পের নানা ক্ষেত্রে ঠাকুরবাড়ির অবদান নিয়ে আলাপচারিতা, সঙ্গে গানও। আজ চুঁচুড়ায় ঐতিহাসিক হুগলি ইমামবাড়া ঘুরে দেখা, সেই সঙ্গে শৈল্পিক ফ্রেসকো নিয়ে কর্মশালা, থাকবেন অগ্নিবেশ ঘোষ মির্জা সাজিদ আলি ও সুমন্ত্র মুখোপাধ্যায়। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল-এর সংগ্রহে আছে দুর্মূল্য দুষ্প্রাপ্য বহু ছবি, তারই মধ্য থেকে বাছাই ছবি দেখিয়ে ইতিহাসের সহজ পাঠ পেতে পারে শিশু-কিশোররা, ২১ নভেম্বর সকাল ১১টা থেকে। দুপুরে রয়েছে শিক্ষকদের জন্য কর্মশালা, ছবি কী করে হয়ে উঠতে পারে শেখানোর উপকরণ, তা নিয়ে। আবার লেক টাউনে শানু লাহিড়ীর বাড়িতে ২২ নভেম্বরের সন্ধেটি কাটবে চিত্রশিল্পীর পারিবারিক সংগ্রহের ছবি ও গল্প ঘিরে, স্বাধীনতা-উত্তর কলকাতার শিল্পী ও শিল্পজগতের অনুসন্ধানে।
২৩ নভেম্বর বিকেল ৪টেয় বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসুর বাড়ি ও বোস ইনস্টিটিউট ঘুরে দেখবেন উৎসাহীরা, কথা হবে জগদীশচন্দ্রের শিল্পসংগ্রহ নিয়ে। নরেন্দ্রপুরের কাছে ভাস্কর চিন্তামণি করের বাড়িতে ‘ভাস্কর ভবন’ সংগ্রহশালা ও সংলগ্ন পাখিরালয় ঘুরে বোঝার চেষ্টা হবে শিল্প ও প্রকৃতির নিবিড় সংযোগসূত্রটি, ২৫ নভেম্বর দুপুর ১টা থেকে। ২৬ নভেম্বর দুপুর দুটোয় উত্তরপাড়ার জয়কৃষ্ণ লাইব্রেরির গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকার বিপুল সম্ভার দেখিয়ে গবেষক সর্বজিৎ মিত্র বলবেন ঔপনিবেশিক বাংলার মুদ্রণ ও অলঙ্করণ শিল্পের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য নিয়ে। ছেলেবেলার পাখি আর বেড়ালের গল্পে লুকিয়ে থাকে সমাজ আর রাজনীতির ঘোরপ্যাঁচ, মণিপুরি দিদিমা-ঠাকুমাদের গল্প-শোনানোর ঢঙে তেমনই এক গল্পের নাট্যরূপ ‘পেবেত’ দেখা যাবে ২৭ নভেম্বর আইসিসিআর-এ, হেইসনাম কানহাইলালের নির্দেশনায়, মঞ্চে থাকবেন সাবিত্রী হেইসনাম। সে দিন সকাল ১০টায় ‘বং ইটস’ ইউটিউব চ্যানেলে বাংলার মায়েদের চেনা রান্নার অচেনা গল্প শোনাবেন পৃথা সেন। উপরে রমেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর আঁকা ছবিতে সেই ‘ঘরোয়া’রই উদ্যাপন। ছবি সৌজন্য: ডিএজি
অগ্রপথিক
“বাবা-ই প্রথম চলচ্চিত্রকে ‘টেক্সট’ হিসেবে দেখতে শিখিয়েছিলেন। শুধু পরিচালক বা সমালোচকই নন, ছিলেন ফিল্ম হিস্টোরিয়ানও; আমার পরিচালক হয়ে ওঠার পিছনে যে মনন ও শিক্ষা, তা তৈরি করে দিয়েছিলেন বাবা আর মা-ই,” চিদানন্দ ও সুপ্রিয়া দাশগুপ্তকে নিয়ে বলছিলেন অপর্ণা সেন। ফিল্ম সোসাইটি আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ চিদানন্দ দাশগুপ্তের (ছবি) জন্মশতবর্ষ (জন্ম ১৯২১) উপলক্ষে ২০ নভেম্বর তাঁর জন্মদিনে বিড়লা সভাঘরে সন্ধ্যা ৬টায় তাঁর নামাঙ্কিত স্মারক বক্তৃতা, বক্তা গোপালকৃষ্ণ গান্ধী, বিষয়: ‘ভারত ৭৫’। সেরা প্রথম পরিচালক, গ্রন্থকার, পোশাক পরিকল্পকও সম্মানিত হবেন স্মারক পুরস্কারে, আয়োজনে চিদানন্দ দাশগুপ্ত মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ও সংস্কৃতি সাগর। আবার ফিল্ম-আলোচকদের আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘ফিপরেস্কি ইন্ডিয়া’র উদ্যোগে আন্তর্জালে চিদানন্দ দাশগুপ্ত স্মারক বক্তৃতা, আগামী কাল বিকেল ৪টেয়। অধ্যাপক আই সন্মুঘদাস বলবেন ‘পাল্টে যাওয়া সময়ে চলচ্চিত্র সমালোচনা’ নিয়ে।
পাঠ-সম্ভার
একটি সাহিত্যপত্রিকা তার সম্পাদকীয়তে শ্রদ্ধা জানাচ্ছে আর একটি সাহিত্যপত্রিকাকে, এ কালে চোখে পড়ে না তত। কারুকথা এই সময় পত্রিকার (সম্পা: সুদর্শন সেনশর্মা) উৎসব সংখ্যা ১৪২৯-এর সম্পাদকীয়টি সে কারণেই উজ্জ্বল, পরিচয় পত্রিকার ৯০ পূর্তির আনন্দ-শরিক। পরিচয়-এর বিখ্যাত আড্ডার সূত্রেই চোখে পড়ে সূচিপত্র-শেষে খুদে ঘোষণাটিও: ‘কারুকথার আড্ডা প্রতি শুক্রবার সন্ধে ৬টা থেকে ৮টা’— সাহিত্যের আড্ডার আলো ক্রমশ নিবে আসা এ শহরে স্নিগ্ধ প্রদীপশিখা যেন। লেখাগুলিও বেশ, স্বপ্না দেবের চিঠি, জীবনানন্দকে নিয়ে প্রভাতকুমার দাস, চিত্রভানু মজুমদারের ছবি নিয়ে মৃণাল ঘোষ, শঙ্খ ঘোষকে নিয়ে কয়েকটি মনোরম লেখা। ‘স্মরণ’ অংশে অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত হাসান আজিজুল হক প্রভাত চৌধুরীর জীবন ও কৃতি ফিরে দেখা, কলকাতার সেন্ট অ্যান’স গির্জা আর পুরনো থিয়েটারপাড়াকেও। রয়েছে একগুচ্ছ গল্প কবিতা, একটি শ্রাব্য-নাটকও।
নিতি নৃত্যে
১৯৮৩-তে কলকাতায় ফিরলেন মঞ্জুশ্রী চাকী সরকার, সল্টলেকের ‘রঙমশাল’ হয়ে উঠল ‘নবনৃত্য’-এর পরীক্ষাগার। নতুন নৃত্যভাষা তৈরিতে মায়ের সঙ্গে ছিলেন ডান্সারস’ গিল্ড-এর ‘প্রিন্সিপাল ডান্সার’ রঞ্জাবতীও। মঞ্জুশ্রী-রঞ্জাবতীর অবদান নতুন আঙ্গিকে নৃত্য নির্মিতি: চণ্ডালিকা অবলম্বনে ‘তোমারি মাটির কন্যা’, তাসের দেশ থেকে ‘কোন নূতনের ডাক’। রঞ্জাবতী ও পরে মঞ্জুশ্রীর প্রয়াণে ছন্দপতন হলেও, নবনৃত্যধারা বহতা রাখতে হাল ধরেন গুণমুগ্ধেরা। জোনাকি সরকার-পার্বতী গুপ্তের হাত ধরে নতুন পথ চলা, এই জুটির হাত ধরে ২০১৭-তে তৈরি হয়েছে নৃত্যচর্চা ও গবেষণা কেন্দ্র ‘মৃত্তিকা’ও। এ বার ৪০তম বর্ষ উদ্যাপনের দোরগোড়ায় ডান্সারস’ গিল্ড, আগামী ২২ নভেম্বর সেই উদ্যাপনেরই শুভ সূচনা।
মনস্বী
অধ্যাপক, ইঞ্জিনিয়রের পেশা থেকে সরে এসে ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্বে মন দিয়ে, ঘুরেছেন সারা ভারত। প্রত্নাবশেষ, পাহাড়-অরণ্য-নদী সমুদ্রতীর থেকে বহু পুরাবস্তু সংগ্রহ করে বেহালার পর্ণশ্রীতে গড়েছিলেন ‘ভুবন মিউজ়িয়ম’। পঁচিশ বছর ধরে চলেছে সংগ্রহশালা, বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি মিউজ়িয়মে সগৌরবে প্রদর্শিত পুরাবস্তুগুলি। জঙ্গলমহলে প্রাগৈতিহাসিক শিলাগৃহ, প্রাচীন তাম্রবিগলন চুল্লি ও পাথরের হাতিয়ার আবিষ্কার করেছেন, চন্দ্রকেতুগড়ে প্রাপ্ত পোড়ামাটির ফলকে উৎকীর্ণ প্রাচীন লিপির পাঠোদ্ধার করেছেন। অমলেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় আজ, ১৯ নভেম্বর ৯৪ বছরে। জন্মদিনে পর্ণশ্রীর বাড়িতে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাবে দুর্বার কলম।
মনের মতো
শহরের সরকারি প্রাথমিক স্কুলে পড়ুয়া ওরা। কোভিডকালে স্কুলছুট অনেকেই, মুছে গিয়েছে লেখাপড়ার অভ্যাস, আগ্রহও। তা ফেরাতেই শিশুশিক্ষা নিয়ে কাজ করা সংস্থা ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’ পরীক্ষামূলক ভাবে প্রায় চার হাজার শিশুর হাতে তুলে দেয় একটি বই। নাম আমার লেখা বই, কিন্তু পৃষ্ঠাগুলো ফাঁকা। পড়ুয়াদের বলা হয় বইয়ের পাতা ভরাতে, তারা যা চায় তা-ই দিয়ে। প্রায় ২৭০০ বই ফিরলে দেখা যায়, পাতায় পাতায় ওদের বেড়ানোর অভিজ্ঞতা, শোনা গল্প, কবিতা, আঁকিবুঁকি। সেই সব বই-ই দেখানো হল গত ১৬-১৭ নভেম্বর নেহরু চিলড্রেন’স মিউজ়িয়মে এক প্রদর্শনীতে। উদ্যোক্তারা বাছাই কিছু গল্প কবিতা ছবি নিয়ে ছেপেছেন একই নামের আরও একটা বই। শিশুরা আসলে বইয়ে কী চায়, তার দিগ্দর্শন।
সুরসলিল
তাঁর বাড়ি ছিল মিউজ়িশিয়ানদের জন্য অবারিতদ্বার। “ওঁর ইচ্ছা ছিল ভাল সুরকার তৈরি করার লক্ষ্যে একটা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠুক, যেখানে মিউজ়িক ও কম্পোজ়িশন নিয়ে যাঁরা ভাবছেন তাঁরা শিখতে পারবেন,” স্মৃতিবিভোল দেবজ্যোতি মিশ্র। আজ জন্মদিন সলিল চৌধুরীর, ২১ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৫টায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ত্রিগুণা সেন প্রেক্ষাগৃহে ‘জীবন উজ্জীবন/ গানে গল্পে কথা’য় তাঁকে স্মরণ করবেন দেবজ্যোতি মিশ্র (নীচে ডান দিকের ছবিতে দুজনে)। আজ সন্ধে ৬টায় শোভাবাজার নাটমন্দিরে কথায় গানে শিল্পীকে স্মরণ করবে ‘সৃষ্টি পরিষদ’ও। অন্য দিকে, শিশু দিবসে হিন্দুস্থান রেকর্ডস প্রকাশ করল অভিনব বই গানে গানে অন্তরা/ ছবিতে মোড়া গানের গল্প, সলিল চৌধুরীর ছোটদের চারটি গানের কমিক বুক (বাঁ দিকের ছবি)— পণ্ডিত তন্ময় বসু, অন্তরা চৌধুরী প্রমুখের উপস্থিতিতে। ২০২৫-এ শিল্পীর জন্মশতবর্ষ, তারই উদ্যাপন-লক্ষ্যে সম্প্রতি ‘সলিল জন্ম উৎসব কমিটি’ গঠিত হল ‘সলিল চৌধুরী ফাউন্ডেশন অব মিউজ়িক, সোশ্যাল হেল্প অ্যান্ড এডুকেশন ট্রাস্ট’-এর উদ্যোগে, বর্ষব্যাপী নানা অনুষ্ঠান ও কর্মসূচি শুরু হবে আগামী বছর ১৯ নভেম্বর থেকে।
রবিচ্ছবি
হৃষীকেশ মুখোপাধ্যায়ের মন্তব্য, “সব অভিনেতা, সব শিল্পী সব সময় আমার কাছে একশোয় একশো পায় না। একমাত্র রবিই পেয়েছিল।” অভিনয় ছিল তাঁর শিরায় শিরায়। কলেজে পড়াকালীন নাটকে অভিনয় দিয়ে শুরু, বন্ধুদের নিয়ে আশুতোষ কলেজের ছাদে চলত তাঁর দল ‘বন্ধুমন’-এর মহড়া। পঞ্চাশের দশকে উৎপল দত্তের সাংবাদিক নাটকে তিরিশ সেকেন্ডের সংবাদপত্র বিক্রেতার চরিত্র, মঞ্চের এ দিক দিয়ে ঢুকে অন্য দিক দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া। তা দেখেই মুগ্ধ মৃণাল সেন। আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি রবি ঘোষকে। প্রবাদপ্রতিম অভিনেতার ৯২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবার পরিষদের আয়োজনে বড়িশার সাবর্ণ সংগ্রহশালায় শুরু হচ্ছে এক প্রদর্শনী, ২৪ নভেম্বর থেকে আগামী এক মাস, সকাল ১০টা থেকে ১টা। অভিনেতার স্ত্রী বৈশাখী দেবীর সহযোগিতায় (উপরে তাঁদের বিয়ের ছবি) প্রদর্শনীতে দেখা যাবে দুষ্প্রাপ্য ছবি, অভিনেতার ব্যবহৃত জিনিসপত্র; জানা যাবে জীবনের নানা দিক-আঙ্গিক।
পাড়ি
বিজ্ঞাপন সংস্থায় ছবি আঁকছেন সত্যজিৎ রায়, ফরমায়েশি কাজের মধ্যেই বুনে দিচ্ছেন নিজস্ব স্বাক্ষর। পথের পাঁচালী-পূর্ব সত্যজিৎকে নিয়ে ছবি বানিয়েছেন জয়দীপ মুখোপাধ্যায় ও অলোক বন্দ্যোপাধ্যায়, আদার রে: আর্ট অব সত্যজিৎ রায় দেখানো হবে ‘ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অব ইন্ডিয়া’ (ইফি)-তে, শুরু হচ্ছে গোয়ায় আগামী কাল। ‘ইন্ডিয়ান প্যানোরামা’য় এ ছবির সঙ্গী সৌরভকান্তি দত্তের তথ্যচিত্র ফাতিমা; আছে অরিন্দম শীল, অভিজিৎ সেনের কাহিনিচিত্রও। আর তিরুঅনন্তপুরমে আগামী ৯-১৬ ডিসেম্বর কেরল আন্তর্জাতিক ফিল্মোৎসবেও রয়েছে কলকাতার দুই ছবি— অতনু ঘোষের শেষ পাতা, ইন্দ্রাশিস আচার্যের নীহারিকা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy