ফাইল ছবি
কসবা ভুয়ো টিকা-কাণ্ডে প্রতিদিনই উঠে আসছে নতুন নতুন তথ্য। গত ২৭ জুন দেবাঞ্জনের মাদুরদহের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল পুলিশ। সেই তল্লাশির পর দেবাঞ্জনের বাড়ি থেকে একটি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। সেই ব্যাগের ভিতর থেকে মিলেছে একটি বিএসএফ-এর উর্দি। পাশাপাশি, গোয়েন্দা সূত্রে খবর বিপুল অঙ্কের টাকা তছরুপের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন দেবাঞ্জন। দশটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ছিল তাঁর। সেখানে থেকে কোটি কোটি টাকা সরিয়েছিলেন তিনি।
শুক্রবার হাই কোর্টে দেওয়া হলফনামায় রাজ্য সরকার জানিয়েছিল, কোভিশিল্ড ও স্পুটনিক ভি-এই দুই করোনা টিকার স্টিকার ব্যবহার করে যে ভায়ালগুলি রাখা হয়েছিল, আসলে সেগুলি অন্য ওষুধের ভায়াল। এগুলিতে কী ধরনের মিশ্রণ ব্যবহার করা হয়েছিল, শনিবার সেগুলি পরীক্ষার জন্য নাইসেডে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই পরীক্ষার পরেই বোঝা যাবে, করোনা টিকার নামে ঠিক কী ব্যবহার করা হয়েছিল। যাঁরা ওই শিবির থেকে টিকা পেয়েছেন, তাঁদের শরীরের উপর কী প্রভাব পড়তে পারে, সেটিও এই পরীক্ষার ফল এলে আরও বিস্তারিত ভাবে বোঝা যাবে। এ ছাড়াও একাধিক সরকারি টেন্ডারের নথিও পেয়েছে পুলিশ। ঠিকাদারদের বরাত পাইয়ে দেওয়ার নামে দেবাঞ্জন টাকা নিত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বিএসএফ-এর উর্দি কেন জোগাড় করেছিলেন দেবাঞ্জন, তা ভাবচ্ছে তদন্তকারী অফিসারদের। তাঁদের ধারণা, এই উর্দি ব্যবহার করেও প্রতারণা করার ছক ছিল দেবাঞ্জনের। এই ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিএসএফও। কলকাতা পুলিশকে এই বিষয়ে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বাহিনীর যদি কেউ এই প্রতারকের সঙ্গে যুক্ত থাকে, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি দেবাঞ্জনের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে জাল বেশ কিছু চাকরির আবেদনপত্র। সেগুলির বিনিয়মে টাকা নেওয়া হয়েছিল কি না, বা কীসের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, সেগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy